পাহাড়-সমুদ্র ও বরফের মিতালী দেখার পর অনেকের সাধ জাগে মরুভূমির ছোঁয়া পেতে। মরুভূমির কথা উঠলে সবার আগে উচ্চারিত হয় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির কথা। অথচ অনেকেই জানি না আমাদের আশপাশেও অনেক বিখ্যাত মরুভূমি রয়েছে। এ রকম একটি মরুভূমি হলো ভারতের খুরি। এটি রাজস্থানে অবস্থিত।
অনেকেই একে প্রাচ্যের সাহারা বলে থাকেন। এ মরুভূমিকে কেন্দ্র করে সমগ্র রাজস্থান বিশ্ব পর্যটকের নজরে আসতে সক্ষম হয়েছে। এখান থেকে পেতে পারেন মরুভূমির উষ্ণছোঁয়া। জয়সলম থেকে ৪০ কিলোমিটার পেরুলেই খুরি মরুভূমির সীমানা। রাস্তায় যানবাহন খুব একটা দেখা যায় না।
শুধু পর্যটকদের আনা-নেওয়ার জন্য রয়েছে কিছু বাস। প্রকৃতপক্ষে খুরি হলো এ মরুভূমির বহু পুরনো একটি গ্রাম। পাকিস্তানের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম হলেও রাজস্থানের অন্য ১০টি গ্রামের মতোই শান্ত। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীনত্ব নিয়ে খুরি ঐতিহ্যশালী। গেস্ট হাউস ছাড়াও আছে তাঁবুতে রাত কাটানোর রোমাঞ্চকর সুযোগ।
পর্যটন শিল্পের কথা চিন্তা করে এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। পান-ভোজনের আয়োজন থাকে পর্যাপ্ত। এমনকি বুফে সিস্টেমে ডিনারও সারতে পারেন। ডিনারের আগে হয় ক্যাম্প-ফায়ার। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করে আপনি থাকতে পারবেন না।
মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে চারদিকে বিভিন্ন দেশের পর্যটক নিজেদের কথাবার্তা ভাগাভাগি করে নেন। পাকিস্তান সীমান্ত যতই কাছে হোক, খুরির বাতাসে নেই বারুদের গন্ধ। কানে বাজে রাজস্থানী লোকগীতির সুর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।