পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের ফোন কলের বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছেন তার স্বামী। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আবেদন করেছেন তিনি। গতকাল হিনা রাব্বানি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রেসিডেন্ট বিলাওয়াল ভুট্টোর অন্তরঙ্গ প্রেমের খবরটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। ওই রিপোর্টগুলোতে বলা হয়, হিনা-বিলাওয়াল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চান। এখন তাঁরা ঘর বাঁধতে চান সুদূর সুইজারল্যান্ডে।
এই পরকীয়ার জের ধরে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ । প্রেসিডেন্ট ভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। এর পরই প্রেমের ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে যায়। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও বিলাওয়ালের পিতা আসিফ আলী জারদারি।
বিলাওয়ালের জন্মদিনে হিনা একটি বার্তাসহ কার্ড পাঠান।
কার্ডে হিনা নিজ হাতে লেখেন, ‘আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি। ’
তবে বিলাওয়ালও পিতাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে তিনি রাজনৈতিক পদ ছাড়বেন। গতকাল অনলাইন জি-নিউজ, ইন্ডিয়া টুডে সহ ভারতীয় প্রায় সব অনলাইন সংস্করণে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়ে হিনা রব্বানি খার, পাকিস্তান সরকার বা বিলাওয়াল ভুট্টোর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগের রিপোর্টগুলোতে আরও বলা হয়, হিনা রব্বানি খার দু’সন্তানের মা।
একজন অনন্যা। অন্যজন দিনা। তার স্বামী ফিরোজ গুলজার। তিনি কোটিপতি। কিন্তু সেই স্বামীকে ত্যাগ করতেও এখন দ্বিধা করছেন না হিনা।
হিনা রব্বানি ও বিলাওয়ালের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১১ বছর। দু’জনের মধ্যে হিনা বড়। কিন্তু বয়সের কাছে প্রেম হার মানছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়। এদিকে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর ফিরোজ গুলজার তাঁর স্ত্রী হিনার ফোন কলের বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আবেদন জানিয়েছেন। সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।