বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার না থাকায় হাই কোর্টের বিচারপতি এম আর হাসান মঙ্গলবার এই রায় দেন।
এই আটজন হলেন- চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার এবং পরিচালক মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, আহমেদ শফি চৌধুরী, ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরী, এম কবিরুজ্জামান ইয়াকুব, রোমানা শরিফ, সুরাইয়া রহমান, আজিজুর রহমান।
তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মেহেদী হাসান চৌধুরী। আর ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম।
আর ব্যাংকের শেয়ার মালিক শফি আহমেদ চৌধুরীর পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন।
তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকেব মাহবুব।
আখতার ইমাম পরে সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্ট চেয়ারম্যানসহ আট পরিচালকের পদ শূণ্য ঘোষণা করেছে। এখন তারা আর পদে নেই।
“এই রায়ের ফলে অনেক ব্যাংকেই সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই আমি মনে করি, আপিল বিভাগে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
তবে আমরা আপিল করব কি-না, সেটা মক্কেলদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
সাকেব মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ার না থাকায় পূবালী ব্যাংকের নির্বাচন কমিশন গতবছর ১৪ অগাস্ট এই আট পরিচালককে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে।
এরপর তারা হাই কোর্টে গেলে আদালত গত ২০ অগাস্ট কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়। পরদিন নির্বাচনে তারা পরিচালক নির্বাচিত হয়ে যান।
“আজ চূড়ান্ত শুনানির পর তাদের পদ শূণ্য করে দিয়েছে আদালত।
তাদের কারোই ২ শতাংশ শেয়ার নেই; অথচ ১৪ বছর ধরে এই পদে রয়েছেন। ”
২০১১ সালের ২২ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কোম্পানির পরিচালকদের ব্যাক্তিগতভাবে নূন্যতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ বাধ্যতামূলক করে। যেসব ব্যাংক পরিচালকের ওই পরিমাণ শেয়ার নেই, তা ছয় মাসের মধ্যে অর্জন করতে বলা হয়।
“এই হিসাবে ২০১২ সালের ২২ মের পর থেকে তারা অবৈধভাবে পদে রয়েছেন। ”
২০১২ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৩৬২ জন পরিচালকের একটি তালিকা প্রকাশ করে, যারা ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।