সুন্দরের চর্চায় ছুরি-কাঁচির ওপর নারীর ভরসা করার ইতিহাস এখন বহু পুরনো। আরও সুন্দর হতে প্রকৃতিগতভাবে প্রাপ্য সৌন্দর্যের ওপর ছুরি-কাঁচি চালিয়েছেন শ্রীদেবী, মাধুরী থেকে বিদ্যা বালন, প্রীতি জিন্টা, বিপাশা বসুসহ কমবেশি অনেকেই। তবে সমীক্ষা বলছে, সুন্দর হওয়ার দৌড়ে নাকি কসমেটিক সার্জনদের কাছে বেশি-বেশি ছুটছেন পুরুষরাই। সুন্দর চেহারা নাকি কেরিয়ারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।
আজকাল বহু পুরুষই নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিচ্ছেন।
এই প্রজন্ম সুন্দর চেহারার ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কসমেটিক সার্জারির কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, পুরুষদের মধ্যে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করানোর প্রবণতাই সবচে' বেশি। এরপরই রয়েছে লাইপোসাকশন বা মেদ ঝরানোর জন্য সার্জারি। যেসব পুরুষরা চেহারা সুন্দর করতে কসমেটিক সার্জারির সাহায্য নিচ্ছেন তাদের ৭০ শতাংশই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা।
আর তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
আর সৌন্দর্যের জন্য খরচের ব্যাপারটাও কোনো না কোনোভাবে পুষিয়ে নিতে রাজি এইসব সৌন্দর্যপিপাসুরা। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করতে খরচ পড়ে ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা, লাইপোসাকশনের খরচ ৭৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা। এই সার্জারির সবচে' সুবিধাজনক দিক হল সার্জারির পরদিন থেকেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।
পুরুষদের মধ্যে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ও লাইপোসাকশনের পরেই জনপ্রিয় গাইনিকোম্যাস্টিক (ব্রেস্ট রিডাকশন)।
এছাড়াও রয়েছে রাইনোপ্লাস্টি (নাকের সার্জারি) ও ব্লেফারোপ্লাস্টি (আইলিড সার্জারি)। কল সেন্টার কর্মী থেকে শুরু করে শিল্পপতিরাও এখন কসমেটিক সার্জারির ভরসা রাখছেন। কেবল সার্জারি নয়, বোটক্স ইঞ্জেকশন, লেসার হেয়ার রিমুভাল ও ত্বকের কেমিক্যাল পিলও গ্রহণ করছেন পুরুষরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।