অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্টারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষক থাকাকালে প্রফেসর ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তন করেন। ইউনূস দরিদ্রতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়।
তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন দরিদ্র বাংলাদেশিদের মধ্যে ঋণ দেওয়ার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক সংহতি দল পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যরা একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে।
ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্রকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস্য খামার এবং সেচ ঋণপ্রকল্পসহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমনকি যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশগুলো গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।