রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের শহীদ দিবসে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি মূশাররফের আইনি ঝামেলা নিয়ে প্রচ্ছন্ন উক্তি করেছেন বলেই বর্ণনা করেছে পাকিস্তানের পত্রপত্রিকাগুলো।
আগামী ১১ মে’র নির্বাচনে অংশ নিতে ৪ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ২৪ মার্চ দেশে ফেরেন মুশাররফ। এরপর থেকেই নানা আইনি ঝামেলার মুখে আছেন তিনি।
মুশাররফের বিরুদ্ধে আদালতে নানা রকম মামলা থাকায় তাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের আদালত তাকে রাজনীতিতে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
চিত্রাল আসন থেকে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মুশাররফের করা আপিলের জবাবে আদালত এ রায় দেয়।
এ পরিস্থিতির মধ্যে কায়ানি ভাষণে বলেছেন, “কেবলমাত্র প্রতিহিংসা গ্রহণের নীতি নয় বরং সচেতনতা এবং গণমানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যকার এই লুকোচুরি খেলার প্রকৃত অবসান ঘটতে পারে বলে আমি মনে করি। ”
কায়ানির এ মন্তব্য প্রথম পাতায় ফলাও করে ছেপেছে পত্রপত্রিকাগুলো।
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী অনেক সময়েই অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে কিংবা পর্দার অন্তরালে থেকে দেশ শাসন করে এসেছে। বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়টিতেও সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে।
তবে পাকিস্তানের বর্তমান সেনা অধিনায়করা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেন খুব কমই।
কিন্তু কায়ানির সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান বেসামরিক সরকারি কর্তাব্যক্তিদের এবং বিশেষত, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট সামরিক বাহিনীর মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।