দিল্লির প্রেসক্লাবের লেডিজ টয়লেট। আজ মঙ্গলবার সকাল হতেই টয়লেটের সামনে অপেক্ষার লাইন। শেষে যখন দরজা খুলল, বেরিয়ে এলেন এক পুরুষ। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং দিল্লির আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতী। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে দিল্লির রাজপথ থেকে অলিগলিতে।
গতকাল সোমবার রাত থেকে রাজধানীর রাজপথে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সোমনাথ ভারতীও। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় ধর্না দিয়েছেন দিল্লির রাস্তায়। তাদের অনেক দাবির মধ্যে অন্যতম দিল্লিতে বাড়াতে হবে 'পাবলিক টয়লেট'। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে ভারতী বলেন, 'ধর্নামঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা যাতে শৌচাগারে যেতে না পারেন সেই কারণে আশপাশের সমস্ত 'শৌচাগার' বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে'।
তাহলে কি সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই রাত কাটিয়ে সকাল হতেই নারীদের শৌচাগার ব্যাবহার? এই প্রশ্ন করেছিলেন ধর্না মঞ্চ কভার করতে যাওয়া নারী সাংবাদিকরা।
এর কোনো উত্তর দেননি সোমনাথ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, তাদের প্রতিবাদস্থলের কাছে সব পাবলিক টয়লেট ইচ্ছে করেই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাধ্য হয়েই আপ-এর কর্মীরা ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ঠেলে ঠেলে নিয়ে এসেছে প্রতিবাদের জায়গায়।
তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। যতদিন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিন্ডে অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করতে কোন সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
আজও দিল্লির রেলভবনের সামনে ধর্না চালিয়ে গেলেন কেজরিওয়ালসহ অন্যন্য মন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ঘিরে এদিনও প্রচুর সমর্থক হাজির হন। যদিও সকাল থেকে মাঝে মাঝে দিল্লিতে বৃষ্টি হওয়ায় সভাস্থল ছেড়ে তিনি উঠে বসেন তার প্রাইভেটি 'ওয়াগন আর' গাড়িতে। গাড়ির মধ্যে বসেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সই করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই ধর্না নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।