আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !!
এক
বিকাল চারটা !
হাসান দৌড়াচ্ছে । হাসান দৌড়াচ্ছে পরীবাগের বাম দিকের রাস্তা দিয়ে । একটু উত্তেজিত !
হাসানের কানে একটা এয়ার ফোন লাগানো রয়েছে । সেটা ওর সেল ফোনের সাথে সংযুক্ত । একটা ফোন কল চালু আছে সেল ফোন টাতে ।
সেখান থেকে নির্দেশ আসছে । হাসান সেই অনুপাতে দৌড়াচ্ছে ।
হঠাৎ ফোনের ওপাশ থেকে হাসান শুনতে পেল
-হাসান !
-শুনছি !
-আপনাকে তাড়াতাড়ি করতে হবে ! পুলিশ আপনার পিছু নিয়েছে ।
-জি আমি জানি । ওরা আপনার দিকে এগিয়ে আসছে ।
আমি এখন কি করবো সেটা বলুন ?
-আপনি বামদিকে দৌড়াচ্ছেন তো !
-জি !
আরেকটু সামনে গেলেই আপনি একটা বড় এপার্টমেন্ট দেখতে পাবেন ! নাম দিগন্ত ! ঠিক আছে !
-আমি চিনি
হাসান এক সময় এই রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে টিউশনি তে যেতে ! সেই সময় সে এই রাস্তা দিয়েই যেত আর দিগন্ত এপার্টমেন্ট টা চেয়ে চেয়ে দেখতো ! মনে হত এই খানে কি কোন দিন থাকতে পারবে সে !
-হাসান আপনি শুনতে পাচ্ছেন ?
-জি আমি শুনতে পাচ্ছি !
-দিগন্তের পাশ দিয়ে আরেকটা রাস্তা চলে গেছে । হাতের ডান দিকে । আপনি সেই বরাবর চলে যাবেন । ঠিক আছে । একদম নাক বরাবর ! দেখবেন একটা ঘরের দরজা খোজা ! যদি কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাকে যেভাবেই হোক সামাল দেবেন !
-কিভাবে সামাল দেব ? আমার কাছে কোন আর্মস নেই !
-সেটা আপনার বিষয় ! একটু আগে এতো একটা কাজ করেছেন সামান্য একজন কে সামলাতে পারবেন না !
হুম ! একটু আগে হাসান অনেক বড় একটা কাজ করেছে ! এতো বড় একটা সে করবে কোন দিন ভাবতেই পারে নি ! অবশ্য অন্য কিছ করারও ছিল না ! আর একটা দিনও হাসপাতালের লোকজন হাসানের স্ত্রীকে রাখতে প্রস্তুত ছিল না যদি না টাকা পেত ! যে কোন ভাবেই হাসানের টাকা দরকার ছিল ! যাক যা হয়ে গেছে !
এখন যেভাবেই হোক পালাতে হবে ! হঠাৎই গুলির আওয়াজ হল পিছনে !
হাসান পিছনে তাকিয়ে দেখে সাত আট জনের একটা দল ওর দিকে দৌড়ে আসছে ।
গুলিটাও নিশ্চই ওরাই করেছে ।
হাসান দৌড়ানোর গতি বাড়িয়ে দিল !
এই তো ! রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে ! একদম শেষ মাথায় একটা ঘরও যাচ্ছে ! কিন্তু ওর পিছনে পুলিশ আসছে । পুলিশ নিশ্চই ওকে রুমের ভিতর ঢুকতে দেখবে । দরজা ভাঙ্গতে ওদের খুব বেশি কষ্ট হবে না ।
তাহলে ?
হাসানের কি ঘরে ঢোকা ঠিক হবে ?
আর কি কোন উপায় আছে ?
হাসান এদিক ওদিক দেখতে লাগলো ! নাহ !
দুপাশেই দুটো বড় এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ।
হাসানের পক্ষে টপকানো সম্ভব না !
হাসান ঘরটার দিকে দৌড় দিল !
দরজার সামনে কেউ ছিল না ! হাসান ঘরে প্রবেশ করলো !
-এই তো আমি ঘরের ভিতর !
-দরজা বন্ধ করুন !
হাসান দরজা বন্ধ করল !
-এবার !
-সামনে দেখতে পাচ্ছে কিছু একটা চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে !
-জি !
-ওটা একটা ভিইকেল !
-মানে ?
-মানে কিছু বুঝতে হবে না ! আপনি কেবল চাদরটা সরাবেন । কাঁচের দরজাটা খুলবেন । ভিতরে বসবেন ! তারপর লাল সুইচ টা অন করবেন !
-কি বলছেন আপনি এসব ! ? বদ্ধ ঘরে এই যান কিভাবে চলবে ?
-শুনুন ! আমি যা বলছি তাই করুন !
-কিন্তু !
-কোন কিন্তু না ! আর আপনার কোন উপায়ও নেই ! আমি যতদুর জানি পুলিশ দরজার প্রায় কাছে চলে এসেছে !
কথা সত্য ! এতোক্ষনে পুলিশ তার দরজার কাছে চলে এসেছে ! এখন আর কোন চিন্তা ভাবনার কোন উপায় নেই ।
হাসান এক টান মেরে চাদরটা খুলে ফেলল ! চাদরের আড়াল থেকে অদ্ভুদ যন্ত্রটা বের হয়ে এল !
যন্ত্রটা দেখে হাসান মুখ থেকে কেবল একটা কথাই বের হয়ে এল
হোয়াট দ্যা াক !! এটা কি ?
যেটাকে একটা যানবাহন বলে আক্ষা দেওয়া হয়েছে আসলে সেটা আদৌও কোন যানবাহন কিনা সেই ব্যাপারে একটা সন্দেহ আছে ! গোলাকার একটা যন্ত্র বিশেষ যার সামনের বেশ খানিকটা জুরে কাঁচ দিয়ে তৈরি ! বাকিটা স্টিলের কিংবা ঐ জাতীয় কোন ধাতু দিয়ে তৈরি ! যানটার ভিতরে উঠবে কি না হাসান চিন্তা করলো কিছুক্ষন !
ঠিক তখনই দরজায় আঘাত পড়লো !
কয়েক মুহুর্ত পরে আবারও আঘাত ! এবার আগের বারের চেয়েও অনেক জোরে ! এই দরজা ভাঙ্গতে ওদের খুব বেশি সময় লাগবে না !
হাসান আর কিছু চিন্তা করার সময় পেল না ! কাঁচের দরজাটা চেনে অদ্ভুদ যানটার ভিতর উঠে পড়লো ! ভিতরেও অসংখ্যা অদ্ভুদ ধরনের যন্ত্রাংশ দেখা যাচ্ছে ! হাসান ওসবের ভিতরে গেল না !
সিট বেল্ট বেধে নিল !
দরজার ধাক্কার পরিমান বাড়ছেই !
ঐ তো দেখা যাচ্ছে লাল সুইচ টা ! হাসান কিছু না ভেবেই লাল বাটনে চাপ দিল !
কয়েক মুহুর্ত ! এইতো ! কিছু একটা চালু হয়েছে ! কাঁপছে ! আস্তে আস্তে কাঁপন বাড়ছে !
হাসান কাপন টা অনুভব করতে পারছে ! এক পর্যায়ে যান টা অনেক জোরে কাঁপতে থাকলো !
কি হচ্ছে এই সব !
হাসানের মনে হল ভয়ংকর কিছু একটা হতে চলেছে ! নিজেকে সিট বেল্ট থেকে মুক্ত করার চেষ্টায় লেগে গেল সে । কিন্তু সেটাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে ! একটা আলোর ঝলকানি আর তীব্র ঝাকুনিতে হাসান চেতনা হারালো !
দুই
-আম্মু ! দেখো !
তানজিনা নিজের জিএস ফোনটাতে আজকের খবর গুলো দেখছি ! তখনই পাশে বসা মেয়ের ডাক শুনতে পেল !
-কি হয়েছে মা মনি ?
জিএস ফোন থেকে চোখ না সরিয়েই মেয়ে ইমুন কে বলল কথা টা !
-আম্মা দেখো না ! আমাদের প্রেসিডেন্ট !
প্রেসিডেন্ট নামটা শুনতেই তানজিনার চোখটা জানলার দিয়ে বাইরে চলে গেল ! ইমুন জানলার কাঁচ নামিয়ে বাইয়ে তাকিয়ে আছে !
তানজিনা বেশ খানিকটা অবাক হয়ে গেল !
দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট খালিদ আবসার তানজিনা থেকে ঠিক দুই তিন হাত দুরে গাড়ির ভিতর বসে আছে ।
১০/১২ বছর আগেও এই জিনিসটা একদম ভাবাই যেত না ! এই ২০৫০ সালে এসে বাংলাদেশের তেমন কিছু পরিবর্তন হয় নি । কিন্তু কয়েকটা বিয়ষ খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে তার একটা হল আগে রাস্তায় চলার সময় কোন ভিআইপি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হত । কিন্তু এখন সেই জিনিসটা নেই । এখন যেই হোক না কেন কারো জন্য রাস্তা বন্ধ করা হয় না !
এখন স্বয়ং প্রেসিডেন্টও রাস্তায় জ্যামে পড়ে থাকে !
কেবল রাস্তায় চলা এম্মুলেন্সের ক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া হয় !
ইমুন বলল
-আম্মু আমি ওনাকে ডাক দেই !
-না মা মনি ! উনি অনেক বড় মানুষ ! তোমার ডাকে বিরক্ত হবেন !
-হবেন না আম্মু !
-ইমুন ! চুপ করে বসে থাকো !
তানজিনে ইমুন কে বকতে শুরু করবেন ঠিক তখন একটা ভরাট গলায় কেউ বলে উঠলেন
-তোমার নাম কি ?
মা মেয়ে দুজনের একসাথে ঘুরে তাকালেন !
প্রে. খালিদ আবসার তার কাঁচের গ্লাস নামিয়ে ইমুনের দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মুখে !
ইমুন বলল
-আমার নাম ইমুন !
পেছন থেকে তানজিনা ধমকে উঠলো
-ভাল নাম বল !
-আমার নাম ইশরান তাজনিনা ইমুন !
খালিদ আবসার বলল
-কোন ক্লাসে পড় মা মনি ?
-ক্লাস ফাইভ !
-ভেরি গুড !
আরও কিছু বলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে ! খালিদ আবসার ইমুনের দিকে এবং তানজিনার দিকে একটু হেসে বলল
-আজকে আসি মা মনি !
তারপর ভুস করে কালো রংয়ের গাড়িটা চলে গেল । পেছনে সাইরেন বাজিয়ে কেবল একটা প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্সের গাড়ি !
তানজিনার মন ভাল হয়ে গেল ! দিনের শেষে এই এসে এই ছোট্ট ঘটনা টাতে মন ভাল হয়ে গেল !
বাসায় পৌছাতে পৌছাতে আরও ঘন্টা খানেক লেগে গেল ! বাসায় পৌছেই এপার্টমেন্টের রিসিপ্টসনিষ্ট বলল
-ম্যাম ! আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে ?
-কোথায় ?
-ওয়েটিং রুমে বসে আছে !
-আচ্ছা !
ইমুন কে এপার্টমেন্টের দিকে পাঠিয়ে তানজিনা ওয়েটিং রুমের দিকে এগিয়ে গেল !
দরজা দিয়ে ঢুকতেই তানজিনা দেখতে পেল ত্রিশ বত্রিশের একজন মানুষ মাথা নিচু করে বসে আছে ।
পরনে কেমন পুরানো দিনের মত কাপড় পরা !
তানজিনা ঠিক বুঝতে পারলো না লোকটা কে ? চেহারাটাও কেমন পরিচিত মনে হচ্ছে । কিন্তু চিনতে পারছে না ।
-হ্যালো !
তানজিনার কথা শুনে লোকটা কেমন যেন একটু চমকে উঠলো !
তানজিনার দিকে ফিরা তাকালো !
তানজিনা বলল
-আমি তানজিনা কাবির ! আপনি আমার সাথে দেখা করতে এসেছে ?
-হুম !
-কেন জানতে পারি ?
লোকটা কোন কথা না বলে কিছুক্ষন কেবল তানজিনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো ! তানজিনার হঠাৎ করেই কেন জানি মনে হল লোকটার চেহারায় আসলেই পরিচিত মনে হচ্ছে ! কোথায় দেখেছে ?
লোকটা আনমনেই বলল
-তুমি তোমার মায়ের মত হয়েছো একদম !
তুমি !!
একটু অবাক হল ! লোকটার বয়স ওর থেকেই ছোটই মনে হচ্ছে । তনজিনার এখন ৩৬ চলছে আর এই লোকের বয়স কোন ভাবেই ৩০/৩১ এর বেশি হওয়ার কথা না ! তাহলে লোকটা কেন ওকে তুমি করে বলছে ।
-আপনি কি বলছেন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না !
-তাহিরা একদম তোমার মত ছিল !
-আপনি আমার মা কে কিভাবে চিনেন ?
লোকটা হাসলো !
-কিভাবে চিনি ?
লোকটা হাসলোই আনমনে কিছুক্ষন !
-কথাটা বললে হয়তো তোমার বিশ্বাস হবে না ! কিন্তু আমি তোমার বাবা !
তানজিনার তখনই মনে হল লোকটা হঠাৎ করেই কেন এটো পরিচিত মনে হচ্ছিল ! লোকটার চোখ একদম ওর নিজের মত !
তানজিনার মা প্রায়ই এই কথাটা বলতো যে ওর চোখ নাকি একদম ওর বাবার মত ! প্রতিদিন আয়নায় তানজিনা নিজের এই চোখ দেখে সে !
তানজিনার এখনও ঠিক মত বিশ্বাস হচ্ছে না ড্রয়িং রুমে বসে থাকা মানুষটা, যে কি না বয়সে তার থেকে প্রায় ৫ বছর ছোট, তার জন্মদাতা পিতা ! জন্মের পর থেকে তানজিনা তার বাবাকে দেখ নি ।
তার মায়ের কাছে শুনছে একদিন অফিস গিয়ে আর ফিরে আসে নি তার বাবা । কি হয়েছে কেউ বলতে পারে না ! তানজিনা তখন ওর মায়ের পেটে ! ওর মা হাসপাতালের ভর্তি ! প্রতিদিন কাজ সেরে হাসপালে তার বাবা মায়ের কাছে আসতো ! কিন্তু ঐ দিন আর আসে নি !
আর আজকে হঠাৎ করেই এসে হাজির !
কোন ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না । কোন কিচু একটা সমস্যা নিশ্চই আছে ! কিন্তু লোকটা নিজের মানিব্যাগ থেকে যে ফটো দেখিয়েছে সেটাতে স্পষ্টই প্রমান হয় যে এই লোকটাই ওর বাবা !
বাবার অস্পষ্ট ছবি সে দেখেছে মায়ের সাথে ! যতদিন তানজিনার মা বেঁচে ছিল ততদিন কেন জানি তিনি তানজিনার বাবার সব স্মৃতি গুলো ওর কাছ থেকে দুরে রেখেছে !
তানজিনা ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখেন তার বাবা ইমুনের সাথে কথা বলছে ।
-ইমুন ঘরে যাও তো ! আমি একটু কথা বলি !
ইমুন চলে গেল !
তানজিনা সোফাটার উপর বসলো কিন্তু ঠিক কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না !
-আমার নাম তো তুমি জানো, তাই না ?
-জি ! সার্টিফিকেইকে আপনার নামটা লিখতে হয়েছে । হাসান মাসুদ !
হাসান হাসলো ! বিমর্শ ভরা হাসি !
হাসান কে খানিকটা বিমর্শ মনে হল ।
-আমি জানি তুমি আমাকে অনেক দোষরোপ কর !
-করা কি উচিৎ নয় ?
-হুম ! উচিৎ !
-যে সময় টাতে আপনার আমার আর মায়ের পাশে থাকা দরকার ছিল তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন না !
হাসান চুপ করে রইলো !
-মা বলতো আপনারা নাকি ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ! তাহলে ? কেন ?
-তুমি কি বুঝতে পারছো না কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে যেটা আমি ইচ্ছে করে করি নি !
তানজিনা সেইটাই জানতে চাচ্ছে ! কি সেই ঘটনা !
হাসান বলল
-তুমি টাইম মেশিনে বিশ্বাস কর ?
-কি ? কি বলছেন আপনি ?
-যদি বলি আমি কেবল টাইম মেশিনে করে এই তোমাদের সময়ে চলে এসেছি !
-আপনি কি বললেন এই সব ?
-ঠিক বলছি ! যখন তোমার জন্ম হওয়ার কথা তখন একদিন হঠাৎ করেই তোমার মায়ের শরীর খারাপ হয়ে যায় ! তখনও আমি ঠিক মত কিছু করি না ! টুকটাক কোন রকম সংসার চলে যায় ! ভালবেসে বিয়ে করার জন্য আমাদের বাবামারা আমাদেরকে মেনে নেন নি ! কষ্ট ছিল আমাদের সংসারে কিন্তু ভালবাসার কোন অভাব ছিল না ! তোমার মাকে হাসপালে ভর্তি করে আমি বের হলার টাকার জন্য ! একসপ্তাহ পরেও যখন কোন টাকা ব্যবস্থা হল না তখন কি করবো ঠিক বুঝতে পার ছিলাম না !
-তারপর ?
-তারপর হঠাৎ করেই একদিন আমার ফোনে একটা ফোন আসলো । বলা হল একটা বিশেষ কাজ করা জন্য ! অন্যায় ছিল কিন্তু তোমার মায়ের চেয়ে আমার কাছে আর বেশি কিছু ছিল না ! বেশ কিছু টাকা পেয়ে গেলাম ! তোমার মায়ের হাসপাতে জমা দিয়ে দিলা ! তারপর যখন পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওদের নির্দেশ মত আমি একটা রুমের ভিতর ঢুকলাম তখন একটা গোলাকার যানের ভিতর আমাকে বসতে বলা হয় ! দরজার ওপাশে পুলিশ দাড়িয়ে ছিল ! দরজার আঘাত করছিল ! আমি লাল সুইচ অন করে দিলাম
-তারপর ?
-তারপর আর কিছু মনেনেই ! আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি ! যখন জ্ঞান ফিয়ে আসে তখন আমি দেখতে পাই আমি সেখাই বসে আছি ! কিন্তু ঘরটা কেমন যেন পুরানো ! বাইরে এসে দেখি সব কিছু কেমন যেন একটু অচেনা অচেনা লাগছে । প্রায় দুই দিন লেগে গেছে আমার এইটা বুঝতে আমি ভবিষ্যতে চলে এসেছি ! আমি যেটাতে বসেছিলাম ওটা আসলে একটা টাইমমেশিন ছিল ! আস্তে আস্তে বুঝতে পারি আসলে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যাতে আমি কোন কিছু ভাবার সময় না পাই আর টাইম মেশিনে উঠে বসি !
কিছুক্ষন কোন কথা হল না !
-এখন কি করবেন ?
-আবার ফিরে যাবো ভাবছি ! এইটা আমার পৃথিবী না ! তখনই ফিরে যেতাম । কিন্তু ইচ্ছা হল একটু ঘুরে দেখে যাই আমার সন্তানটা কেমন আছে একটু দেখে যাই ! তবে তুমি ভেবো না ! তোমার পৃথিবী এরকম হবে না । মনে রেখো তোমার পৃথিবী বাবা শূন্য হবে না !
আমার সাইফাই লেখার হাত নেই ! একটা মানুষের ছিল যার লেখা পড়ে প্রথম সাইফাই লেখার টুকটাক চেষ্টা করে থাকি !
আজ তার জন্মদিন !
শুভ জন্মদিন প্রিয় ইমন ভাই !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।