আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাককালামের রেকর্ডে মুছে গেল ভারতের হাসি

খেললেন বটে! প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯২ রানে নিউজিল্যান্ড দলের অলআউট হয়ে যাওয়ায় ইনিংস পরাজয়ের দুঃস্বপ্ন দেখেছিল কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কিন্তু হাল ছাড়েননি দলনেতা। নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ত্রি-শতক করে মাঠ ছাড়লেন। কিউই অধিনায়কের এই অসাধারণ কৃতিত্বে ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

মঙ্গলবার টেস্টের পঞ্চম দিন নিউজিল্যান্ড আট উইকেটে ৬৮০ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর ভারত ১৬৬ রান তুলতেই ড্র মেনে নেন দুই দলের অধিনায়করা।

হাতে চার উইকেট নিয়ে ৩২৫ রানে এগিয়ে থেকে জিমি নিশামকে নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ম্যাককালাম। ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রি-শতক পেতে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৯ রান।

তবে সকালে ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ম্যাককালামের ত্রি-শতকের আগেই শতক তুলে নেন আগেরদিন ৬৭ রানে অপরাজিত থাকা অলরাউন্ডার নিশাম। এরপর নিউজিল্যান্ডের ৮৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাককালাম ত্রি-শতক করার পর পুরো বেসিন রিজার্ভ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল সাবেক অধিনায়ক মার্টিন ক্রোর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯১ সালে করা ২৯৯ রান।

এরপর ৩০২ রান নিয়ে ফেরার পথে নিশামকে সঙ্গে নেননি ম্যাককালাম। তখন ইনিংস ঘোষণা করলে ৭৭ ওভারে ৩৮০ করতে হতো ভারতকে। ড্র হলেও সিরিজ জেতা নিশ্চিত হয়, স্বভাবতই কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক। এ সুযোগে আট নম্বরে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন নিশাম। অভিষেকেই শতক করা জিমি নিশাম অপরাজিতই থাকেন ১৩৭ রানে।

নিউজিলান্ডও পায় ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রান।

দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করার পর ভারতকে অলআউট করার জন্য ৬৭ ওভার পায় কিউই বোলাররা। মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির কিছু আগে ম্যাচ ড্র ধরে নিয়েই ব্যাট করতে নামেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। বিরতির আগের চার ওভারে কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ফিরেই পর পর দুই ওভারে শিখর ধাওয়ান ও মুরালি বিজয়কে হারিয়ে একটু চাপে পড়ে ভারত।

এরপর ১২তম ওভারে বিরাট কোহলির ব্যাটের কানায় বল লাগলেও আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কোহলিও এমন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন, যেন কিছুই হয়নি। এরপর চেতশ্বর পুজারা আউট হলেও কোহলির শতকে নিশ্চিত হয় যে ভারত ম্যাচটা হারছে না। অথচ দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পেয়েছিলেন এমএস ধোনি।

২০০২-২০০৩ সালের পর এই প্রথম ভারতকে টেস্ট সিরিজে হারালো নিউজিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ১৯২ (উইলিয়ামসন ৪৭, নিশাম ৩৩; ইশান্ত শর্মা ৬/৫১, সামি ৪/৭০) ও ৫৭১/৬ (ফুলটন ১, রাদারফোর্ড ৩৫, উইলিয়ামসন ৭, ল্যাথাম ২৯, ম্যাককালাম ৩০২* অ্যান্ডারসন ২, ওয়াটলিং ১২৪, নিশাম ১৩৭*, সাউদি ১১, ওয়াগনার ২*; শর্মা ০/১৬৪, জহির ৫/১৭০, সামি ২/১৪৯ জাদেজা ১/১১৫)

ভারত: ৪৩৮ (ধাওয়ান ৯৮, বিজয় ২, পুজারা ১৯, ইশান্ত শর্মা ২৬, কোহলি ৩৮, রোহিত শর্মা ০, রাহানে ১১৮, ধোনি ৬৮, জাদেজা ২৬, জহির ২২, সামি ০*; সাউদি ৩/৯৩, বোল্ট ৩/৯৯, ওয়াগনার ৩/১০৬, নিশাম ১/৬২) ও ১৬৬/৩ (বিজয় ৭, ধাওয়ান ২, পুজারা ১৭, কোহলি ১০৫*, শর্মা ৩১*; বোল্ট ১/৪৭, সাউদি ২/৫০)

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।