আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাঞ্ছিত-বঞ্চিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

লাঞ্ছনা ও বঞ্চনারও একটি মাত্রা আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ওই লাঞ্ছনা-বঞ্চনার মাত্রা সব মাপকাঠিকে ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি হল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ভঙ্গুর চিত্র গণমাধ্যমের নজরে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে হলবিহীন এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবনযাপনের অকল্পনীয় দৃশ্য চিত্রিত হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৮ নং আইন বলে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই নানা ধরনের সংকট নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

কিন্তু কোনো সরকারই এই বিদ্যাপীঠের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা সদরঘাটে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে অনেকেই আশা করেছিল, অচিরেই সরকারের নেক নজরের কারণে প্রতিষ্ঠাকালীন সংকটগুলো হয়তো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছু ছাড়েনি। গত পাঁচ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

সদ্য বিদায়ী মহাজোট সরকারের নানা ক্ষেত্রে বহুমুখী উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ ভেসে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টা চিত্র লক্ষণীয়।

এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকারের শাসনামলের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তৈরি করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপিই এগিয়ে থাকবে। যদিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখলের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবস্থান প্রায় সমানে সমান। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের মতো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নানা পর্যায়ের নেতারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো কয়েক যুগ ধরেই অবৈধভাবে ভোগদখল করছে। দখলদারদের বিতাড়িত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো সরকারই গ্রহণ করেনি। এমনকি সারা দেশে দুর্নীতি ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টিকারী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও উদ্যোগ নেয়নি।

শিক্ষার্থীরা বহুবার হল পুনরুদ্ধারে অহিংস আন্দোলন করলেও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য কেউও নূ্যনতম সহানুভূতি প্রকাশ করেনি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে পুলিশের গুলিবর্ষণে বহু শিক্ষক আহত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি প্রদান ও প্রত্যাহার তো দূরের কথা সামান্যতম দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। যদিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষকই আওয়ামীপন্থি শিক্ষকের সংগঠন নীল দলের সদস্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিই একমাত্র শিক্ষক সমিতি যেখানে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল সমর্থিত প্যানেলই পর পর তিনবার পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচিত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুলিশের হাতে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত হলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে এখনো গড়িমসি করছে।

এ কথা অস্বীকার করছি না যে, প্রতিষ্ঠানকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথার ওপর মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা ২৭/৪ ধারা নামক যে কালো আইনের খড়গ ঝুলছিল তা থেকে বর্তমান সরকারই আমাদের মুক্ত করেছে। তবে ওই ২৭/৪ ধারা বাতিলের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে। উপনিবেশিক আইন ও মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সরকার যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় বিনা আন্দোলনেই ওই আইনটি পরিবর্তন করতে পারত। ও রকম হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার মূল্যবান সময় নষ্ট হতো না। ২৭/৪ ধারা বাতিলের ক্ষেত্রেও অন্য অনেক ন্যায়সঙ্গত দাবির মতো ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করে জনজীবন বিঘি্নত করে অধিকার আদায় করতে হয়েছে।

আজও শিক্ষার্থীদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা হল নির্মাণ ও পুনরুদ্ধারের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে যেভাবে সরকার উপেক্ষা করছে। পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে প্রতিহতের চেষ্টা করছে, তাতে শেষ পর্যন্ত এই অহিংস আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ সরকারই বারবার প্রমাণ করেছে কেবলমাত্র সহিংস হলেই দাবি পূরণ করা হয়!

এবারও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো পুনরুদ্ধার ও নতুন হল নির্মাণের ব্যবস্থা করলেই এই চলমান সংকটের সৃষ্টি হতো না। বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যতটুকু উদ্বিগ্ন হন তার সামান্যতম উদ্বেগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তিনি প্রকাশ করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা আন্দোলন করলেও সরকারের ওপর মহল যথাযথ কার্যকরী কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বর্তমান মন্ত্রীর বহু সুনাম থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তিনি কার্যত সীমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা না হলেও ওই বিষয়ে তার দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা নেই। পুলিশি বর্বরতার পর শিক্ষক সমিতির সদস্যরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি দায়ী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে তিনি দখলকৃত হল অচিরেই পুনরুদ্ধারের কথা বললেও তা কেবল এর আগেকার বহু আশ্বাসের মতো পূরণ না হওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছে।

দুই. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বঞ্চনা-লাঞ্ছনার ইতিহাস নতুন নয়।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে ১৯২০ সালে ইন্ডিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে 'জগন্নাথ কলেজ আইন' পাস করা হলেও ওই লেজিসলেটিভ কাউন্সিলই ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জগন্নাথ কলেজকে অবনমন করে এর স্নাতক পর্যায়ে পাঠদানের ক্ষমতা রহিত করে। ওই বন্ধ দুয়ার ২৮ বছর পর খুললেও ১৯৬৮ সালে পুনরায় এই বিদ্যাপীঠকে পুনরায় ইন্টারমিডিয়েট কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান থাকলেও স্বীকৃতি প্রাপ্তির বেলায় তারা বরাবরই হয়েছে বঞ্চিত। ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিক এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী হলেও ভাষা আন্দোলনের ৬২ বছর পর এই প্রবন্ধকারের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সম্প্রতি একটি ভবনের নামকরণের মাধ্যমে মিলেছে স্বীকৃতি। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখলেও মেলেনি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।

জগন্নাথ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পথও মসৃণ ছিল না। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও ক্ষমতার পালাবদলে অদৃশ্য কারণে ওই উদ্যোগ শেষ পর্যায়ে এসেও থেমে গেছে। জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ১০ বছর।

এই বিদ্যাপীঠের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, এর রক্তস্নাত ও লাঞ্ছিত ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতার পার্থক্য খুব কমই। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরুর পর সরকার ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে অবকাঠামোগত দিক দিয়ে এখন এই বিদ্যাপীঠ কলেজই রয়ে গেছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের তিব্বত হল দখলের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট ব্রাঞ্চ এই বিদ্যাপীঠের নিজস্ব সম্পত্তি হলেও দখলে রেখেছে সরকার। পুলিশও পিছিয়ে নেই। তাদের দখলে আছে তিনটি হল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে স্কুল নির্মাণ করে একটি চক্র দখলে রেখেছে আরেকটি হল। শহীদ পরিবারের নামে শহীদ আজমল হল দখল করে মার্কেট, ক্লাব নির্মাণ করেছে অন্য চক্র।

পুরান ঢাকার যে যেখানে যেভাবে পেরেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নামে-বেনামে অবৈধভাবে দখল করেছে।

১৯৮৫ সালে স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষের সূত্র ধরে হলগুলো বেদখল হলেও বিশ্ববিদ্যালয়কে হলের জায়গা ফিরিয়ে দিতে সরকারের নেই কোনো বাস্তবসম্মত উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ নতুন হল নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে বরাবরই। যদিও এ পর্যন্ত সেই নতুন হলের জায়গা ক্রয় করা সম্ভব হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নবম বছরেও। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ভরসাস্থল অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি যেখানে আরও জোরালো হচ্ছে; সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার এক দশকেও একটি হলও নির্মিত হয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় হল দরকার প্রায় ৩০টি। পুরাতন হল যদি উদ্ধারও করা হয়; তবে নতুন হল নির্মাণ করারও প্রয়োজন হবে আরও ২০টি। তাই নতুন হল নির্মাণের জায়গার কথা বলে যারা পুরাতন হলের দাবিগুলো পরিহার করার পরামর্শ দেন তারা মূলত হাজী সেলিমদের মতো দখলদারদের দালাল ছাড়া অন্য কিছু নয়। শুনেছি, অবৈধ দখলদাররা তাদের দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রশাসন, ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে টাকা লেনদেন করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তাদের ওই ধরনের প্রলোভনে নেতাদের কিনে নেওয়ার চেষ্টারও কোনো কমতি নেই।

অবৈধ দখলদারদের ওই চেষ্টাই বলে দেয়- নতুন হল নির্মাণের নামে যারা এই হল পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে চায়; তারা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দখলদারদেরই প্রতিনিধি। সাধারণ শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উচিত আন্দোলনের ক্ষেত্রে আরও কৌশলী হওয়া। যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সীমিত জায়গা দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বিকশিত হওয়া অত্যন্ত কঠিন। তাই পুরনো হল উদ্ধারের পাশাপাশি নতুন হল নির্মাণ ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য জায়গার সংস্থান করার বিকল্প নেই।

সরকারের উচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে গড়ে ওঠা রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের মতো প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দ দেওয়া। আগামী বছরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার অন্যত্র চলে যাবে। মোগল রাজধানী ঢাকার প্রশাসনিক কেন্দ্র ওই জায়গায় সরকারের বঙ্গবন্ধু জাদুঘর রূপান্তরের উদ্যোগে আমাদের আপত্তি নেই। তবে জাদুঘর নির্মাণের পাশাপাশি ওই জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হোক। ওই জায়গায় একটি ক্যাম্পাস স্থাপন করে তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাস নামকরণ করে ওই ক্যাম্পাসের অধীনে জাদুঘরটি স্থাপিত হতে পারে।

এ ছাড়া ঢাকা জজকোর্ট ও ডিসি অফিস এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় অতি দ্রুত পুরান ঢাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে ওই জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে যদি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই, তবে পুরাতন হল উদ্ধার ও নতুন জায়গার সংস্থানের মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিকল্প নেই।

পরিশেষে, বর্তমান সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান অহিংস আন্দোলনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আশু সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি। অন্যথায় ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যদি সহিংসতার পথ বেছে নেয়, তবে তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তাবে।

লেখক : শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

ই-মেইল :salah.sakender@gmail.com

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।