আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূতের অস্তিত্ব ( দশম খণ্ড )।

প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। ভূতের শরীরে বর্ণালী রেখা দেখতে পাওয়া যায়। ভূতের শরীরে লাল,নীল,সবুজ রঙের বর্ণালী রেখা চলাফেরা করে। সেজন্য ভূত, মানুষের মতোন করে যাবতীয় রঙিন বস্তু দেখতে পায়। মানুষের শরীরে ত্বক থাকে এবং এই ত্বকের মাধ্যমে মানুষ যাবতীয় বিষয়ের অনুভূতি লাভ করে।

ভূতের ক্ষেত্রে এই অনুভূতির ব্যাপার নেই। আর সেজন্য ভূত ঠাণ্ডা বা গরম অনুভব করতে পারে না। তেমনিভাবে ভূতের কোন ঘ্রাণশক্তি নেই। মানুষের জিব আছে,আর এই জিবের সাহায্যে মানুষ বিভিন্ন খাদ্যবস্তুর স্বাদ গ্রহণ করে। ভূত খাদ্যবস্তু গ্রহণ করে না, তাই ভূতেরক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের কোন ব্যাপার নেই।

মানুষেরক্ষেত্রে পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে- চোখ,কান,নাক,জিব এবং ত্বক। ভূতেরক্ষেত্রে দুটি ইন্দ্রিয় আছে- চোখ এবং কান। ভূত এই চোখ এবং কানের মাধ্যমে নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু ভূত নতুনকরে নাক,জিব,ত্বকের মাধ্যমে নতুন তথ্য সংগ্রহ করবে না যেহেতু এই ইন্দ্রিয়গুলি ভূতের থাকে না। বাতাসকে নিয়ে ভূতের শরীর, আর এই শরীরে আছে মানুষের শরীরের ভেতরকার যাবতীয় শক্তি।

ভূতের শরীরে দুঃখ ব্যথার অনুভূতি নেই। ভূতের চোখে জল আসে না। ভূত কাঁদতে পারে,হাসতে পারে অর্থাৎ আওয়াজ দিতে পারে। ভূত গাছের পাতার ওপরে থাকে। পাতার ওপরে ভূত বসে থাকে।

পাতার ওপরে বসে থেকে ভূত ঘুমায়। ভূত কিন্তু গাছ ধরে গাছের মাথায় ওঠে না। বাতাসের মধ্যে থেকে সোজাসুজিভাবে ভূত ওপরে ওঠে এবং বাতাসে হেঁটে হেঁটে গাছের মাথায় উঠে পাতার ওপর বসে। ভূতেরা গাছে বসে বসে ঘুমায়। আর কোন পরিত্যক্ত ঘরে কোন পরিত্যক্ত বিছানা পেলে সেখানে ভূতেরা ঘুমাতে পারে।

তবে বেশীরভাগ ভূতই উঁচু গাছের মাথায় থাকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।