ওই তালিকায় কারাবন্দি জেএমবি সদস্যদের নাম, বাবা-মা ও ছেলে-মেয়ের নাম ও সংখ্যা রয়েছে। এ থেকে পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তার জঙ্গিদের পরিবারের খরচ যোগানোর বিষয়টিও তাদের মাথায় ছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, স্বপ্না রাজশাহীর একটি কলেজের স্নাতকের ছাত্রী। স্বামীর সঙ্গে টঙ্গীর গাজীপুরার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাঝে মাঝে ক্লাস করতে রাজশাহী যেতেন তিনি।
রহমত উল্লাহ বলেন, “স্বপ্নার বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মোবাইল, একটি পেনড্রাইভ, মডেম, ল্যাপটপ, ব্যাংকের এটিএম কার্ড, দুটি গাড়ির কাগজপত্রসহ ‘জিহাদি’ বই ও বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের তালিকা পাওয়া গেছে। ”
গত রোববার সকালে ময়মনসিংয়ের ত্রিশালে পুলিশ ভ্যানে বোমা ও গুলি ছুড়ে দণ্ডিত তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে হামলাকারীদের গাড়িচালক জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরার সিকদারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে স্বপ্নাকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয় বলে এসি রহমত উল্লাহ জানান।
স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরশা থানার বাইকাপাড়া এলাকায়। ঢাকার পূর্ব বাসাবো এলাকায় জাকারিয়ার বাবার বাড়ি থাকলেও চার মাস আগে স্বামী-স্ত্রী মিলে গাজীপুরায় ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।
টঙ্গী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর গাজী জানান, জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বপ্নাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হস্তান্তর করা হয়েছে।
তার বাসা থেকে জব্দ ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভে জেএমবির বিভিন্ন জেহাদি বইয়ের ‘সফট কপি’ রয়েছে।
জঙ্গিদের নাম, ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য সম্বলিত তালিকাটি জাকারিয়ার হাতে লেখা বলেও জানান তিনি।
জাকারিয়া ও স্বপ্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ বলেন, তাদের কাছ থেকে আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার জাকারিয়াকে ২০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে টাঙ্গাইলের একটি আদালত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।