কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের জন্য একটি জটিল বিষয় এর উপর টিউন করব।
আমরা অনেকেই Dual Boot ব্যাবহার করে থাকি। যেমন Windows XP সাথে Windows 7 অথবা Windows 7 সাথে Windows 8।
এখন প্রতি বছর Windows এর নতুন নতুন version বের হয় বা হচ্ছে।
তাই আমরা নতুন version টি সেট আপ দেয়ার জন্য আমরা অনেকেই Dual Boot ভেঙে Earlier version টি Remove করি। এতে আমাদের দুইটি অপারেটিং Remove করেত হয়।
আমরা অনেকেই জানি না Earlier version টি Remove করে Dual Boot এ নতুন version টি কিভাবে সেট আপ করা যায়?
অর্থাৎ কি ভাবে Windows 7 কে রেখে Windows XP কে Remove করে Windows 8 সেট আপ দেয়া যায়?
আজ আমি দেখাব কিভাবে Dual Boot না ভেঙে Earlier version টি Remove করা যায়।
এটি একটি জটিল পক্রিয়া তাই ভাল ভাবে বুঝে এ কাজটি শুরু করবেন।
ধরুন আপনার Dual Boot টি Windows XP এবং Windows 7 এর।
আপনি চাচ্ছেন Windows XP কে Remove করে Windows 8 সেট আপ দিতে।
এখন Windows XP কে Remove করেতে হলে আপনাকে পাঁচটি কাজ খুব সাবধানে করতে হবে।
এখন উপরের ধাপ গুল দেখে অনেকেই বুঝতে পারছেন না কিভাবে কি করতে হবে। তাই ধাপ গুল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পিসি চালু করে Dual Boot থেকে Windows XP তে ডুকুন। Windows XP চালু হলে start থেকে Control Panel এ যান।
এবার আপনার Windows XP যে drive এ আছে সেখানে প্রবেস করুন। দেখবেন যে সকল হাইড ফ্লডার আর ফাইল গুল দেখা যাচ্ছে।
তারপর সেখানে দেখবেন যে boot এবং bootmrg নামের একটি ফ্লডার আর একটি ফাইল আছে। এ দুটি কপি করে Windows Seven যে drive এ আছে সেখানে প্রবেস করে পেস্ট করুন।
কপি পেস্ট না হলে সেভ মুডে Windows XP চালু করে উপরের পক্রিয়াটি করতে হবে।
boot এবং bootmrg নামের একটি ফ্লডার আর একটি ফাইল Windows Seven এর drive কপি হয়েছে এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ২ ধাপের কাজ শুরু করবেন না।
৩ টি পদ্ধতিতে Windows 7 partition ACTIVE Mark করা যায়।
পদ্ধতি ৩ সব চাইতে সহজ।
স্টার্ট মেনুর মধ্যে diskmgmt.msc টাইপ করুন, এবং এন্টার টিপুন।
diskmgmt.msc আসলে সেখান থেকে Windows 7 যে drive এ আছে সেটার উপর Right click করে Mark Partition as Active click করুন।
Windows 7 Mark Partition as Active হয়ে গেলে diskmgmt.msc থেকে বের হয়ে যান।
Windows 7 Mark Partition as Active করতে না পারেন, পদ্ধতি ২ ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার Windows 7 ইনস্টলেশন ডিভিডি টি ডিভিডি রুমে ডুকান।
নিচের ছবিটি আসলে Shift + F10 চাপুন।
Diskpart লিখুন এন্টার চাপুন। তারপর list diskলিখুন এন্টার চাপুন। নিচের ছবির মত হবে।
select disk 0 লিখে এন্টার চাপুন
নিচের ছবির মত হবে।
Windows 7 যে Partition টি সেটা লিখে এন্টার চাপুন যেমন select partition 1
active টাইপ কররে এন্টার চাপুন
আপনি এখন কমান্ড প্রম্পট বন্ধ করুন এবং আপনার কম্পিউটার পুনরায় বুট করুন।
এই পদ্ধতি টি খুবই জামেলার। এখন যে পদ্ধতি টি দেব এটা সব চাইতে সহজ।
Download করুন Partition Wizard Bootable CD
http://software-files-a.cnet.com/s/software/13/35/14/51/pwhe8.exe?lop=link&ptype=3001&ontid=2094&siteId=4&edId=3&spi=91933fb2dc677b0aef14ba95a31109fb&pid=13351451&psid=10962200&token=1393615701_c554907d2776575d81ef39a48e5a1319&fileName=pwhe8.exe
সেট আপ করে MiniTool Partition Wizard টি অপেন করুন।
Windows 7 পার্টিশনে রাইট ক্লিক করুন এবং নির্বাচন করুন Modify>Set Active আর
Windows xp পার্টিশনে রাইট ক্লিক করুন এবং নির্বাচন করুন Modify> Set Inactive.
এ পদ্ধতিটি খুব সহজেই Windows 7 পার্টিশনকে Set Active করতে পারবেন।
Set Active করার সাথে সাথে যদি নিচের কাজ গুল করেতে হবে।
Windows XP সিলেক্ট করে right click করুন এবং set partition as logical এ click করুন। Windows 7
সিলেক্ট করে right click করুন এবং set partition as Primary এ click করুন।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন কমান্ড প্রম্পট খুলতে হবে?
কমান্ড প্রম্পট না খুললে টিক ভাবে কাজটি সম্পন্ন হয় না। (আমি নিজে করে দেখেছি। কার যদি দেখতে ইচ্ছে করে তাহলে করে দেখেন অযথা সময় নষ্ট হবে)
এখানে আপনি দুটি পদ্ধতিতে করতে পারেন
আপনার Windows 7 ইনস্টলেশন ডিভিডি টি ডিভিডি রুমে ডুকান।
নিচের ছবিটি আসলে Shift + F10 চাপুন।
অথবা
next click করে Repair your computer Click করুন
নিচের ছবির মত আসবে।
Next click করুন।
নিচের ছবির মত আসবে। ছবির মত করে Next click করুন।
system recovery option টি আসবে। এখানে Command Prompt option click করুন।
তারপর Restart button click করুন। পিসি Restart নেবে।
পিসি start করে
Windows Boot Manager screen গিয়ে Windows 7 সিলেক্ট করে F8 অথবা F5 চাপুন
Advanced Boot Options টি আসবে
Safe Mode with Command Prompt সিলেক্ট করে Enter চাপুন
নিচের ছবিটির মত আসবে
কিছুক্ষণ লোড এরপর Command Prompt নিচের ছবির মত আসবে।
Ctrl+Alt+Delete এক সাথে চাপুন পিসি restart করুন।
এই কাজ টুকু করলেই চলবে।
এ পদ্ধতিতে Windows XP(যে কোন Earlier version) partition টি Delete করতে হবে।
দুটি ধাপে এ কাজটি করা যায়। নিচে তুলে ধরা হল।
Windows 7 চালু করুন। Windows 7 অপেন হলে Windows + R চাপুন অথবা
স্টার্ট মেনুর মধ্যে রানে ডুকে diskmgmt.msc টাইপ করুন, এবং এন্টার টিপুন।
Windows XP সিলেক্ট করে right click করুন। Delete Volume এ click করুন। Windows XP partition টি Delete হয়ে যাবে।
উপরের পদ্ধতিতে যদি কাজ না হয় তাহলে MiniTool Partition Wizard কাজ করতে হবে। যদি উপরে (২। Windows 7 partition ACTIVE Mark করা। পদ্ধতি ৩)
এ কাজ গুল করে থাকেন তাহলে আর সমস্যা হবার কথা না।
যদি না করে থাকেন তাহলে কাজ গুল করতে হবে।
MiniTool Partition Wizard অপেন করুন। তারপর Windows XP সিলেক্ট করে right click করুন এবং set partition as logical এ click করুন। Windows 7
সিলেক্ট করে right click করুন এবং set partition as Primary এ click করুন।
কাজ হেয়ে গেলে Windows XP partition টি Delete করুন। আপ্লাই এ কিলিক করুন।
Windows XP partition টি যে drive চিল সেটি আবার নিউ drive তৈরি করুন।
এরপর নিচের কাজটি শুরু করুন।
এখানে দেখাব কিভাবে Startup Repair করতে হ্য়।
কাজটা মটামুটি সহজ।
system recovery option টি অপেন করুন ( উপরের ৩। কমান্ড প্রম্পট খুলতে হবে পদ্ধতি ১ অনুসরণ করুন)
Startup Repair option টিতে কিলিক করুন নিচের ছবির মত আসবে।
লোড শেষ হলে Next কিলিক করুন।
Finish এ কিলিক করে পিসি Restart করুন।
এভাবেই আপনি আপনার Dual Boot থেকে Earlier version টি Remove করতে পারবেন।
কাজটি খুবই জটিল তাই আগে ভাল ভাবে বুঝে তারপর কাজটি শুরু করবেন দেখবেন খুব সহজেই আপনি আপনার Dual Boot থেকে Earlier version টি Remove করতে পারবেন।
কোন তারাহুর করলে চলবে না বুঝে শুনে প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। এ পদ্ধতিতে আপনি যত খুশি ততবার Dual Boot না ভেঙে Earlier version টি Remove করতে পারবেন।
আমার এই টিউনটি যদি কার উপকারে আসে তাহলে আমার কষ্ট সার্থক হবে।
আজ এ পর্যন্তই। যদি কার কিছু বুঝতে অসুভিধা হয় তাহলে আমাকে কমেন্টে জানাবেন। আমি সাহায্য করতে চেষ্টা করব।
কষ্ট করে টিউন্টি পড়ার জন্য আপনাদের কে অসখ্য ধ্যনবাদ।
আল্লাহ্ হাফেজ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।