প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত
মৌলবি নুরুল হকের চিন্তায় বিশ্বনেতা হযরত মুহাম্মদ (স.)
নেতা মানে মানুষ, হযরত রাসুল (স.)কে মানুষ বলা যাবে না, তাই নেতা বলা যাবে না। এখনও কারো কারো বিশ্বাস এখানে আছে। বিশ্বাসের নামই ঈমান, এটা যাদের ঈমান তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা বলবো-হযরত রাসুল (স.) মানুষ ছিলেন, পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তিনি রাসুল ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে।
তাই তিনি মানুষ হয়েও মানুষ থেকে পৃথক। তিনি নেতা এবং বিশ্বনেতা। পাকিস্তান যুগে রাসুলকে নেতা বলার সাহস বিশাল ব্যাপার ছিলো। মনে হয় এই ভাবে বই লিখে রাসুলকে নেতা বলার মতো সাহস তখন দু-একজন ছাড়া কারো ছিলো না। এই দু’একজনের একজন মৌলবি নূরুল হক।
মৌলবি নূরুল হকের সাত পৃষ্ঠার গ্রন্থ ‘বিশ্বনেতা’ আল ইসলাহ পাবলিশিং হাউস থেকে লেখক পত্নী বেগম নুরুন্নেসা হক কর্তৃক ১৩৬০ বাংলার বৈশাখে প্রকাশিত হয়। আজ অনেকেই বুঝতে পেরেছেন ‘সাইয়েদুল কাওনাইন’ মানে বিশ্বনেতা। এইতো গেলো, যারা রাসুলকে ‘সাইয়েদুল কাওনাইন’ মানেন তাদের কথা। আর যারা মানেন না? তাদেরতো ভাষার পরিবর্তনে কিছু আসে যায় না। এখানে প্রয়োজন যুক্তি-তর্কের।
মঞ্চে যদি হয় যুক্তি-তর্ক, তবে জ্ঞান থেকে মুখের শক্তির গুরুত্ব থাকে বেশি। কিন্তু যদি বইয়ের পাতায় হয় যুক্তি-তর্ক, তবে প্রয়োজন হয় বিশ্লেষনের। এই গ্রন্থে মৌলবি নূরুল হক হযরত মুহাম্মদ (স.) কে বিশ্বনেতা বলে চিহ্নিত করতে বেশ যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি মূলত সকলের জন্য লিখেছেন এই গ্রন্থটি। তৎকালিন মূল্য ছিলো মাত্র দুই আনা।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।