আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Flight 772

Do not pray for easy lives. Pray to be stronger men. "Do not pray for tasks equal to your powers. Pray for powers equal to your tasks. Then the doing of your work shall be no miracle, but you shall be the miracle. " --Phillips Brooks



১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯। মঙ্গলবার। সময় ১৩:১৩। ফ্রেঞ্চ এয়ারলাইন Union des Transports Aériens এর একটি ম্যাকডোনেল ডিসি-১০ উড়োজাহাজ, (রেজিস্ট্রেশন নাম্বার N54629) নিজামিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এই উড়োজাহাজটি, UTA Flight 772 নামে পরিচিত যা কঙ্গোর ব্রাজাভিল থেকে চাদের রাজধানী নিজামিনা হয়ে প্যারিসের CDG এয়ারপোর্টে নিয়মিত যাতায়াত করে।






দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফ্লাইটটি কিন্তু সেদিন তাঁর গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি। উড্ডয়নের ছেচল্লিশ মিনিটের মাথায় যখন এটি ১০,৭০০ মিটার (৩৫,১০০ ফুট) উচ্চতায় তাঁর গন্তব্যের দিকে সুনির্দিষ্টভাবে ভেসে যাচ্ছিল ঠিক তখনি বিমানের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে UTA Flight 772 আকাশ পথেই পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। বিমানটি তাঁর ১৫৫ জন যাত্রী এবং ১৫ জন ক্রু নিয়ে নাইজারের বিলমা আর টিনিরি শহরের কাছাকাছি সাহারা মরুভূমিতে আছড়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় বিমানটির ১৭০ জন আরোহীই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।

ছয় লিবিয়ানকে শেষ পর্যন্ত এই সন্ত্রাসী হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।





এই ঘটনার আঠার বছর পর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য তারা বিমানটি যেখানে ক্রাশ করেছিল সে জায়গাটিকেই বেছে নেন। বহু কষ্টে তারা সারাহা মরুভূমির যে স্থানে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছিল সেখানে জড়ো হন। সেখানে পৌঁছাবার পর তারা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে অত্যান্ত দুর্গম জায়গা বলে ওখানে এখনো বিমানটির নানা ভাঙ্গা অংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।












ধীরে ধীরে তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এই কাজে তাদের সহায়তা করেছিল “Les Familles de l’Attentat du DC-10 d’UTA” – ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের একটি সাহায্য সংগঠন এবং স্থানীয় অধিবাসীরা।








মেমোরিয়ালটি পুরোপুরি হাতে তৈরি এবং তাঁর উপকরণ হিসেবে ব্যাবহার করেছেন কালো পাথর। এই পাথরগুলো তাঁরা পরপর সাজিয়ে একটি ২০০ ফুট ব্যাসের একটি বৃত্ত তৈরি করেন।



টিনিরি এলাকাটি পৃথিবীর অত্যান্ত দুর্গম স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মেমোরিয়াল তৈরিরে ব্যবহৃত পাথরগুলো প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে ট্রাকে করে বয়ে আনা হয়েছিল।









স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করতে তাদের দু’মাসের মতো সময় ব্যায় হয়। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাদের কাজ শেষ হয়।





১৭০টি ভাঙ্গা আয়নার টুকরো স্মৃতিস্তম্ভটির পরিসীমা বরাবর স্থাপন করা হয়। দুর্ঘটনা মৃত ভিকটিমদের প্রতীক স্বরূপ এই আয়নাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।









বিমানটির একটি ডানা স্মৃতিস্তম্ভের ফলক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ডানাটি ধ্বংসস্থল থেকে প্রায় ১০ মাইল দূরে মাটির নিচ থেকে বালি খুঁড়ে বের করা হয়েছিল।





























মজার ব্যাপার হচ্ছে, অসাধারণ এই স্মৃতিস্তম্ভটি গুগল আর্থেও দেখা যায়। নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।





UTA Flight 772 Memorial on Google Map

উইকিপিডিয়া

 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।