রিপোর্টে সত্য, অর্ধ-সত্য, মিথ্যা মিশিয়ে লেখার ক্ষেত্রে প্রথম আলোর খ্যাতি অনেকেরই জানা। ১২ই ফেব্রুয়ারীর ঘটনাটা প্রথম আলোতে এসেছে নিম্নরূপ ভাবে:
মর্টার শেল বিস্ফোরণে সেনা ও বিজিবির পাঁচ সদস্য নিহত
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ভারী অস্ত্র প্রশিক্ষণ এলাকায় (ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ) একটি মর্টারে শেল বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের তিনজন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও দুজন সেনাবাহিনীর সদস্য।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিজিবির প্রশিক্ষণ চলাকালে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিরা হলেন সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার পারভেজ (২০ ইস্ট বেঙ্গল) ও মঞ্জুর (৪ ইস্ট বেঙ্গল), বিজিবির সিপাহি আবু সুফিয়ান ও একরাম হোসেন এবং ল্যান্স করপোরাল মো. আলী।
বিজিবির নিহত ও আহত সদস্যরা দিনাজপুরে ৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নে (৩ বিজিবি) কর্মরত ছিলেন। নিহত দুই সেনাসদস্য ঘাটাইল সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। তাঁরা ফায়ারিং রেঞ্জের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এঁদের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
বিজিবির সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ঘাটাইলে শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসের বাইরে সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্র প্রশিক্ষণ এলাকা। এ এলাকায় গতকাল বিজিবির সদস্যদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিল। জয়পুরহাট থেকে আসা বিজিবির চারজন সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
গতকাল ছিল মর্টার থেকে গোলাবর্ষণের প্রশিক্ষণ। তাঁরা জানান, তিনটি শেল ছোড়ার পর চতুর্থ শেলটি ভেতরে নিয়ে ছোড়ার আগেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত ও ১১ জন আহত হন।
খবর পেয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে আহত সাতজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বিজিবির মেজর ফরহাদ, সিপাহি পলাশ, জিন্নাত আলী, আনোয়ার হোসেন, ফিরোজ মিয়া, রিয়াজ, আলতাবুর, আজিজ, জাহিদ, শাহজাহান ও আজহারুল।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কবির প্রথম আলোকে জানান, সেনানিবাসের মাইধার চালা এলাকার ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ চলার সময় ৮২ মিলিমিটারের একটি মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়।
এ ধরনের প্রশিক্ষণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছিল কি না জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি প্রশিক্ষণের ব্যাপার। এখানে কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। তা ছাড়া এ ধরনের শেল ছোড়ার আগে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করার নিয়ম, তার সবই করা হয়েছে।
’
তা হলে কী করে বিস্ফোরণ হলো, জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, একই মর্টার থেকে তিনটি শেল ছোড়া হয়। চতুর্থ শেলটি ভেতরে দেওয়ার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে। সমস্যা গোলায়, না মর্টারে, তা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।
এ ধরনের গোলা ছোড়ার আগে বুলেটরোধী পোশাক পরার নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এভাবে মর্টার শেল বিস্ফোরণের নজির নেই বললেই চলে। ১৯৮২ সালে একবার এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
এরপর আর ঘটেনি। দুনিয়ার কোথাও এভাবে শেল ফেটে যাওয়ার কোনো নজির নেই।
মহাপরিচালক বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। কমিটির কাজ শেষ হোক, তারপর কারণটা জানা যাবে। ’
প্রথম আলোর কেরামতি জানতে শেষ স্তবকটি দেখুন।
প্রতিবেদক মহাশয় ইনভার্টেড কমার ব্যাবহার কিভাবে করেছেন তা লক্ষণীয়। এখানে মহাশয় সম্ভবত হালকা ভাবে বোঝাতে চাইছেন যে 'মর্টার শেল এভাবে ফেটে যাওয়ার নজির কোথাও নেই' কথাটি বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন। সত্যিই কি তাই? বিজিবি মহাপরিচালক কি কথাটি বলেছেন? না কি প্রতিবেদক মহাশয় তার নিজের মনে কথাটা লিখে বিজিবি মহাপরিচালকের কথা বলে চালিয়ে যেতে চাইছেন? যেই বলুক, কথাটা যে কি ধরনের ভুল তার প্রমান নীচের লিংকে পাবেন।
Deadly explosion at Nevada's Hawthorne Army Depot prompts suspension of 60mm mortars
মহাশয় আরেকটি প্রশ্ন তুলেছেন। মর্টার ফায়ারের সময় বুলেট বিরোধী জ্যাকেট (বডি আর্মার/ ফ্ল্যাক জ্যাকেট/ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট) পরার নিয়ম আছে কি না।
ভদ্রলোক কি জানেন না উক্ত অতি দামী দ্রব্যটি সকলের জন্য কেনার সামর্থ এখনো আমাদের হয়ে উঠেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।