সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে শনিবার ইয়ানুকোভিচ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে যান। এরপর ওই প্রাসাদ ও পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেন বিরোধীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়ানুকোভিচ পদত্যাগ করবেন না বলে টেলিভিশনে বিবৃতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে উৎখাতে পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটাভুটির খবর পাওয়া পাওয়া যায়। ৩২৮ জন এমপি ‘ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে সরানোর’ পক্ষে ভোট দিয়ে প্রস্তাবটি পাস করেন।
একই সঙ্গে আগামী ২৫ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন তারিখ ঠিক করেন তারা।
এর আগে সকালে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসলে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন স্পিকার ভ্লোদোমির রিব্যাক। কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ুলিয়া তেমোশেঙ্কোর মিত্র ওলেকসান্দর তুর্কিনোভ তার স্থলাভিষিক্ত হন।
এছাড়া ২০১১ সাল থেকে কারাবন্দী থাকা বিরোধী নেতা ইয়ুলিয়া তেমোশেঙ্কো আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পান।
প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ তার কার্যালয় ছেড়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশ সীমান্তের কাছাকাছি খারকিভ শহরে অবস্থান নিয়েছেন বলে তার সহযোগীরা জানিয়েছেন।
এদিকে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাসের কিছুক্ষণ আগে টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে কিয়েভের পটপরিবর্তনের ঘটনাকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেন ইয়ানুকোভিচ।
গত বছরের নভেম্বরের শেষদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে না গিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে বড় অংকের ঋণ নেন ইয়ানুকোভিচ। এরপর থেকে তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা গত দুদিন ধরে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ, যাতে অনেক মানুষ হতাহত হন।
মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ সহিংসতায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীসহ অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
হতাহতের এ ঘটনার পর শুক্রবার ইউরোপিয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে ওই চুক্তি হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।