ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন। ধূমপায়ীরা বলবেন, অবশ্যই কঠিন।
অনেকে ধূমপান ত্যাগের অনেক চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারেননি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ত্যাগ করার জন্য যদি নিজ থেকে কিছু কৌশল রপ্ত করা যায় তাহলে প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয় জনই সফল হন। সে রকম কিছু কৌশল এখানে উল্লেখ করা হলো।
১. ধূমপানে কী কী স্বাস্থ্য সমস্যা হয় তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং এর মধ্যে কোন বিষয়টাকে আপনি সবচেয়ে বেশি ভয় পান সেটাতে লাল চিহ্ন দিয়ে রাখুন।
২. ধূমপান ত্যাগ করলে কী কী লাভ হতে পারে তার একটি
তালিকা তৈরি করুন।
৩. আপনার পরিচিত যেসব লোক ধূমপান ত্যাগ করেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি দেখবেন যে, তারা কেউ কিন্তু আপনার চেয়ে স্মার্ট নন বা সবল নন। সুতরাং তারা ধূমপান ছাড়তে পারলে, আপনি পারবেন না কেন?
৪. ধূমপান ছাড়ার জন্য একটা তারিখ নির্বাচন করুন এবং সেদিন থেকেই ধূমপান ছেড়ে দিন।
ওই দিন সব সিগারেট, অ্যাসট্রে, দেশলাই এবং লাইটার ছুড়ে ফেলে দিন। আপনার বাসা এবং গাড়ি পরিষ্কার করুন, পরিষ্কার করুন আপনার পোশাক-আশাক, আর আপনার
দাঁতগুলোও পরিষ্কার রাখুন।
৫. আপনার সাথে ধূমপান ত্যাগে যোগ দেয়ার জন্য আপনার বাড়িতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে অন্য ধূমপায়ীদের একত্র করার চেষ্টা করুন।
৬. পরিকল্পনা মতো এগিয়ে যান। ধূমপান ছাড়ার আগেই ব্যায়াম করা ও পুষ্টিকর খাবার খেতে শুরু করুন।
মজুদ রাখুন স্বাস্থ্যকর, স্বল্প ক্যালরির নাশতা, চিনিবিহীন গাম এবং ক্যানডি।
৭. যতক্ষণ না আপনি আপনার সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি যেমন ককটেল পার্টি পরিহার করুন।
৮. টেনশন থেকে মুক্তির ভিন্ন উপায় খুঁজে নিন। ব্যায়াম, মেডিটেশন এবং গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন-এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
৯. নিজেকে প্রতারিত করবেন না।
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, সিগারেট তো ছেড়েই দিয়েছেন কিন্তু আজকের দিনে একটি সিগারেট খেলে এমন কী ক্ষতি হবে। সাবধান, এই চিন্তা মাথার মধ্যে আনবে না। একটা সিগারেট আপনার মধ্যে আরো সিগারেট খাবার প্রলোভন
তৈরি করবে।
১০. যদি প্রথম চেষ্টায় আপনি সিগারেট ছাড়তে সফল না হন, আবার চেষ্টা করুন। বেশির ভাগ লোক, যারা ধূমপান ছেড়েছেন, তারা চীড়ান্ত ভাবে সফল হওয়ার আগে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছেন।
১১. ধূমপান ছেড়ে দেয়ার পর যদি সময় কাটানো আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে, আপনি নিজেকে সম্মোহিত করুন, যারা আপনাকে সমর্থন দেন-যোগ দিন তাদের সাথে।
১২. আপনি নিকোটিন প্রতিস্থাপন থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন, ধূমপান ছাড়তে এটা উপকারী। নিকোটিন প্রতিস্থাপন থেরাপি বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায়। যেমন- প্যাচ, গাম, ইনহেলার অথবা ন্যাসাল স্প্রে ইত্যাদি। যেহেতু নিকোটিন একটি বিষ তাই এ ধরনের প্রতিস্থাপন থেরাপি গ্রহণ করতে হলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করতে হবে।
তা ছাড়া হৃদরোগ বা আলসারের রোগীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১৩. বিউপ্রপিওন ওষুধ ধূমপান ত্যাগে সাহায্য করতে পারে।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।