পুলিশের ভয়ে অবশেষে রাজধানী ছেড়েছেন ধর্ষিতা স্বপ্না (ছদ্মনাম)। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন-সহ আরেকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বপ্না। এরপর কয়েকজন অজ্ঞাত লোক স্বপ্নাকে এসে শাসিয়ে যায়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জীবন নিয়ে আবারও শঙ্কিত হয়ে পড়েন স্বপ্না।
অবশেষে কয়েকজন সাংবাদিকের সহায়তায় রাজধানী ছেড়ে মানিকগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে চলে যান তিনি।
এদিকে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সারাক্ষণই কেঁদেছেন স্বপ্না। কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, বংশাল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষণ, গর্ভপাত ঘটানো, সর্বশেষ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়। জীবিকার তাগিদে চাকরি নিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম। তবে আমার আর চাকরি করা হলো না।
আবারও আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো এমনকি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ওই চক্র।
এ ব্যাপারে স্বপ্না- প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্বপ্না বলেন, পুলিশ সদর দফতরে অপরাধীদের ব্যাপারে অভিযোগ করলে এর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজীব আল মাসুদকে। একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা তলব করলে তিনি তার অফিসে যান। তবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে ওই তদন্ত কর্মকর্তার অফিসে ঢুকতে না দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
একই সঙ্গে তাকে মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখান। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের বরুণ্ডী গ্রামে।
এই হলো ধর্ষিতা স্বপ্নার বর্তমান অবস্থা। কেউ নেই তার পাশে। কেউ এখোনো বলেনি 'স্বপ্না তুমি একা নও আমরা আছি তোমার পাশে'।
এটাই বুঝি বাস্তবতা। সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে। এই দেশে যার যত পরিচিতি তার জন্য সবাই কাজ করে আবার যার কোন পরিচিতি নেই তার পাশে কেউ নেই।
শুধু স্বপ্না নয় এইরকম হাজারো স্বপ্না ধর্ষণসহ আরো বড় বড় কষ্টের স্বীকার হচ্ছে প্রাণ হারাচ্ছে তাদের দেখার বা তাদের বিচার করার কেউ নেই।
পুলিশের সহযোগিতায় একটা মেয়েকে ধর্ষণ করা হলো আর এ নিয়ে মিডিয়ার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
থাকবেই বা কি করে.......... এখন তো সবখানেই.............. ইয়া ... চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।