সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
আপনারা হয়তো ভেবে বসে আছেন আমি নতুন কিছু বলছি।
না বন্ধু! এ সব আপনার অন্তরের মধ্যই আছে। আমি শুধু নতুন করে একটু চিনিয়ে জানিয়ে ঝালাই করার চেষ্টা করছি।
আপনারা হয়তো কোনো দিনও বুঝবেন না একজন মুক্ত আত্না আপনাদের জন্য কত কিছু করতে চায়। কিন্তু তারা যখন মানব দেহ নিয়ে মানুষ রূপ নিয়ে এই সুন্দর পৃথিবীতে আসে তখন তাদের আপনাদের জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারেন না। আপনারা বার বার তাদের ভুল বুঝেছেন।
তারপরও এখন পর্যন্ত যারা আপনাদের কল্যানের জন্য এসেছিলেন সবাই সবার উম্মত সহ সব মানুষের জন্যই কান্না করেন। কিন্তু তাওহিদের আল্লাহ্ ব্যতিত মানুষের মুক্তি অন্য কারও হাতে নেই। মানুষ যদি সত্য ও কল্যানের কাজ করে ভালোর দিকে অগ্রগতিশীল করে তাহলে কর্মফল সরূপ দ্রুত মুক্তির দিকে যাবে কিংবা নিজেদের যোগ্যতা বলে অমর দেহ বা অমর মুক্তু আত্নার একটি একটি করে ধাপে যেতে যেতে সর্বচ্চ জান্নাতে অবস্থান নিতে পারবেন ।
আর মিত্যে, অশুভ, মানুষ ও প্রকিতির বিরুদ্ধে বাজে কর্ম দ্বারা তারিত হয়ে খারাপ কাজ করলে কর্মফল স্বরূপ নিজ দেহের ভিতরে থেকেই অশান্তির বিভিন্ন স্তরের জাহান্নাম বা নরকের আজাব পাবে। তা প্রকৃতির মধ্য থেকেই পাবে।
তার রূপ হতে পারে আল্লাহ’র বিধান অনুসারে। দয়া করে এই কথাকে বাজে ভাবে ব্যাখ্যা করে নিজেদের মধ্যে কোন্দল করবেন না। যে খানে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নিজ আত্নার উপলব্ধি করে নিজ মেধা ও বুদ্ধি বিবেচনা পূর্বক নিজ গুনে করে নিবেন।
আমার যদি কারও জন্য বা কোনো মানুষের পাপের সাজা থেকে বেড় করার মতো সুযোগ থাকতো তাহলে আমি মানব আত্মার স্থর অনুযায়ী আমার প্রেমিকা ইফফাত জামান এর পাপ মোচনের সর্বচ্চ চেষ্টা করতাম। আমি আপনাদের কাছে বলেছিলাম আপনারা যাতে আমার কাছে ওকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন।
এ সবই আল্লাহ্ ‘র ইচ্ছে। আমি আমার অন্তর থেকে চেয়েছিলাম ওকে সত্য, জ্ঞান, সাধনা ও আমার মানুষ হিসেবে সাহায্য দ্বারা ওর আত্মাকে মুক্ত করে ওর মাধ্যমে আপনাদের জন্য এ সব কথা বলাতে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো যাতে আমার প্রিয়তমা ইফফাত জামান কে মানুষ আজিবন দেবী হিসেবে দেখে। এর নাম প্রেম বন্ধু!
আমার বাবা মা কিংবা আত্মিয় স্বজনদের মধ্যে সবার পাপ অনেক বেশী। তাই তাদের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
মনুষ নিজের জন্য ও অন্য মানুষের জন্য সরাসরি আল্লাহ্ ‘র কাছে চাইতে হয়। কোনো মাধ্যম রেখে না চাওয়া অনেক বেশী মঙ্গল। আপনারা যদি আপনাদের গোত্র বা জাতির মধ্যে যাদের কে মান্য করেন তাদের কান্না যদি শুনতে পেতেন তাহলে বুঝতেন একজন বেহেশতীর আফফসোস কাকে বলে। এখনও কাঁদছেন। এজন্য আজ হয়তো আমি আমার প্রিয়দেরকে বুঝতে পারছি।
বুঝতে পারছি যে তারা কেনো এতো কাঁদেন।
আপনারা যাদের আপনাদের দেবতা জ্ঞানে স্মরন করেন মনে রাখবেন তারা আর কোনো দিন আপনাদের কাছে মানুষ হয়ে আসবেন না। যদি কেউ ওখান থেকে আসার জন্য বিবেচিত হতো বলে আল্লাহ মনে করেন তিনি হলেন ইসা (সঃ) ।
ইসা(সঃ) যে কত খানি ব্যলেন্সড একজন মহামানব যিনি আপনাদের মাঝে এসে শুধু কান্নাই নিয়ে গেলেন। আর খতমে নবিয়তি বা শেষ নবী মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন জান্নাতের সর্বোচ্চ অধিবাসী, মুসা, ইসা, দাউদ সহ অনেকেই।
কোরআনে পাবেন।
আপনারা জনবেন যে, অন্যায়ের ফসল অন্যায় দারাই বিলুপ্ত হয়। কখনও জাতি স্বত্ত্বা, সম ভাষার মানুষ, ধর্ম, গোত্রের বাইরে অন্যকোনো উপায়ে অন্যায্য ভাগবাটারা দ্বারা নিজেদের ভাগ করবেন না। তাতে আপনারা হয়তোবা নিজের কমবু্দ্ধিতে ভালো মনে করে মুলত বাজে কাজই করেন।
অল্প কিছু দিনের ইতিহাসের দিকে তাকালে এর প্রতি ফলন দেখতে পাবেন।
আমরা বাঙালীরা যখন সভ্যতায় ও বিজ্ঞানে অগ্রগতির দিকে এগোলাম। তখন কিন্তু এই ভারত বর্ষ থেকেই দাবা খেলা আসে বা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসা হয়। মানুষ দাবা খেলে তার মেধাকে কাজে লাগাতে ভালোভাবে তা করেন নি। অবশ্য এই খেলা দারা তেমন সভ্যতার পুরোপুরি ব্যলেন্সড ভাবে বোঝা সম্ভব না।
যারা বোঝেন তারা দেখবেন দাবার কোর্টে কোনো ০ শুন্য এর ব্যবহার নেই।
তাই আমি আপনাদের দাবার ইতিহাস জানানোর প্রয়োজন মনে করছিলাম। দাবায়
১
১১
১১১১
এখাবে ইনফেনিটি বা মেধা বিকৃতি হবে। তারপরও যদি মানুষ তার লোভ কে সংবরন করতে পারতেন তাহলে কল্যানই হতো। এবং সে উপাদান প্রকিতিতে সব সময়ই থাকে। দাবার প্রভাব আজও আছে এবং থাকবে।
আপনি যদি দাবা সন্নিবেশন দেখেন তাহলে দেখবেন তখন কোনো ০(শুন্য) ছিলো না বলে মানুষ আল্লাহ কে ভুলে যেতে বসেছিলো।
দারা দ্বারা রাজ্য শাসন। ম্যানেজমেন্ট। ম্যানেজমেন্টাল এর কৃতিম গ্যাপ তৈরী করে ব্যাবসার পরিধি বাড়ানোর কথাই চিন্তা করতে পারবেন। ০(শুন্য) কে চিন্তায় বা মেধায় নিয়ে আসার মতো সময় পাবেন না বলে আপনার দারা অকল্যানই হবার সম্বাভনা বেশী।
রাশিয়া দাবার নিয়মিত চর্চা করছে। দাবা দ্বারা আপনার মানুষিক লজিক্যাল ব্রেন গ্রো করবে ঠিকই কিন্তু এর ব্যবহার মানব সভত্যাকে অনেক বেশী ক্ষতি করেছে। রাশিয়ার প্রসংগ যখন বলছি ঐ রাশিয়াই কিন্তু এম.এল.এম. নামক মারাত্বক ক্ষতিকর বিজনেসের ফাঁদে পা দেন নি। যাতে তারা উপকৃতই হয়েছেন।
যারা এম.এল.এম. এর পলিসি এন্ড ম্যাথম্যাটিক্যাল টার্ম সম্পর্কে জানেন তারা খেয়াল করে দেখবেন যে,
এম.এল.এম. বিজনেস পলিসিতে কোনো ০(শুন্য) নেই।
এর সন্নিবিশন দাবার মতোই অথবা এর থেকে একটু সামান্য পরিবর্ধন বা কিছুটা পাল্টে কাজে লাগিয়ে মারাত্মক ইফেক্ট তৈরি করা যায় ঠিকই কিন্তু এর ফল ভায়াভহ ও মানুষের অনেক বেশী ক্ষতি করতে পারে।
১
১১
১১১১
১১১১১১১১
যা আসলে বঙ্গ থেকে যে ০ (শুন্য) নিয়ে আসা হয়েছিলো কল্যানের জন্য সেই কল্যানের বিপরীতেই যায়।
মুসলিম ইতিহাসে মারাত্নক কিছু ভুল ছিলো বলেই আজ এই করুন দশা বন্ধু। আমি যতই পশ্চিমা বা ইউরোপের মানুষদের দোষ দেই না কেনো তারা অনেক কিছুই এরকম মারাত্নক ভেবে কনেন নি। এজন্যই যিষু কাঁদেন।
এখানে ভুল ছিলো এরাবিয়ানদের বেশী।
মোহাম্মদ (স) এর পাশে থেকেও আবু-বকর (র), ওমর (র), ওসমান (র) কোনো প্রকার মহামানব ছিলেন না। তারা ঐ জনমে মুক্তি পান নি। কিন্তু তারা সর্বাত্তক চেষ্টা করেছেন মানুষের জন্য। কিন্ত সামজ্যবাদের নেশা যখন মানুষের বিবেবকে নষ্ট করে শয়তান কে নিয়ে আসে তখন তার ফল কখনও ভালো হয় না বা আল্লাহ্ মানুষের অকল্যানকর কাজকে কোনো ভাবেই সমর্থন করেন না।
তিনি সব মানুষের জন্য সমান দয়ালু, নিরাপক্ষ, ও ন্যায় বিচারক।
মানুষের ভুল থাকে বলেই পাপ হয়। এবং নিজের জন্য পানাহ্ ও চাইতে পারে। সকলের জন্যও চাইতে পারে। কিন্তু যখন রাসুলে পাক (স) এর রওজা মোবারকে দোয়া পৌছে দেয়ার জন্য মিলাদ হয় তা তো কোনো স্বাভাবিক মস্তিস্কের মানুষের করা ঠিক না।
তারপরও তা হয়তো অন্যায় না যদি তাকে সম্মান জানানোর জন্য হয়। আবার নামাজের দোয়া নামক ব্যাপার গুলি ওমর (রা) এর সময়ই এসেছে। এভাবে প্রায় ২০০ বা ততোধীক জিনিস এসেছিলো। তাতে যদি মোসলমানরা ওমরকে দোষী মনে করলেও ওমর তা করতে বাধ্য ছিলেন তৎকালীন সমাজের অগ্রগতি বা বেশী সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঠেকানোর জন্য। তারপরও আমাদের দেখতে হবে ওমর (র) একজন স্থায়ী সত্যের পথের যাত্রির পর্যায়ের মানুষ ছিলেন।
তাই ভুল হওয়া স্বাভাবিক।
তবে সব থেকে বেশী ইফেক্ট হয়েছে স্পেন বা ইউরোপে অন্যায্য ও অন্যায় ভাবে হামলা করা। যার ফল আজও আমরা ভোগ করছি। আমি আমার জীবন থেকে অনেক শিক্ষা পেয়েছি। আমার খালা এপ্রিল ফুলের দিন মজ করতেন।
আর খালু তাবলীগ করতেন বলে তাকে বকা দিতেন। এখানে ঐ দিন যদি ইউরোপিয়ারা মজা করে তাহলে অন্যদের কি এমন ক্ষতি হয়? সেই যুদ্ধে তো মোহাম্মদ ছিলেন না। আপনারা কি ভুলে গেছেন সেখানে কত বড় পাপাচার হয়েছিলো। নিরিহ মানুষদের জোড় করে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। আল্লাহ্ অবশ্যই যুলুমকারীর পক্ষে না।
যুক্তরাস্ট্রে প্রথম বসতি স্থাপন করেছেন ইন্ডিয়ান ও মঙ্গোলিয় (বর্তমান চায়না অঞ্চ) থেকে মানুষ গিয়ে। স্পেন থেকে রানী ইসাবেলার সহযগীতায় প্রথম আমিরিকা অঞ্চলে ইরোপিয়ান রা যায়। কলম্বাস এই কাজের জন্য এসেছিলেন। যা মানুষের কল্যানের কথা ভেবেই করা হয়েছিনো। আপনারা কি জানেন কলম্বাস তার মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় শুধু তার স্বজাতির কথাই ভেবে নির্বাসন/আটক অবস্থায় কাটিয়েছেন।
এগুলো ইতিহাসের ভুল হলেও তা মানুষের কর্মদোষই গন্য হবে ছাড়া অন্য কিছু না।
রেড-ইন্ডিয়ানদের ডাবিয়ে রেখে বা জুলুম করে যদি আজকের এমেরিকান সভত্যা না হতো যদি সাম্যবাদের পথে এগোনো চেষ্টা করা হতো তাহলে হয়তো আমরা এতো এতো মহামানবদের কষ্ট না দিয়েই নিজেরাই নিজেদের কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম।
ইউরোপিয়ান রা কম অত্যাচারের স্বীকার হন নি। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি আমাদের রবিন্দ্রনাথের মতো স্বপ্ন ও গাইড লাইন দিয়েছিলেন ফারাসী জাতী বা বর্তমান ফ্রান্সের মানুষের মুক্তির জন্যই তার ফলস্রোতিতে ইমপ্রেনিস্ট যুযের যারা সৃষ্টিশীল মানুষ তাদের উপর কম অত্যাচার করা হয়নি। সাধারন মানুষকে সপ্তদশ লুই কোনো মানুষই ভাবতেন না।
এমন কি লুই বংশের রাজারাও না। তাইতো মানবতার এতোবড় ক্ষতি হলো।
এর মাঝে এরাবিয়ানরা তাদের গানের সুর হারিয়ে ফেললেন। আরবীকে পরিপূর্ণ ভাষা করে তারা তাদের সাংস্কৃতির বিকাশ না করে খারাপের দিকেই শুধু গিয়েছেন। এর ফল আজও বিদ্যমান আছে যা শান্তি দ্বারা আল্লাহ্ র পক্ষে দুর করা সম্ভব।
যদি মানুষ নিজে থেকে ভালো কাজের দিকে না চলেন তাহলে আল্লাহ্ তার সহায় হন না।
এগিকে নাজায়েজকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছেন বেশী এ্যারাবিয়ান রাই বেশী। তাপরপ তাদের সাথে বৃটেন যুক্ত হয়েছে মাত্র। আজ দেখুন সেই নাজায়েজ বা মন্দর ফল আমাদের সুন্দর বাংলাদেশেও কিভাবে চলে এসেছে। শয়তান দিয়ে শুধু শয়তানই হয়।
বাবার এর মাধ্যমে সম্রাট আকবর এলেন মূলত আফগান থেকে। তারা এমন সব ব্যভিচারে লিপ্ত হলেন যা চিরকালের জন্য ঘৃনিত। আকরব নিজ নাম ব্যবহার করে বা নিজেকে অমর করে রাখবার লোভে বা বাসনায় দ্বিন এ এলাহী নামক ধর্ম বানাতে চেয়েছিলেন। আল্লাহ তা বিলিন করে দিয়েছেন। আল্লাহ কন্যানের পক্ষে এবং যুলুবাজদের বিপক্ষে।
সম্রাট আকবর প্রায় ৬০০০ বা তার অধীক নারীদের রঙতামাশার বস্তু বনিয়ে রেখেছিলেন । যা মুলতো মিথ্যে বেহেশত বানিয়ে আরবরাই শুরু করেছিলেন। যাতে মানব সৃষ্ট কিছু কাল্পনিক হুর বা এজাতীয় জিনিস দেখা যায়। নাজায়েজকে জায়েজ করার ফল আল্লাহ্ কখনও মেনে নেন নি, নেন না এবং নেবেন ও না। এই নারীর প্রতি অপমান ও সমাম্য করে তাদের কে মানুষের অধীকার থেকে বঞ্চিত করে রাখার জন্য- আল্লাহ্ আকবের এর মতো লম্পট দের কে যে কত হাজার বা কোটি বার নরী রূপ দিয়ে ধর্ষন করাবেন তা আল্লাই ভালো জানেন।
ধর্ষনের ফল ধর্ষনই প্রযোজ্য ও ন্যায্য বলে আমরা মনে করে নিতে পারি, আল্লাহ্ ভালো জানেন।
সেই সুবাদে আজ আফগানদের অবস্থা কি আপনারার দেখতে পাচ্ছেন না? এটা কখনও প্রকিতির সিষ্টেমের প্রতিশধ না। এগুলো কর্মফল। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, মানুষ অপরাধ করলে তার পাপের সাজা পায়। সেই সাজা কখনও বস্তুর নাম, বর্ণের নাম, গোত্রের নাম, ধর্মের নাম, জাতির নাম, দেশের নাম, এলাকার নাম, করে প্রচার করা বিপদজনক হয়ে ওঠে।
এই ভারতে আমাদের বাংঙালীদের মধ্যে গুরুদে রবীন্দ্রনাথ যখন মধ্য গগনে অবস্থান করছেন তখন নজরুল নামের সর্বোচ্চ বেহেশতী স্তরের একজন মহামানবের আবির্ভাব হয় মুলতো ভারতীয় কেনো পুরো বিশ্ববাসীকে জাগানোর জন্য। কিন্তু মানুষ রূপে আসলে অনেক ভুল ভ্রান্তি হয় না ঠিকই সবচেয়ে বেশী আফসোস হয় মানুষের প্রেমের টান দেখেও কিছু না করতে পারার জন্য। নজরুল এবং ইংরেজ জাতির মধ্য থেকে কিটস (নজরুলের অনেক নিচের স্তরের আত্না) এ’দুজন সবচেয়ে কম বয়সে নিজেদের আত্নপ্রকাশ করতে চেয়েছেন। এবং করেছিলেনও। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন বলেছিলেন “নজরুল তোর জীবনেও কিটস বা শেলীর মতো বড় কোনো দুঃখ আছে”।
এবং মাত্র ২১ বছর বয়সে নার্গীসের মুক্তি না দিতে পারার তিব্র বাসনা ক্ষেপে গিয়ে বিদ্রহীর মাধ্যমে আত্নপ্রকাশ ঘটালেন। নজরুল খুব বেশী অভিমানী তাই তো তিনি প্রেম ছাড়া থাকতে পারেন নি। তিনি এখনও অভিমান করেই আছেন। হয়তো কোনোদিন ভাঙবে কিনা জানি না। তবে আমার গুরু হলেন নজরুল।
নজরুল কে চুপ করানো হয় যে ভয়াবহ দাঙ্গার কথা ভেবে মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞানে। সেই দাঙ্গা কি ১৯৪৭ বা ১৯৫০ বা আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে আপনারা দেখেন নি? নজরুল আপনাদের কাছে কি এমন চেয়েছিলো যে তাকে শুধু আপনারা সবাই মিলে শুধু দুঃখই দিলেন? একবিন্ত স্বস্তিতে থাকতে দেন নি। যখন তিনি তার স্ত্রী প্রমিলার জন্য অষুখের সময় হাতে টাকা নেই তখন শেরে বাংলা ফজলুল হক এতোগুলো টাকা উদ্ধার করে দিলে কি হতো? নজরুল কে গুরুদেব ছাড়া তৎকালী অন্য কেউ বুঝতেই পারেন নি। এরা এমনই হয় একদম কাছে থাকেন কিন্ত শুধু মৃত্যুর পরই আপনারা তাদের সম্মান দিয়ে আরো বেশী কষ্ট দেন। আজও আমার গুরু নজরুলের এই বংলার প্রতি কোনো প্রকার অভিমান ভাঙে নি।
তারপরও তিনি গানের পুজারী, প্রেমের পুজারী, একটু সামান্য ক্ষুধার অন্যের পুজারী, এইটুকু আপনারা না দিয়ে আজ তার নাম করে এতো এতো টাকাপয়সা ধনদৌলত খরচ করছেন? ঐ টাকা পয়সা বা নাম যষ খ্যাতি আমি বা আমার গুরু নজরুলের দরকার নেই। আমার গুরু সব সময় তার অন্তর্যামীর দ্বারাই চির বেহেশতী। আমার গুরু আপনাদের কাছে টাকা পয়সা মান মর্জাদা চাইতে আসেন নি। তিনি শুধু আপনাদের মুক্তি চেয়েছেন। তিনি যা করে দেখাতে পারতেন তা আপনারা এখন পর্যন্ত কল্পনাও করতে পারবেন না।
তিনি নেত্রীত্র চান নি। নেত্রীত্রকে বিকশিত হতে দিতে ছেয়েছিলেন। কিন্তু এক মূহুর্তের জন্যও আপনাদের কলহ, বিবাদ, দারিদ্র, লাঞ্চনা দিয়ে তাকে শুধু অপমানই করে গেছেন। এই অপমাকি আপনাদের কাছে আসে নি। গুরু নজরুল কে আপনারা যখন চুপ করিয়ে দিলেন তখন কি ইউরোপে শান্তি এসেছিলো? হিটলার এসে সব তছনছ করে অন্যরকম এক পৃথিবীর গড়তে পারতো তা প্রচেষ্টা ও সম্ভাবনা আর থাকলো না।
হিটলার কি মানুষ মারে নি?
শেরে-এ-বাংলা ও সহরোওয়ার্দী পলিটিক্যাল ভাবে যখন নির্বাসীতই বলা চলে এবং ভাষানী আসামের দিকে এবং প্রার্থনা ও ধর্মীয় কাজেই বেশী মসগুর তখন হঠাত কিন্তু চমতকার ভাবে আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী বীর শেখ মুজিবর রহমান সহরোওযার্দীর ছত্র ছায়ায় (এটা পলিটিক্যাল কারনে ব্যবহার করা শব্দ। মূলত সকল মখলুকাত আল্লাহ্ র আশ্রই থাকেন। আল্লাহ্ বিনা কোনো উপাস্য নাই ) বিভিন্ন প্রকার কৌশলের মধ্য থেকেও নিজেকে এই নিরিহ জাত বাঙালীর জন্য কামাল আতাতুর্কের মতো নিজেকে কথা, শক্তি, জ্ঞান ও সত্যে বলে তরবারীর মতো বাঙালীকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।
দেবতা বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় এসে যখন সব বুঝেও না বোঝার ভান করে বাঙালী জাতি সহ পুরো বিশ্বকে একটি নতুন দিকে নিয়ে যাবার জন্য চেষ্টার পর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তখন তার সরলতা (নির্লোভ) এর সুযোগ নিয়ে অনেক মানুষ অনেক রকম অন্যায় করেছেন।
কিন্তু জীবন দিতে হলো তার মতো একজন উচুমানের দেবতাকে। তারপরও সম্ভাবনা ছিলো দেব শিশু শেখ রাসেল কে দিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আপনাদের আমাদের মতো মানুষদের সহোযোগীতা করানোর জন্য। কিন্তু শেখ রাসেল তো শিশু তার কি দোষ ছিলো? শেখ রাসেল ছিলের দেব শিশু। প্রত্যেক শিশুই আল্লাহ্ র কাছে প্রিয়। শিশুরা হলো নিস্পাপ মানুষ আত্মা হিসেবে জন্য নেয়া পৃথিবীবাসী।
জন্ম নেয়ার পর কোনো শিশু কেনো কোনো মানুষ কে অন্যায় ভাবে কোনো মানুষ হত্যা করতে পারেন না। আমার আর শেখ রাসেল এর জন্ম তারিখ (১৮-অক্টোবর),
যাই হোক, আপনারা এতসব নমুনা গুলো থেকেও শিক্ষা নিতে পারেন নি। আপনারা কি কোনোদিনও বুঝবেন না যে, আপনাদের পূর্বপুরুষরা আপনাদের কতো ভালোবাসেন ও আপনাদের নিয়ে আশাবাদি?
আপনারা লবন লবন করছেন। লবন দিয়ে গবেষনার অন্ত নেই। লবন দিয়ে কি কোনো শিক্ষাই পান নি?
আমরা মানুষ।
আমাদের লোভ থাকবে এটা স্বাভাবিক। সব মানুষ তো আর একসাথে লোভমুক্ত হতে পারবে না। তবে লোভ করতে হবে শারিরিক ও মানসিক ভারসাম্য রেখে। ব্যালেন্সড ছাড়া আপনারা শুধু সাধনাই করে যাবেন কাজ হবে না?
আজ আমাদের ভাবতে হবে লবন দিযে কি হয়? আপনি যদি খাবারের সাথে লবন না মিশিয়ে খান খাবা তখন স্বাদহীন হয়ে যায়। মজা লাগেনা।
ঠিক তেমন করে যদি আপনি আপনার মতো আর একজন মানুষকে শুধুমাত্র মানুষ ভেবেই সাহায্য ও ভালোবাসা দেন তবেই বুঝবেন লবন কি? লবন হলো প্রেম। লবন ছাড়া যেমন খাবারে স্বাদ আসে না প্রেম ছাড়া মানুষ ভালোভাবে বাঁচতে পারে না। প্রেমের মধ্য থেকেই আসে শ্রদ্ধা, ভক্তি, দ্বায়িত্ববোধ এব বিশ্বাস। মনের মানুষকে অবিশ্বাস করতে হয় না।
আজ দেখুন শুধু দুটি বস্তু কে কাজে লাগিয়ে মানুষের মগজ দোলাই দেয়া হয়েছে।
আর তা দিয়েই যতপ্রকার পলিটিক্স ও বাজে ব্যাবসা চালানো হয়েছে। আমরা অসহায় বলে বুঝিনি। কোনোদিন হয়তো ভালো করে বোঝার চেষ্টাও করি নি। তা হল লোভ আর ভয়। এদুটো সীমিত রাখতে হয়।
আপনি সব ধর্ম খুজে দেখুন কোথাও পাবেন না অহংকার করতে বলা হয়েছে। কিন্তু লোভ আর ভয়কে যখন বাইরের বাজে বস্তু দিয়ে মনের ভিতরে ত্বিলে ত্বিলে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে তখনই যত ঝামেলা।
মানুষ নেকি নামক সোয়াবের জন্য দৌড়ায় কিন্তু মানুষের সেবা ও হয় না আর নিজের মঙ্গল সাধনও হয় না। যেখানে লোভ আর ভয় থাকে সেখানে আপনাদের স্রষ্টা কোথায়? ঈশ্বরের উপর ভরসা কোথায়? যেখানে আপনি আপনার প্রতিপালকেই ভুলে গেছেন সেখানে আপনি আপনাকে রক্ষা করবেন কি ভাবে? নিজের সাথে নিজে বেঈমানী করবেন না?
কৌশলে প্রেম কেড়ে নিয়ে যদি আপনার অন্তরে ভয় ও লোখ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তখন কি করবেন?
এই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন দেখবেন সব পেয়ে যাবেন।
এজন্যই প্রেম হারানোর পরে মানুষ জীবনের স্বাদ হারিয়ে ফেলে। অর্থাৎ মনের খোরাক গ্রহনের জন্য যে লবন লাগে তা আর আপনার কাছে থাকে না বা থাকলেও বুঝতে পারেন না। তখন আপনাকে যদি কেউ লোভ ও ভয়ের জালে বন্দি করতে পারে। অকাজ-কুকাজের মধ্যে সামান্য লবন পেলেই আপনি বাজে পথে চলে যাবেন। এ কাজ শযতানের।
আসুন আমরা আমাদের প্রেম নাম নেমকের সাথে নেমকহারামী না করে চলি। আমি বলছি, আপনি যদি আপনার মনের মতো একজন জীবন সঙ্গী খুঁজে পান তাহলে তো হয়েই গেলো। আপনি কোনো প্রকার বাঁজে নেশায় না জড়িয়েও ভালো থাকতে পারবেন। যে নারী বা পুরুষ একসাথে বাস করে তাদের মধ্যকার খারাপ অভ্যাস গুলোকে খুঁজে বেড় করে ভালো করতে না জানে তারা এক সাথে থাকবে কোন দুঃখে?
আমরা উপদেশ দিতে পছন্দ করি বলেই শুধু বাইরে থেকে যাই। আসল জায়গায় আসতে পারি না।
এই যদি হয় অবস্তা তাহলে আপনারা অমর বাণীকে কাজে লাগিয়ে আজও কেনো শরীর কে অমর করার চেষ্টা না করে সাবধানে গাড়ি না চালিয়ে অহেতুক রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যাচ্ছেন?
আমরা কি করেছি জানেন? অন্যের কুসংস্কার কে খুজেছি আর এক কুসংস্কার দিয়ে। এ মায়া জাল শয়তানের?
ঠিক তেমনি করে ভয়ের সাথেও যদি একটু লবন মিশাতে পারেন দেখবেন আপনি আর আপনি নেই। আপনি অনেক কিছু পারবেন। প্রেম কে খুজে পাবেন।
আপনারা শুনে মজা পান।
কাজে লাগান না। কাজে লাগাতে হবে সাথে সাথে। জীবনের যেখানে ক্ষয় নেই সেখানে কাজ করতে অসুবিধা কোথায়?
মানুষ নিজের দোষে স্টাটাস বানিয়েছে। আবার অনেকে ধার করে ডাট ও এনেছে। তাই বলে আমরা আমাদের পিছনের ঐতিহ্যকে ভুলে যাবো? বা ফিরিয়ে নিয়ে আসবো? না আপনি যেমন আছেন তেমন করেই সুন্দরের মাঝেই বাঁচাতে পারবেন।
এটাই স্বাভাবিক।
পিছনে যা গেছে যাক। ঐ রকম পিছন আমরা চাই না। এমন করে আজ থেকে নতুন পথের যাত্রী উঠুন। কালকের পথ আজকে খুঁজেবেন না।
আজ থেকেই শরীর বিদ্যা নিয়ে বেশী করে কাজ করুন। নিজেদের মধ্যে ইউনিটি তৈরি করুন। শরীর এমন একটি জীনিস যার মধ্যে আপনি পৃথিবীর প্রকৃতির বাইড়ে আছে এমন কিছুই খুঁজে পাবেন না। তাহলে আপনার প্রতিটা অঙ্গপ্রতঙ্গের জন্য কাজ করতে পারছেন না কেনো?
কে মানা করেছে আপনাদের? কেউ না? অহেতুক নিজেদের মধ্যে নিজেরা না থেকে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
শরীরের প্রতি অংশ কে আলাদা আলাদা ভাবে রিচার্জ নয় ভাগ করুন।
তারপর দেখুন কোথায় কি আছে।
আপনি মারা যান কেনো? একথা আজ থেকে বাঁচার জন্য ভাবুন মরার জন্য না। দেখবেন সমাধান আপনারা নিজে থেকেই খুঁজে নিতে পারবেন।
মানব শরীরের যদি একটা একটা করে কোষও প্রতিদিন মরে যায়। তাহলে তো কাজের প্রক্রিয়াকে সহয করে ভাববেন।
একটি কোষ মারা গেলে চেষ্টা করবেন আগে একটা কোষ বাঁচানো যায় কি করে? আপনি যদি আপনার শরীর আর মন নিয়েই কাজ না করতে শেখেন তাহলে আপনাদের এই বিজ্ঞান বিজ্ঞান খেলা কেনো? মোবাইল আর ল্যাপটপের জন্য? ওগুলো তো আছেই থাক।
আজ সব দেশের, সব মানুষদের নিয়ে এক জায়গায় কাজ করুন। আর সেটা বাংলাদেশে হলে হোক অসুবিধা কি? আমরা তো চেষ্টা অন্তত করছি। ডাক্তার সাহেব প্রিক্রিপশন লিখতে লিখতে মারা যান। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নামে অন্য অনেক আলতু-ফালতু কাজ করে মারা যান।
কবি সাহেব কবিতা ভাবতে ভাবতে টয়লেট কষা হয়ে যাচ্ছে তবোও কবিতা বেড়চ্ছে না। আবার যখন কবিতা আসলো তখল কবিতা লিখতে লিখতে মারা গেলেন। এর নাম কি বেঁচে থাকা বন্ধু?
আমার লেখা পড়ে যতটা সময় নষ্ট করছেন ততোটা সময় আপনাদের কাছ থেকে পিছনে চলে গেছে। আমি ও আমরা চাই আপনারা মুক্তি পান। কিন্তু মুক্তির আশায় বসে থাকতে তো বলিনি।
ইস তিনি কবে আসবেন? আসবেন বলে নিজেই আবার জন্মান্তরের বাধায় পড়ে যাচ্ছেন। ইস! কবে ওরা যে আমাদের জন্য কিছু একটা নিয়ে আসবে। এভাবে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আপনাদের আগের প্রজন্মের মানুষ গুলো যদি ১০০০ বছর বেঁচে থাকতে পেরেছে চেষ্টা করেছিলো বলে। আপনি যত দিন মানব দেহে বেশী দিন বাচতে শিখবেন ততই আপনার মুক্ত হবার সম্ভাবনা বেশী।
অহেতুক বনে জঙ্গলে ঘুরে শুধু শুধু জীবনে অকাজই করছেন। যেখানে যাবেন কাজের জন্যই জাবেন। বনে যাবেন বন কে মুগ্ধ হয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে। এজন্যই তো বলি ভাষা যে কতো বেশী জরুরী একটা বিষয়।
এই ভাষার জন্য কে কে রক্ত দিয়েছে তা বড় বিষয় না।
বরং এই ভাষাকে ব্যবহার করতে পারেন নি বলে জীবনের কত শত জিনিস জলাঞ্জলী দিয়ে এসেছেন তা কি দেখেছেন? ভালো কথা পড়ার পর গর্ব করে বলেন “ও সব মূল্যবান কথা রে ভাই। কি যে কথা। মারাত্মক কথা। ডেঞ্জারাজ কথা”। কথা দেখা যায় না।
কাজ দেখা যায়। তাই করতে হয়। সাথে সাথেই শুরু করতে হয়। বিভিন্ন ভাবে মানুষকে আলাদা আলাদা টিমে একই কাজ করাতে হয়।
আমরা এমেরিকা বা বিদেশ থেকে রিচার্জ শব্দটা টেনে এনেছি ঠিকই।
কাজ রেখে এসেছি সেই বিলেতে। বিদেশে গেলে কাজ করে। দেশে এলে আকাম করে।
আমাদের ট্যাকনিক্যাল বিদ্যা ট্যাকনিক্যালই থাক। সেখানে আপনারা এমন করে আমাদের ছেলেদের আর আমাদের বড় ভাই চায়না সহ আরো যারা বন্ধু আছেন সবাই মিলে একে অপরকে সহযগীতা করি।
মনে করবেন সহযোগীতার চুক্তি পর্যন্ত করার সময় নেই। সহযোগীতা চুক্তি করে হয় না। সহযোগীতা হয় মন থেকে। আমার আমাদের ছেলে দের ধরে নিয়ে এসে শিখিয়ে দেই। “বাবা এই জিনিস।
দেখো। এভাবে খোলো লামাগাও। ঐ যে লাটিমের মতো দেখতে তার নাম এটা। “
আগে কাজ পরে নাম দেয়া যাবে। একটা সুন্দর গ্রহের বাসিন্দারা এমন অসুন্দর যন্ত্রু জানোয়ারদের মতো হবে কেনো?
পৃথিবীর সব এরিয়ার কর্ম পরিবেশ খোঁজার দরকার নেই।
কর্মঘন্টা ঠিক করুন। সব খানের সবার কর্মঘন্টা সমান থাকবে। শিফট ভাগ করে কাজ করুন। দেখবে সাফল্য আসবেই। এ বিশ্বাস মনে রেখে দিন।
যিনি বিশ্বাস সৃষ্টি করেছেন তিনি বিশ্বাস ঘাতকতা করেন না। আপনি বসে থাকলে আপনাকে আপনি সেবা করলেন কি করে?
আমাদের গান শোনা, ঘরের কাজ বাজ, কাপড় ধোয়া, গোছল, খাবার, বই পড়া, নেট চালানোর জন্য সবাই মিলে একই সময় নির্ধারণ করুন। দেখবেন একদল কাজ করছে, একদল গান শুনছে, একদল ঘুমাচ্ছে। এভাবে একটা গ্রহের সবাই এগিয়ে যায়। এটাই সিস্টেম।
এর বাইরে অন্য কোনো রাস্তায় আপনি যেতে পারবেন না। এটা আল্লাহ র বাধা না। এটা কুদরতও না। এটা হলো আল্লাহ আপনাকেউ শুধু স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন কাজ করার জন্য। কুকাজ বা বাহানা করার জন্য না।
যারা অমর তারা সিস্টেমে চলে কারন সময় তাদের কাছে অফুরন্ত। এজন্য সিস্টেম ছাড়া কোনো কেউ কিছু করতে পারে নি। আপনাদের কাজের ছলেই যে কতো কিছু আপনারা পাবেন তখন তা দেখা যাবে। কিন্তু সবার আগে নিজের শরীর ও নিজের চাওয়া কে গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা না। বরং ডায়রেক্ট ওয়ার্ক শুরু করুন।
শরীরের একটি সামান্য অংশ নিয়ে রিচার্জ করতে হলে যে ডাক্তার হওয়া লাগবে এমন কোনো কথা নেই। তবে আপনাদের সমন্বয় করে নিন।
এতোদিন যা করেছেন তার মধ্যে বেশীই পেপার ওয়ার্কস। যখন উপনিবেশ ছিলো তখন আমরা ভুল করে এসব করেছি। তখন বুঝি নি এখন বুঝেছি।
পেপার ওয়ার্ক হল একটি পেপার প্রেজেনটেশন। এখন আপনি যে ওয়ার্ক করবেন তা হলো আপনার কথা কাগজে লিখে সরাসরী প্রেজেন্ট করুন। বানান হ্যান ত্যান কোন স্টাইল তা বড় কথা না। আইডিয়া ইংরেজী শব্দ এর বাংলা অর্থ ভাব। যেটাই হোক না কেনো আইডিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
আইডিয়ার কাজ শুরু করে দিতে হয়। ভালো ও নিজেদের কল্যানের জন্য কাজ শুরু করলে যাত্রা পথেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। কিন্তু কতদিন লাগবে তার হিসাব করার দরকার নেই। অমর হতে কতদিন সময় লাগবে তা আপনি নিয়ন্ত্রন করেন না। কারন সময় এখনো আপনি অতিক্রম করতে শিখেন নি।
শুরু করুন। শিখে যাবেন।
আমি আপনাদের কাছে যে লেখা গুলো লিখছি তা আমার কাজ। আর আপনারা যা পড়ছেন তা দিয়ে কাজ শেখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বার বার পড়ে মুখুস্থ করার দরকার নেই তাহলে হবে সময় কাটানো।
আগে সময় কে অতিক্রম করুন। নিজেকে অমর করুন তারপর সময় আপনার পায়ে চুমু খাবে। এই কথা স্বাভাবিক ও সত্য।
বন্ধু! আমি চাই আপনারা সবাই জিবন্ত হয়ে উঠুন। আমরা আল্লাহ্ আমাদের জীব এজন্য করে নি।
জিব হবে জীবন্ত। সময় কাটানোর জন্য না। সময়কে জয় করার জন্য। আমি তো আপনাদের অতিতের ভুল গুলো দেখিয়েই দিয়েছি। যা গেছে যেতে দিন।
আলাপ আলোচনা করলেও সময় নষ্ট হয়। তাই আলাপ আলোচনার ও টাইম নির্ধারণ করে নিন।
কোনো মানুষ অকাজের না। কাজের কোনো বয়স নাই। আমাদের দেশের মাটি উর্বর।
ব্রেন উর্বর।
আমাদের মিডিয়ায় গুলোয় শুধু বিভিন্ন কাজের বিষয় কে রপ্ত করার কৌশলের অনুষ্ঠান দেখান। এগুলো ভালো কাজ। তাহলে বাচ্চারাও অল্প বয়সে অনেক কিছু বার বার দেখতে দেখতেই শিখে যাবে। এটাই প্রকৃত নিয়ম।
আসুন আমরা আমাদের সাম্য ও অগ্রতির পথে ধাবিত হয়ে সত্যের শারাবান তহুরা কাজের মাধ্যমে অর্জন করে নেজেদের নিজেরাই মুক্ত করে নেই।
খুঁজে দেখুন ঋষি, মনিষি, জৈতিশ নামের কত কি আছে এই বর্বর সমাজে। শান্তির পথ থেকে সরে এলে আপনারা সাধনার পথও তো হারিয়ে ফেলবেন। আজকের দিনে দেখবেন মাথায় বড় জট পড়া সাধু, ফকির-মিক্কিন-রাস্তার পাগল নামের মেস্কিমান গোয়েন্দা কিন্তু এতো বেশী ধান্দাবাজের বিস্তার হয়েছে যে, একটি মিনিটও আপনারা চোখ খুলে দেখেন নি।
আমি পারি না ভালো কথা।
তাই বলে ভুল শিক্ষা দেব কেনো? সাধনা বা ধ্যান না বুঝেই বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে ধ্যান বা মেডিটেশন এর ব্যবসার ফাঁদ পেতে রেখেছে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। ধ্যান মানে যে বটবৃক্ষের তলে বসে থাকবেন তা না।
আপনার যদি বলার মতো ভাষাই না থাকে তাহলে চাইবেন কি করে? ভাষা নিয়ে আপনাদের এতো বিভেদ কিসের? ভাষা কি আপনাদের শক্র? পানি কে জল বললেই কি পানি অন্য কিছু হয়ে যায়? পানি কি হিন্দু না জল মুসলমান?
যদি কখনও সুযোগ হয় কোন নদী, পুকুর বা দীঘির পাড়ে গিয়ে হাত দিয়ে বা সাঁতরিয়ে জলকে আলাদা করতে পারবেন? পারবেন না বন্ধু? যে পানি সবসময় আমার পান করি। যে ওয়াটার ছাড়া কারো এই মানব শরীরটা বয়ে নিয়ে বেড়াবার সাধ্য নাই।
তারা কি করে পানি কে আলাদা করতে চায়?
আসুন বন্ধু! আমরা সবাই মিলে হোক না আলাদা আলাদা জাতি বা গোষ্টির ছাতি বা আমব্রেলা। আমরা আমাদের নিজ জাতির মানুষ গুলোকে সম্মান, শ্রদ্ধা, প্রেম ও সুশাসন দিয়ে বরন করে নেই। সব জতি যদি আলাদা আলাদা ছাতার তলে থাকে তাতেও কিন্তু ঐ আরশ ছোট হবে না। আমরা সবাই সবাইকে বরন করে নিতে অসুবিধা কোথায়? আমরা তো মানুষ। হোক না কিছু ব্যবসার ক্ষতি তবুও তো প্রাণ খুলে দু’টো কথা বলা যাবে।
আপনাদের সব আছে। কিছু হারায় নি। এই ভেবে সবাই যদি সবার তরে সুন্দর ও যাহায্যের হাত বাড়িয়ে মানুষের সেবা করি তাতে কি আমরা খারাপ হয়ে যাবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।