আমি মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে ঘুম নেমে আসা রাতটুকু পর্যন্ত মানুষের মতো আচরণ করার চেস্টা করি। অন্যায়,অন্যায়ের জন্ম দেয়।
প্রশ্নটা হচ্ছে, কি ধরনের অন্যায়, মানুষকে অন্যায়ের দিকে ঠেলে দেয়?
যখন কোনো মানুষের সাথে অন্যায় কিছু করা হয়, তখন সেই মানুষটা,একটা দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে পড়ে। তাকে অন্যায় দিয়ে,পিছনের দিকে ধাক্কা দেওয়া হয়।
মানুষটার সাথে যতো অন্যায় চলতে থাকে, মানুষটা ততো পিছিয়ে যেতে শুরু করে। সে নির্বাক হয়ে দেখতে থাকে অন্যায় কিভাবে তাকে লাথি মারতে মারতে পিছনে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যায়ের ক্ষমতা দেখে সে অভিভূত হয়ে পড়ে।
সে চিন্তা করে, “কই, অন্যায় ছাড়া যারা আছে তাদের তো এতো ক্ষমতা নেই! তারা তো মুখ বুঝে লাথি খাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে,নিজের দেশকে বাচাতে গিয়ে,১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ প্রান,নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছে,ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য!
কোথায় সেই স্বাধীনতা??? কোথায়?? কোথায় সেই প্রতিষ্ঠিত ন্যায়??
পারেনি সেই ন্যায় টিকে থাকতে। অন্যায় তার ক্ষমতাবলে আবারো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে!ন্যায় তার কোনো ক্ষতিই সাধন করতে পারেনি। আজ চারপাশ জুড়ে শুধু অন্যায় আর অন্যায়!এক চিলতে ন্যায়, কিভাবে এতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াবে??
ন্যায়ের ধুকে ধুকে মরা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমি ধুকে ধুকে কেনো মরবো??আমি বাচার মতো বাচতে চাই! মাথা উচু করে বাচতে চাই! অন্যায় আমার মাথাকে উচু করে দেবে। আমাকে ক্ষমতা দেবে।
অন্যায় করেই অন্যায়ের সাথে টিকে থাকা যায়। আমি আজ থেকে অন্যায়ের দলে। “
মানুষটা অবশেষে অন্যায়ের দিকে ঝুকে পড়ে। এরকমভাবেই জন্ম হয় অন্যায়কারীর ! জন্ম নেয় অন্যায়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।