পরকীয়া প্রেম করতে ক্লোজড হয়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার এক এসআই। গতকাল সোমবার রাতে ওই এসআইকে পটুয়াখালীর দুমকি থানার পাংগাশিয়া এলাকা থেকে প্রেমিকাসহ অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত আবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষেভের সৃষ্টি হয়। বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে রাতেই মো. মুনসুর আহমেদ নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুনসুর বিশ্ব ইজতেমায় শরীক হওয়ার জন্য সোমবার বিকালে ছুটি নিয়ে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
কিন্তু ঢাকা না গিয়ে তিনি সন্ধ্যায় জেলার দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামে তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকার বাড়ীতে গিয়ে উঠেন। দুমকি থানায় কর্মরত থাকাকালীন পাংগাশিয়া গ্রামের স্বামীহারা ওই মহিলার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সে সুবাদে প্রায়ই মুনসুর ওই বাড়ীতে যাওয়া-আসা করতেন। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে সোমবার তারা একত্রিত হয়ে ওই জুটির উপর নজর রাখেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তাদেরকে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত অবস্থায় হাতে নাতে ধরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
খবর পেয়ে দুমকি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে গালিগালাজ করে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিভাগীয় শাস্তির পদক্ষেপ নিয়ে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয় জেলা পুলিশ প্রসাশন।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ছুটি নিয়ে সোমবার বিকালে ইজতেমায় রওনা হয়ে গেছেন এসআই মুনসুর। আমি আর কিছুই জানিননা।
দুমকি থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এত রাতে যখন ওই মহিলার বাড়ীতে গেছেন তাহলে কিছু বিষয় তো আছেই।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গণি বলেন, ঘটনার পরেই তাকে লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।