বহুদিন থেকেই জিনিসটা লক্ষ্য করছি যে আজকাল পাবলিক বাসে সাধারণত যাত্রীরা কোন প্রকার ধুমপান করেন না। আগে তো লোকাল বাসে হর-হামেশাই যাত্রীরা ধূমপান করতো। কিন্তু পাবলিক বাস কিংবা জনাকীর্ণ স্থানে ধুমপানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর লোকজন জনাকীর্ণ স্থান সম্পর্কে সচেতন না হলেও অন্তত পাবলিক বাসের ব্যাপারে বেশ সচেতন। পাবলিক বাসে ধুমপান হ্রাসের একটি বড় কারন জনগণের সচেতনতা। বিশেষ করে যারা অধুমপায়ী তারা সব সময়ই ধুমপায়ীদের প্রতিবাদ করেন বাসে ধুমপান না করার জন্য।
এমনকি যারা ধুমপায়ী তারাও বেশীরভাগ সময় বাসে ধুমপানের বিরোধীতা করেন। এটা সত্যিই একটি ভাল লক্ষন। আইন মেনে চলার প্রবনতা সবার ভিতর জাগ্রত হওয়া দরকার।
কিন্তু সরকারী নিষেধাজ্ঞা, জরিমানা, মানুষের প্রতিবাদ এসবের পরেও একটি বিশেষ শ্রেণীর লোক পাবলিক বাসে অনবরত ধুমপান করে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। তাদের দেখলে মনেই হয় না এমন কোন আইন আছে।
প্রতিবাদ করলেও কোন কাজ হয় না। এরা হল বাসের ড্রাইভার ও হেলপার। এখন এরা ছাড়া বাসে আর কেউই ধুমপান করে না। যাদের দায়িত্ব ধুমপান না করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা তারাই হল বাসের মুল ধুমপায়ী। বাসে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, রোগী কে আছে না আছে তা পরোয়া না করেই তারা রাজকীয় হালে ধুমপান করে যাচ্ছে।
আমার সাথে এই নিয়ে বহুবার তাদের তর্কাতর্কি হয়েছে, উচ্চবাচ্য হয়েছে। অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতেও পরতে হয়েছে দুই একবার। কিন্ত কতবার করা যায় এই সব? ২/১ জন প্রতিবাদ করলে তো আর হয় না। যে যার মত নির্বিকার বসে থাকে। দরকার সকলের সম্মিলিত প্রতিবাদ।
আসুন সবাই মিলে অন্তত একটি ক্ষেত্রে একমত হই --- "আর যানবাহনে ধুমপান নয়"....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।