আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যত ভয় রেফারিকে ঘিরেই!

মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে কৃতিত্বপূর্ণ জয় পেলেও টুর্নামেন্টে শেখ জামালের শুরুটা হয়েছিল কলকাতা মোহামেডানের কাছে ১-২ গোলে হারে। প্রথমে গোল পেয়েও ম্যাচে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেননি মামুনুলরা। যাক এ নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা নয়। সেদিন হেরেছে বলে কাল ফাইনালেও শেখ জামাল পারবে না এমন ভাবাটা ঠিক হবে না। তাছাড়া ভারতীয় ফুটবলে দুই পরাশক্তিকে হারিয়ে জোসেফ আফুসির শিষ্যদের আত্দবিশ্বাস এখন তুঙ্গে।

কলকাতার শীর্ষ স্থানীয় কটি দৈনিক শেখ জামালের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে উল্লেখ করেছে ইস্টবেঙ্গলকে বিধ্বস্ত করার পরও ফাইনালে যদি শেখ জামাল হেরে যায় তা হবে ট্রাজেডি। অধিনায়ক মামুনুল অবশ্য তা মানছেন না। তিনি বলেন, ফাইনালে যারা ভালো খেলবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। ইস্টবেঙ্গল পারেনি বলে মোহামেডানও পারবে না তা আমি বিশ্বাস করি না। মনে রাখতে হবে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আমরা একটাই হেরেছি আর তা মোহামেডানের কাছেই।

মাঠে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কার হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি উঠবে বলা মুশকিল। ফুটবলে এক দল জিতবে আরেক দল হারবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের টুর্নামেন্টগুলোতে যখুনি বাংলাদেশের কোনো দল খেলতে গেছে অধিকাংশ সময়ে রেফারির নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের শিকার হয়েছে। বলা যায় রেফারির কারণে বাংলাদেশের দলগুলোর নিশ্চিত জয় হাত ছাড়া হয়ে গেছে। শনিবার ফাইনালে জয় পেলে শেখ জামাল বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে আইএফএ শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হবে।

অথচ ১৯৯৫ সালেই এ কৃতিত্ব পেয়ে যেত ঢাকা মোহামেডান। সেবার সল্টলেক স্টেডিয়ামেই ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে ৮৭ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও রেফারি সাগরসেনের পক্ষপাতিত্বের কারণে শিরোপার বদলে আলফাজদের হাতে উঠেছিল রানার্সআপের ট্রফি। ওই ম্যাচে ভিডিও ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ মিলবে মাঠে মোহামেডানের সঙ্গে কি অবিচারটাই না করা হয়েছিল। মোহামেডানের আক্রমণ সামাল দিতে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা সমানে ফাউল করলেও সাগরসেনের বাঁশি ছিল নীরব। কলকাতার এক দৈনিকেই পরের দিন খেলার পাতায় শিরোণামই ছিল ১৪ জনের ইস্টবেঙ্গলের কাছে মোহামেডানের হার।

শুধু আইএফএ শিল্ড নয়, ডুরান্ত কাপ, নাগজি ট্রফি, জেসিগুহ ট্রফিতেও ঢাকার মোহামেডান-আবাহনীর নিশ্চিত বিজয় কেড়ে নিয়েছিলেন রেফারিরাই। বিশেষ করে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল থাকলে ভারতীয় রেফারিরা জেতানোর জন্য নিরপেক্ষতা ভুলে যেত। সুতরাং মোহামেডানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যতই আত্দবিশ্বাস বা ফর্ম তুঙ্গে থাকুক না শনিবার শেখ জামালের ভয়টা থাকবে রেফারিকেই ঘিরে।

তবে এখানে আবার কথা রয়েছে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান নয় প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামবে কলকাতা মোহামেডান। এই দলটিকে কেন জানি ভারতীয় ফুটবল কর্মকর্তারা বাঁকা চোখে দেখে থাকেন।

এ দলটিও তাই অনেক সময় রেফারির পক্ষপাতিত্বে শিকার হন। সেক্ষেত্রে শনিবার রেফারির ভূমিকা নিরপেক্ষ হতেও পারে। তবে আগে বিতর্কিত রেফারি হলেও এবারেও হবে তা ভাবাটা ঠিক হবে না। কিন্তু ঢাকার মোহামেডান ও আবাহনীকে যেভাবে হারানো হয়েছে সেই ভয়টা কাজ করছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।