রঙিণ চশমাওয়ালা সাদা চুলের বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবালের ‘আমার দেখা গণজাগরণ মঞ্চ’ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়লাম। আমি উনার একজন পাঠক। পত্র-পত্রিকায় জাফর ইকবালের লেখা চোখে পড়লে পড়ার চেষ্টা করি। সাব এডিটরের কাজ করলে যা হয় অফিসে আমারও ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। সারাক্ষণ ব্যস্ততার ভেতর দিয়েই আমার সময় কাটে।
কোন দিন থেকে সূর্য ওঠে কোন দিকে অস্ত যায় অনেক সময় আমার তাও খবর থাকে না। মাঝে মাঝে আমার পত্রিকার এডমিন প্যানেটে সমস্যা দেখো দেয়, সে সুবাধে টুকটাক পড়ালেখার সময় পাই। আজও একটু সময় পেয়েছিলাম সে রকম। তাই একটি অনলাই পত্রিকায় প্রকাশিত জাফর ইকবালের আমার দেখা গণজাগরণ মঞ্চ লেখাটি পড়ার সুযোগ হয়।
উক্ত লেখাতে জাফর ইকবাল সাহেব মনের সকল অাবেগ মিশিয়ে, তার সর্বোচ্চ লেখনি শক্তি প্রয়োগ করে পাঠকদের বুঝাতে চেয়েছেন।
জাফর ইকবাল বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে একই সাথে জনপ্রিয় এবং পরিচিত একজন লেখক। কিছুদিন আগে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্বস্ত্রীক পদত্যাগ করেছেন। ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই তিনি তার পদত্যাগ পত্র ফিরিয়ে নেন। তার পদত্যাগের ফলে শিবিরের পোলাপানরা মিষ্টি বিতরণ করে ফাও টাকা নষ্ট করেছিল। কারণ, শিবির মনে করেছিন জাফর ইকবাল পদত্যাগ করলে তারা লাভবান হবে।
কোন দিক থেকে শিবির বা জামায়াত লাভবান হবে তা আমার বোধগম্য নয়। জামায়াত-শিবিরের একটা বড় সমস্যা হলো তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। আমি জামায়াত-শিবির সম্পর্কে যতটুকু গবেষণা করেছি তাতে আমি আওয়ামীলীগের সাথে জামায়াতের একটি বিষয়ে মিল লক্ষ্য করেছি। তা হল-
জামায়াত-শিবির সমালোচনা সহ্য করতে পারে না, আওয়ামীলীগও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। এ দুই রাজনৈতিক দল সম্পর্কে ইতিহাস অধ্যয়ন করলে তা অমাদের সামনে আরো পরিষ্কার হয়ে ধরা দেবে।
এ প্রসঙ্গে-জামায়াত নেতা, আব্দুর রহিম, শিবির নেতা শিশির মো: মণির এর নাম উল্লেখযোগ্য।
আর আওয়ামীলীগের-তাজউদ্দিন আহমেদ, এম এ জি ওসমানী, কাদের সিদ্দিকীর নাম উল্লেখযোগ্য।
এবার আসা যাক জাফর ইকবাল প্রসঙ্গে, জাফর ইকবাল এমন একজন লেখক, যে তার লেখার মধ্য দিয়ে তরুণ-তরুণীদের একটা রূপকথার জগতের ভিতর নিয়ে যান। উনি কোনো দলের লোক হয়ে কাজ করেন কিনা আমার অজানা। জানারও বিষয় নয়।
তবে তিনি মাঝে মাঝে এমন স্বপ্ন দেখাতে থাকেন যে, বাস্তবতাকে একেবারেই ভুলে যান। দেশ কোন দিকে যাচ্ছে, তরুণ-তরুণীরা বখে যাচ্ছে কিনা, দেশের সীমান্তে ফেলানীরা নিরাপদ কিনা, কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেল কিনা সে দিকে তার কোনোই খেয়াল নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।