ধুম ধাম পুট পাট পটাস

উত্তরা হাই স্কুলের বাংলার প্রভাষক সাইফুল্লাহ জোয়ার্দার। তার ডাকনামেই পরিচয় - 'লুল স্যার'। কথিত গুজব ছিল আগেই, এবারে তা প্রমানিত হল। আগে তিনি মাইলস্টোনে পড়াতেন। অভিভাবকেরা নাকি মাইলস্টোন কলেজ থেকে তাকে আন্দোলন করে তাড়িয়েছিলেন, সেখানে এক মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে উদ্দেশ্যমূলক কথা বলে নম্বরের প্রলোভন দেখানোর অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।

কিন্তু কোন একটা কারণে তাকে কোনপ্রকার শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় নাই। এরপরে হুজুর তশরিফ রাখলেন আমাদের স্কুলে। পড়ানোর সময় উদ্দেশ্যমূলক শব্দ ব্যবহার করা, প্রাইভেটের নাম করে মেয়েদের নম্বর নিয়ে ডিস্টার্ব করার অভিযোগ এইগুলা তো আছেই, সাথে সাথে যে মেয়েরা তার সাথে তালে তাল মিলিয়ে না চলে, তাদের তিনি ক্লাসে অপমান করেন, বিনা কারণে অপমানজনক শাস্তি দেন। নাম্বার কম দেওয়ার কথা বাদই দিলাম।

কিন্তু একটাই কথা, কোন মেয়ে অভিযোগ নিয়া সামনে আসতে ভয় পায়, ফলে প্রমাণ পাওয়া যায় না, তার শাস্তিও হয় না।

এইবারে একটি ফোনালাপ এবং একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। এই পেডোফাইলের কামুক ফোনালাপ কমবেশী সবাই শুনেছে। যারা শুনেনি তাদের জন্য সম্পূর্ণ ফোনালাপটি লিখে দিলাম। পুরোপুরি হুবুহু ভাষায় দিয়েছি।

মেয়ে : জী স্যার বলেন
জোয়ার্দার :তুমি বলো।


মেয়ে :আমি কি বলবো
জোয়ার্দার :তুমি?
মেয়ে :হ্যাঁ।
জোয়ার্দার :এইযে এতো সুন্দর করে সাজতে পারো ,আমি আজকেই দেখলাম
মেয়ে :কই সাজুগুজু করে আসলাম
জোয়ার্দার : ও সাজুগুজু করো নাই তাই এইরকম ,আর সাজুগুজু করলে কিরকম লাগবে বলোতো? মেয়ে : ও আচ্ছা
জোয়ার্দার : সাজুগুজু করো নাই তাই এইরকম আর সাজুগুজু করলে কেমন লাগবে?
মেয়ে :কিজানি ...ভূতের মতন
জোয়ার্দার : ভূতের মতো?
মেয়ে :জি
জোয়ার্দার : খুব সুন্দর লাগবে, খুব সুন্দর
মেয়ে :স্যার আপনি কি আমাকে পটাইতেছেন?
জোয়ার্দার : কেনো পটাবো কেনো... না না তুমি এইধরণের কথা বললে আমি কথা বলবো না
মেয়ে : না মনে হচ্ছে তো
জোয়ার্দার :না না না
মেয়ে : ও
জোয়ার্দার : তোমার এইটা দেখে কি ওরা কিছু বলছে?
মেয়ে : কোনটা দেখে?
জোয়ার্দার :এইযে তোমার ড্রেস দেখে, যে সুন্দর হয়েছে বা এইসেই
মেয়ে :না কিছু বলে নাই, বলছে রোগা...
জোয়ার্দার :আসলে মেয়েরা কিছু বলেনা মেয়েদের। মেয়েরা মেয়েদের বলতে চায়না
মেয়ে :ও
জোয়ার্দার :তাইনা?
মেয়ে :হইতে পারে স্বাভাবিক কিন্তু আমার ফ্রেন্ডরা এরকমনা, আমার ফ্রেন্ডরা অনেক ভালো জোয়ার্দার :ও... তাহলে কি আমিই মন্দ?
মেয়ে :না আমি কি বলছি আপনি মন্দ
জোয়ার্দার :না এইযে তুমি একটু আগে কি একটা কথে বললে মনখারাপ হয়ে গেলো...
মেয়ে :না না না মনে হচ্ছে আরকি কা আমি তো আজকে আসছি ফকিন্নীর মতো তারপরো বলতেছেন সুন্দর লাগতেছে তাই ভাবলাম পটাইতেছেন নাকি
জোয়ার্দার :না না না ওইটাই আমার কাছে ভালো লাগছে
মেয়ে :ও
জোয়ার্দার :এরপর?
মেয়ে :জি বলেন...
জোয়ার্দার :তুমি বলো
মেয়ে :কি বলবো আমি?
জোয়ার্দার :বলো... কি বলবা বলো (একটু নীরবতা)
জোয়ার্দার :হ্যালো...
মেয়ে :জী স্যার বলেন...
জোয়ার্দার : তুমি বলো (একটু রাগান্বিত)
মেয়ে :কি বলবো আমি? জোয়ার্দার : কিছুই নাই বলার?
মেয়ে :না কিছুই নাই
জোয়ার্দার : একটা গান ধরো, গান শুনাও
মেয়ে :আমি গান গাইতে পারিনা
জোয়ার্দার : কি পারো?
মেয়ে :কিছুই পারিনা
জোয়ার্দার :আরে পারো পার যে গান গাইতে জানে সে অবশ্যই গান জানে হ্যা...
মেয়ে : উহ, না...
জোয়ার্দার :অবশ্যই জানো, অবশ্যই
মেয়ে : আপনি গান গান... বাংলা সাহিত্যিক গান গান।
জোয়ার্দার :হ্যা ?
মেয়ে :বললাম বাংলা সাহিত্যিক গান গান
জোয়ার্দার :আমি তো গান এতো শুনিনা , তুমি তো রাত দিন গান নিয়েই পড়ে থাকো
মেয়ে :ওহ...(একটু নীরবতা) হ্যালো...
জোয়ার্দার :হ্যালো...
মেয়ে :জি স্যার বলেন
জোয়ার্দার :হ্যালো...
মেয়ে :শুনতেছি বলেন (মুচকি হাসি)
জোয়ার্দার : কি এতো নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছো কেনো, ঘুম আসছে?
মেয়ে : না আমি এরকমই থাকি, আপনাকে বলছিনা আমি সবসময় এরকমই থাকি, সবাই কথাবারতা বলে আমি চুপচাপ থাকি, আমি এরকমই থাকি
জোয়ার্দার : ও , এতো তারাতারি ঘুমিয়ে পড়ো মানে র হ্যা যখন ঘুম আসে তখন ঘুমিয়ে পড়ি জোয়ার্দার : কালকে কয়টার দিকে দিছিলাম ফোন পৌনে এগারোটার দিকে তাইনা?
মেয়ে :জী
জোয়ার্দার :তুমি যদি জাগনা থাকতে দেখতোনা তাইনা?
মেয়ে :হ্যা
জোয়ার্দার :আমি যদে জানতামই তুমি ঘুমিয়ে পড়ছো তাহলে কল দিতাম না...
মেয়ে :ও...
জোয়ার্দার :বোঝোনাই?
মেয়ে :জি স্যার বুচ্ছি
জোয়ার্দার :বুঝেছো?
মেয়ে :হ্যা
জোয়ার্দার :কালকে...কালকে আসবে এ
মেয়ে :হ্যা আসবো
জোয়ার্দার : একটু আগেই আসবে?
মেয়ে :না দেখি, যদি ঘুম থেকে উঠতে পারি তাহলে আসলে তো আপনার কাছে পড়তে আসবো জোয়ার্দার : আর কলেজে না আসলে?
মেয়ে : আদীদার স্যার এর বাসায় পড়া আছে তারপর আপনার বাসায় পড়া আছে
জোয়ার্দার : ও, কলেজে না আসলে ওই ড্রেসটা পড়ে আসবে আজকের ড্রেসটা
মেয়ে : আচ্ছা
জোয়ার্দার : অবশ্য দেখতে পারবো কালকে কলেজে আসলে দিনে তো, এইযে ই তোমার যেকোন দিনই তো আমি দেখতে পারবো তাইনা?
মেয়ে : হ্যা পারবেন
জোয়ার্দার : কাউকে বলবেনা?
মেয়ে : কাকে বলবো আমি আজব...
জোয়ার্দার :তারপর?
মেয়ে : তারপর, তারপরে কি
জোয়ার্দার : বলো তারপরে কি
মেয়ে : কিছুই না
জোয়ার্দার : ( একটু হাসি)
মেয়ে : হ্যালো
জোয়ার্দার : হ্যালো... লজ্জা পাচ্ছো?
মেয়ে : আমি লজ্জা পাবো কেনো?
জোয়ার্দার : তো এইযে শুধু বলছো কিছুইনা কিছুইনা , গত রাতে এতো সুন্দরভাবে কতে বললে অন কথা বললে, আমি তো জানি তুমি অনেক কথা জানো
মেয়ে : কি আমি কি সুন্দর কথা বলছি আমি তো সবসময় এরকমই থাকি
জোয়ার্দার :না কত কথা বললে আর এখন বলছো না জানিনা কিছু এটা বলছি
মেয়ে : না না না সেটা না
জোয়ার্দার : বলো...
মেয়ে : জী বলেন...
জোয়ার্দার : গতরাতে যেদিন ওইযে প্রথম দিন তো কতসুন্দর করে কথা বললেনা...
মেয়ে : হ্যা সেদিন আরকি আপনার সম্বন্ধে জানলাম আরকি আপনার কয় ভাইবোন, কোথায় থাকেন কি করেন না করেন এই। আমি তো আর কি জিজ্ঞাসা করবো, আমি এই জাস্ট পরিচয়......
জোয়ার্দার : আরো তো আনেক কিছুই জিজ্ঞাসা করলে (অট্টহাসি)
মেয়ে : আরো অনেক কিছুই কি......
জোয়ার্দার : আলাপ আলোচনা করতে করতে শেষ পর্যন্ত মানে সীমারেখা বাধ ভেঙ্গে গেছে হ্যা...
মেয়ে : আপনি বলছেন আমি কিছু বলছি আপনাকে বলেন?
জোয়ার্দার :না না ওই আরকি
মেয়ে : তো...
জোয়ার্দার : আর যেগুলো বলছি সেগুলো তো এনসার দিয়েছো তাই না?
মেয়ে : হ্যা আপনি বলছেন আমি এনসার দিবোনা? যেহেতু আপনি একজন টিচার, টিচার কোশ্চেন করলে এনসার দিতে হয়
জোয়ার্দার : ও আচ্ছা ওইদিন না হয় আমি ইয়া করলাম তার আগেরদিন ওইযে যখন আমি একটু নির্লিপ্ত ছিলাম ওইযে যেদিন মনে করো যে শাওনের সঙ্গে কথা হলো তাইনা... ওইদিন কি আমি বেশি বলেছি নাকি তুমি বল
মেয়ে : আমি কি বলছি আপনি বললেন যে কোলবালইশের কথা , তুমি কোলবালিশ নিয়ে ঘুমাও নাকি হেন করো তেন করো এই তারপর আমি বললাম এই, আরকি
জোয়ার্দার : তারপরে শাওন যখন বললো যে তুমি একা থাকে নাকি তুমি ও... জোয়ার্দার : বলছো না?
মেয়ে : হ্যা... সেটা বলছি
জোয়ার্দার : ওইযে...
মেয়ে : হুম... না সেদিন আপনে জিজ্ঞেস করলেননা যে বালিশ মাথার উপর বালিশ থাকে না মাথার নীচে তারপরে আমি বললাম না আপনি বললেন মাথার উপরে ফ্যান ঘুরতেছে নাকি আমি বললাম আপনের মুখ ঘুরতেছে জোয়ার্দার : হ্যা হ্যা এইতো মানে এরকম বেশ কিছু কথাই বলছো আরকি ডায়রেক্ট
মেয়ে : হু জোয়ার্দার : তাইনা?
মেয়ে : জী
জোয়ার্দার : বেশ কিছু কথাই তুমি সরাসরি বলছো একবারে ডায়রেক্ট হিট করছো
মেয়ে : ডায়রেক্ট হিট করছি আমি আপনাকে ?
জোয়ার্দার : মানে তুমি বলছো বাট হিট দেওয়া হয়েছে আমার দ্বারা
মেয়ে : ও না আপনি যেভাবে বলছেন আমি সেভাবেই এনসারটা দিছি
জোয়ার্দার : আমি বলছি যে তোমার মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে কিনা (অট্টহাসি)
মেয়ে : হ্যা আপনই বলতেছেন গরমের ভিতর কাথা নিয়া ঘুমাইতে তো আবার বলতেছেন ফ্যান ঘুরতেছে কিনা , আবার বললেন যে জামাকাপড় পইড়া ঘুমাও না খুলে ঘুমাও ... তো আমি জিজ্ঞেস করলাম যে জামাকাপড় খুলে ঘুমানোর নিয়ম আছে নাকি, আপনি বললেন পড়ে ঘুমানোর নিয়ম আছে নাকি এই...
জোয়ার্দার :আমি বললাম যে পড়ে ঘুমানোর নিয়মও নাই, খুলে ঘুমানোর নিয়মও নাই...খুললে... খুলে ঘুমালেও তো অসুবিধা নাই তাইনা...
মেয়ে : হুম জোয়ার্দার : হ্যা?
মেয়ে : না অসুবিধা নাই
জোয়ার্দার : অসুবিধা আছে?
মেয়ে : নাহ... ( একটু নীরবতা)
জোয়ার্দার : হ্যালো...
মেয়ে : জী বলেন...
জোয়ার্দার : এখন কী পড়ে আছো এটা বলো তো...
মেয়ে : কেনো?
জোয়ার্দার : বলো দেখি ওইদিনের সাথে মিল খায় কিনা...
মেয়ে : এইটা তো বয়ফ্রেন্ডরা কোশ্চেন করে...(মৃদু হাসি) আপনি কি আমার বয়ফ্রেন্ড নাকি...
জোয়ার্দার : আচ্ছা তুমি বলো, বলো এখন তুমি কি পড়ে আছো...
মেয়ে : নরমাল বাসায় যা ড্রেস পড়ি তাই পড়ে আছি জোয়ার্দার : কি পড়ে আছো বলো...বলো... ...হ্যালো.
মেয়ে : জী স্যার বলেন
জোয়ার্দার : হ্যালো.. মেয়ে : শুনতেছি বলেন
জোয়ার্দার : বললাম যে আমি ফ্রেন্ড হলে ওই ফ্রেন্ডই তো হবো তাইনা( হাসি)
মেয়ে : আচ্ছা আমি পরে কথা বলি আপনার সাথে হ্যা...
জোয়ার্দার : কেনো কি হইছে?
মেয়ে : আম্মু ডাকতেছে তো...
জোয়ার্দার : আচ্ছা।



[কৃতজ্ঞতা: সিজাদুর রহমান]

আমরা আশা করেছিলাম, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। অপেক্ষা করেছি। কিন্তু প্রশাসন সবকিছু জানলেও উদাসিন, অভিভাবকরাও নিজের মেয়েটির বদনাম করতে চান না। বিকারগ্রস্থ মানুষটি এখনো ক্লাস নিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল ছাড়ার কোন লক্ষণ তার মাঝে নেই।

তাই উত্তরা হাইস্কুলের পূর্বতন ও বর্তমান ছাত্রদের পক্ষ থেকে দশ-বারোজন মিলে আমরা স্কুলের বাইরে তাকে একটি 'সংবর্ধনা' দেবার পরিকল্পনা করছি। আশা করি উপর্যুপরি 'সম্মান' পাবার পর তার হুঁশ হবে, এবং তিনি শিক্ষকতা পেশাটি ছেড়ে দিয়ে এই পেশাটির সকল সম্মানীয় ব্যক্তিকে কলঙ্কমুক্ত করবেন।

এই পোষ্টের উদ্দেশ্য ছিল এরকম বদগুলার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। আসুন আমরা এসব জানোয়ারদের দমন করি।

।