কাঠমান্ডু শহর প্রকৃতপক্ষে তিনটি শহর নিয়ে গড়ে উঠেছে। কাঠমান্ডু, ভক্তপুর ও পাটন বা ললিতপুর। ললিতপুর হলো নেপালের প্রাচীন রাজবংশের আবাসস্থল। ১২শ' শতকের রাজপ্রাসাদ ও অভিজাতদের প্রাসাদসহ পুরো এলাকাটি পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে কোনো আধুনিক স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।
এ এলাকার সঙ্গেই রয়েছে কেনাকাটার জন্য বাজার এলাকা। কাঠমান্ডুতে দেখার মতো যেক'টি মন্দির রয়েছে তার মধ্যে বুদ্ধনাথ বা বোধনাথ মন্দির অন্যতম। এটি কাঠমান্ডুর অন্যতম পবিত্র জায়গা। ধপধপে সাদা মূল মন্দিরটি ঘিরে অসংখ্য উপাসনাগার এবং দোকান রয়েছে। চারিদিকে পায়রা দিয়ে ভরা।
একসঙ্গে দল বেঁধে উড়ে বেড়ায় এবং দর্শনার্থীরা খাবার দিলে মারামারি করে খায়। অন্যদিকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য রয়েছে বালাজি ওয়াটার গার্ডেন। রয়েছে সাউথ এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত বৌদ্ধমন্দির সম্ভুনাথ স্তূপাতে। এটা মাংকি টেম্পল নামেও সুপরিচিত। হাজার খানেক বানরের আবাসস্থল।
এরা কাউকেই ভয় পায় না, উল্টো তাদের ভয়েই সবাই অস্থির। পারলে পর্যটকদের ক্যামেরা
ছিনিয়ে নিতে চায। হাতে কোনো প্যাকেট নেওয়ার উপায় নেই। আর নগরকোটের রিসোর্টে সবাই যায় শুধু সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয় দেখতে। কাঠমান্ডু যেতে হলে সঙ্গে একটি বই নিয়ে যাওয়াই যথেষ্ট।
সেটি হলো সত্যজিৎ রায়ের 'যত কাণ্ড কাঠমান্ডু'তে। ফেলুদার বিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার বই। নেপালের ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট থেকেই পোর্ট এন্ট্রি ভিসা নেওয়া যায়। তবে ঢাকার নেপাল দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে যাওয়াই সুবিধাজনক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।