রহস্য
ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল ৯২ শতাংশ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি অনুঘটক আবিষ্কার করেছেন যা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে তড়িৎ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কার্বন মনোক্সাইডে রূপান্তর করতে পারে। পরবর্তীতে এই কার্বন মনোক্সাইড বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। শিল্পকারখানার উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন ৪০% কমিয়ে আনার পরে এই প্রক্রিয়ায় যে কার্বন মনোক্সাইড পাওয়া যায় তা সিনথেটিক জ্বালানী উৎপাদনের জন্য শিল্পে ফিডস্টক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক কেমিক্যাল এন্ড বায়োমলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফেং জিয়াও এর মতে কার্যকরভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কে প্রয়োজনীয় কেমিক্যালে রূপান্তর করা নবায়নযোগ্য ও টেকসই শক্তির গবেষণায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষুদ্র ছিদ্রবিশিষ্ট রূপার ইলেক্ট্রোক্যাটালিস্ট ব্যবহার করলে পলিক্রিস্টালিন রূপার চেয়ে এটি ৩০০০ গুন বেশি সক্রিয় হয়।
কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসকারী অনুঘটকের জন্য রূপাকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়; কারণ এটি উচ্চ নির্বাচনশীলতা দেখায় এবং রূপা অন্যান্য মূল্যবান অনুঘটক ধাতুর তুলনায় অনেক কম ব্যয়বহুল।
তাদের তথ্য অনন্য ছিল কিনা তা যাচাই করার জন্য গবেষকরা তাদের তৈরি ক্ষুদ্র ছিদ্রবিশিষ্ট রূপার ইলেক্ট্রোক্যাটালিস্টের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড ইলেক্ট্রোক্যাটালিস্ট, পলিক্রিস্টালিন রূপা এবং অন্যান্য রূপার তৈরি ন্যানোস্ট্রাকচারের তুলনা করেন। অভিন্ন অবস্থার অধীনে পরিক্ষা করে দেখা গেছে এটি জলীয় পরিবেশে অন্যান্য রূপালী অনুঘটকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সুফল প্রদর্শন করে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে গ্রিনহাউজ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস মানব সমাজের জন্য বিপদজনক বলে মনে করা হয়। গত ২০ বছর ধরে ইলেকট্রোক্যাটালিক কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানোর প্রক্রিয়া দৃষ্টি কেড়েছে এই কারণে যে এর ফলে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস যেমন বায়ু, সৌর এবং তরঙ্গ থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়।
মুলত, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইডকে জ্বালানি বা অন্যান্য রাসায়নিকে রূপান্তর করতে যে কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন রিপোর্টের উপর একটি গভর্নমেন্টাল প্যানেলের বিবৃতি অনুযায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের ১৯% নির্গমন শিল্পকারখানা থেকে ঘটে। সুতরাং, গবেষকদের তৈরি এই নতুন ক্যাটালিস্টের মাধ্যমে শিল্পের এই নির্গত বড় অংশের গ্রিনহউস গ্যাস রূপান্তর করলে একদিকে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহারের করা যাবে আর অন্যদিকে গ্রিনহাউস প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে পৃথিবী। এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারা!
void(1);
তথ্যসূত্রঃ সায়েন্স ডেইলি ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।