রুমির প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার আবেদনে ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
অনন্যার আইনজীবী আরিফউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে গত বছর ১১ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করেন রুমির প্রথম স্ত্রী।
এর একদিন পর ছোটভাই ইয়াসিন রনিসহ গ্রেপ্তার হন রুমি।
এরপর আপসরফায় অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা এফডিআর করে দেয়ার শর্তে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান রুমি। কিন্তু সেই শর্ত তিনি রক্ষা করেননি বলে আরিফউদ্দিন জানান।
এরই মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি রুমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নাম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামির হাজিরার দিন ধার্য ছিল। নিয়ম অনুযায়ী রুমি সকালে ট্রাইব্যুনাল হাজির হয়ে বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন করেন।
কিন্তু ‘শর্ত ভঙ্গ করায়’ বিচারক তার আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি লামিয়া ইসলাম অনন্যাও এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
তার আইনজীবী জানান, মামলার এজাহারে রুমির মা নাসিমা আক্তার ও ভাই ইয়াসিন রনিকেও আসামি করা হয়েছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই দুইজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রুমি বিয়ের পর থেকেই ২০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আসছিলেন। ওই টাকার জন্য তিনি অনন্যাকে বেঁধে তার ওপর নির্যাতন চালান।
অতি অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া আরফিন রুমি একসঙ্গে দুই স্ত্রী রেখে সমালোচনার মধ্যে পড়েন।
প্রথম স্ত্রী লামিয়ার ঘরে রুমির একটি ছেলে রয়েছে।
দূরবীন ব্যান্ড দলের সাবেক সদস্য রুমি ২০০৯ সালে তার অ্যালবাম ‘এসো না’র জন্য ‘ইউরো চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম’ পুরস্কার পান। ২০১০ সালে তিনি বিনোদন বিচিত্রা পুরস্কার পান সুরকার হিসেবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।