ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে হানাহানি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলঙ্ক!
নিয়ন বাতির আলোয় আমার আর ভক্তি নেই।
নিয়নের হলুদ-কমলা রঙে
পৃথিবীর যোনি থেকে নীল রক্ত বেরোয়,
আর আমি মুষড়ে পড়ি।
নিয়ন বাতির আলোয় আমার আর প্রেম জাগে না
জাগে না কাম জাগে না ক্রোধ
জাগে না ঘৃণা জাগে না মোহ
নিয়নের আলো আমার অহং-এর বলৎকার করে,
আর আমি মার্কস-এঙ্গেলস ছুঁড়ে ফেলে হাতে মিল-বেন্থাম তুলে নিই
আমার সাম্যবাদী মুষ্টিবদ্ধ হাত নেতিয়ে পড়লেও পুরুষাঙ্গ বিপ্লব ঘোষণা করে!
চিৎকার করে বলে- শূয়রের দর্শন জিন্দাবাদ!
গ্রেটেস্ট নাম্বার অফ হ্যাপিনেস ফর গ্রেটেস্ট নাম্বার অফ পিপলস!
সব লুটলো , খালো , পিলো – ভুন ডালো সালে ভুখে সব নাঙ্গে কো !
নিয়ন বাতির আলোয়
ললিত যখন কফি কালারের বমি করতে করতে নেতিয়ে পড়লো,
আমরা তখন দম ফুঁকেই যাচ্ছি , ফুঁকেই যাচ্ছি
যেন ঢাকা-র আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকে ফেলার পন ছিল সে রাতে আমাদের।
শালার পেটের আলসার ঐ রাতেই ওর ধুকপুকে হৃদপিণ্ডটার
দায়মুক্তি দিয়েছিল চীরতরে।
নিয়ন বাতির আলোয়
বৃদ্ধ দিনমজুর করম আলীর ঘর্মাক্ত মুখ আমার চোখে পড়ে নি।
পৃথিবীকে মোটের ভারে নুব্জ করে সে আমার সামনে যেই না পড়ল,
সাথে সাথে আমি তলপেটে লাথি হাঁকিয়ে বলেছিলাম- রোককে সালা!!
একি তোর বাপের রাস্তা যে অমন ল্যাগবেগিয়ে চলছিস ?
আমার বাবার বয়েসি লোকটা কোঁক করে একটুখানিক শব্দ তুলেই
সেই যে গড়িয়ে পড়লো রাস্তার ঢালে , আর উঠলো না।
নিয়ন বাতির আলোয়
আমি আমার ক্লান্তশ্রান্ত মগজটা খুলে
আমার অন্তর্বাসের পাশে বারান্দায় আলো বাতাসে ঝুলিয়ে দিই
শালার ম্যাড়মেড়ে আলোয় সে আর চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।
আমিও মারা যাই প্রতিদিন , একটু একটু করে।
লুঙ্গিতে মালকোঁচা মেরে নিও-ক্লাসিক্যাল পদ্য লিখি ,
মানুষ ছুঁয়েও দেখে না!
নিয়ন বাতির আলোয়
গাধা রঞ্জুটা এই সেদিন টিএসসির এটিএম বুথের পাশে বসে
ল্যাম্পপোস্টকে গার্লফ্রেন্ড ভেবে জড়িয়ে ধরে চুমু খেল ঘণ্টাদেড়েক!
আর অতিচালাক মোশাররফ টেরই পেল না ,
ওর মেয়েবন্ধু সে রাতে ওকে এক হাজার একটা চুমু খেল ,
ব্যায়ামবীর এক্স-বয়ফ্রেন্ডের সাথে কাটানো
এক হাজার একটা রাতের নগ্নসুখ স্মরণ করে ।
তাই নিয়নের আলোয় জীবন চিনতে চেও না,
সে আলো বড় ধোঁকাবাজ – বেইমান !
শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রিডেটর একটা !
এ বড় অবাক আলো , এ বড় বিষম সময়,
সূর্য ওঠার অপেক্ষা কর , অপেক্ষা কর সত্যের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।