ইসলামী সমাজব্যবস্থা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী সমাজ। এ সমাজের বৈশিষ্ট্যেও একত্বের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। ইসলামী দৃষ্টিতে মুমিনদের পুরো সমাজকে অভিন্ন সত্তা হিসেবে দেখা হয়। এ সমাজের সবাই একে অপরের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। একের প্রতি অপরের ব্যবহার হবে আন্তরিক, অনুভূতি হবে আপনজনের মতো।
এক মুমিন অপর মুমিনের জীবন ও সম্মানের প্রতি মমত্ববোধ অনুভব করবে। অন্য মুমিনের ইজ্জতকে নিজের ইজ্জত বলে মূল্যায়ন করবে। ইসলামী সমাজ কেমন হওয়া উচিত। এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায় মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে।
হজরত নোমান (রা.) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন, গোটা ইমানদার সমাজ একটি দেহের মতো। তার চোখে যন্ত্রণা হলে গোটা দেহই তা অনুভব করে। মাথায় যন্ত্রণা হলে গোটা দেহই সে যন্ত্রণা অনুভব করে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইমানদার ব্যক্তি আপাদমস্তক বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার প্রতীক।
যে ব্যক্তি কারও সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রাখে না, তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই, সে নিজেও ভালোবাসাপ্রাপ্ত হয় না। (মুসনাদে আহমদ থেকে মিশকাতে)
নিজেদের ইমানদার হিসেবে বা ইসলামী সমাজের সদস্য হিসেবে দাবি করতে হলে সমাজের অন্য ভাইয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজের সব সদস্যের প্রতি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সামাজিক ঐক্যকে দৃঢ় করতে হবে। লৌহ কঠিন সামাজিক সংহতি হলো ইসলামী সমাজের বৈশিষ্ট্য। ১৪০০ বছর আগে এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই ইসলাম বিশ্বজয়ী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।
হজরত আবু মূসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য প্রাসাদতুল্য, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে। (রাবি বলেন) অতঃপর তিনি তার উভয় হাতের আঙ্গুল পরস্পরের ফাঁকে প্রবেশ করে দেখালেন। (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে) উপরোক্ত হাদিসের মূল্যায়ন অনুযায়ী : মুসলমানদের এমনভাবে মিলেমিশে থাকতে হবে যে, বিপদাপদের সময় যাতে একে অপরের সাহায্যকারী হতে পারে।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।