এপ্রিলফুল এর ইতিহাস বড়ই বেদনা দায়ক । এখন থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে স্পেন ছিল মুসলিমদের দেশ । এই দেশটি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রনে ছিল প্রায় আট শত বছর । ক্রসেডরা দীর্ঘ দিন ধরে স্পেনকে নিজেদের দখলের নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এজন্য তারা ধর্ম যুদ্ধের নামে বিভিন্ন সময় স্পেনে আক্রমন করত ।
কিন্তু স্পেনের মুসলিমদের সাথে যুদ্ধকরে তারা বরাবরই পরাজিত হত । মুসলিমরা এই দেশটাকে এতটাই আধুনিক ভাবে সাজিয়ে ছিল যা ছিল সত্যিই অসাধারন । আজও স্পেনের সেই শহরগুলো এক একটি অপূর্ব ঐতিহাসিক নিদর্শন । যা মানুষকে এখনও মুগ্ধ করে । মুসলিমরা ভালই ছিল স্পেনে ।
কিন্তু একটা পর্য়ায়ে মুসলিমরা ইসলাম হতে দুরে সরে যেতে লাগল । তার ইসলাম প্রচার প্রসার ও ইসলাম ধর্ম পালনের প্রতি অনিহা বাড়তে লাগল এবং তারা দুনিয়া মুখি হয়ে গেল । এবং এক পর্যায়ে মুসলিমদের ঈমানের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ল । ঠিক এমন এক সময় খ্রিষ্টানরা মুসলিমদের উপর আবারও আক্রমন করল । যদিও কিছু মুসলিম বীর ও তাদের সাথীরা চরম ভাবে আক্রমনকে প্রতিহত করল এবং ক্রসেড বাহিনীকে প্রায় পরাজিত করে ফেলেছিল।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না । এক্ষেত্রে খ্রিষ্টানরা (ক্রসেড) মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করল । তারা প্রচার করতে লাগল যে স্পেইন এখন তাদের দখলে । এবং তারা ঘোষনা দিয়ে দিল যে সকল মুসলিমরা মসজিদে আশ্রয় নিবে এবং সমুদ্র গামী জাহাজে আশ্রয় নিবে তারা নিরাপদ । দুর্বল ইমানের মুসলিমরা শত্রুদের কথা মতো কাজ করল ।
তারা মসজিদ ও জাহাজে আশ্রয় নিল । পরে ক্রসেড বাহিনী সকল মসজিদকে তালা বদ্ধ করল, এই বলে যাতে মুসলিমরা নিরাপদে থাকে । পরে তারা সকল মসজিদ গুলোতে আগুন ধরিয়ে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করল । আর জাহাজ গুলোকে তারা ডুবিয়ে দিল । এভাবে স্পেন থেকে মুসলিমদের পরাজিত করল ।
এবং সেখানে এমন একজন মুসলিমও ছিল না যে কিনা আযান দিবে । বিগত ৫০০ বছর স্পেনে কোন আজান হয়নি । মাত্র বছর ০২ আগে আযানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে । আর এভাবে এপ্রিল মাসে মুসলিমদের বোকা বানিয়ে পরাজিত করেছিল । মুসলিমদের এই পরাজয়কে স্বরন করে খ্রিষ্টানরা এপ্রিল ফুল পালন করে থাকে ।
আর আমরা মুসলিমরা এখনও বোকার মত এপ্রিল ফুল পালন করে নিজেদের ভাইদের জঘন্য হত্যার তামাসা করি অন্য মুসলিমকে বোকা বানিয়ে ।
যদি মনে করেন অপর মুসলিম ভাই কে জানানো প্রয়োজন তবে শেয়ার করুন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।