¤ রাষ্ট্রের বেলায় নয়,প্রেমের বেলায় স্বৈরাচার হও। -অখ্যাত লেখক আবিদুল ইসলাম রিমন
দেশ নেত্রী সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু জন নেত্রী সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন,নির্বাচনের সময় নিকটে আসিয়া গেছে ,কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে গণতান্ত্রিক বা অগণতান্ত্রিক কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। দেশে লাগাতার অবরোধের দিন অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, কিন্তু ক্ষমতার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে ,সেইজন্যই তাড়া। আমি ছিলাম জনগণ, সুতরাং নির্বাচন সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল।
আমার কাজ আমি করিয়াছি ,ইউনিয়ন অফিসে গিয়া নিজের খোমার এক খান ছবি তুলিয়া ভোটার তালিকায় নাম হাল নাগাত করিয়াছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ ,বিরুধীপক্ষ ও সরকারপক্ষ,আমার মন খরিদ করিয়া নিতে ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল।
আমাদের দেশে যে দল একবার ক্ষমতা গ্রহণ করিয়াছে ক্ষমতা সম্বন্ধে তাহাদের মনে আর কোনো উদ্বেগ থাকে না। ককটটেলের স্বাদ পাইলে পিকেটিং সম্বন্ধে পিকেটারের যে দশা হয়,ক্ষমতা সম্বন্ধে তাহাদের ভাবটা সেইরূপ হইয়া উঠে । উন্নয়নের অবস্থা যেমনি ও সরকারে বয়স যতই হউক,ক্ষমতার অভাব ঘটিবামাত্র তাহা পূরণ করিয়া লইতে তাহাদের কোনো দ্বিধা থাকে না।
যত দ্বিধা ও দুশ্চিন্তা সে দেখি আমাদের ঊঠতি বুদ্ধিজীবিদের । সর্বদলীয় সরকার গঠনের পর তাহা নিয়া তাহাদের সমর্থন করিবার পৌনঃপুনিক প্রস্তাবে শুনে তাহাদের মাথার কাঁচা-পাকা চুল অহেতুক চিন্তার আশীর্বাদে পুনঃপুনঃ পাকা হইয়া সাদার চেয়ে সাদা হইয়া যায়,আর ইহা নিয়া প্রথম টকশোতেই কথার জোর আঁচেই ইহাদের সাদা চুল ভাবনায় একরাত্রে পাড়িবার উপক্রম হয়।
সত্য বলিতেছি , আমার মনে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এমন বিষম উদ্বেগ জন্মে নাই । বরঞ্চ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার -খবরে আমার মনের মধ্যে যেন দক্ষিনে হাওয়া দিতে লাগিল। কৌতূহলী ভাবিতে লাগিলাম দেশের সংকট তাহা হইলে এইবার যাবে।
যাহাকে ব্যাবসা করিয়া দিন যাপন করিতে হইবে , তাহার পক্ষে এ ভাবনাটা দোষের । আমার এ লেখা যদি কোন ফান ম্যগাজিন-বি.স এর কাছে অনুমোদিত হইবার কোনো আশঙ্কা থাকিত তবে সাবধান হইতাম।
কিন্তু , এ কী করিতেছি । এ কি একটি রাজনৈতিক গল্প যে কলাম লিখিতে বসিলাম । এমন সুশীলতায় আমার লেখা শুরু হইবে এ আমি কি জানিতাম।
মনে ছিল , পাঁচ বৎসরের বেদনার যে মেঘ কালো হইয়া জমিয়া উঠিয়াছে , তাহাকে নির্বাচনের দিনে পছন্দের প্রার্থী কে ভোট দিয়া নিঃশেষ করিয়া দিব । কিন্তু , না পারিবো ভোট কেন্দ্রে যাইতে , কারণ, ককটেলের শব্দ স্রবণ করিবার কর্ণ আমার নাই; আর, না পারিলাম ফেইসবুকে নির্বাচন নিয়া স্ট্যাটাস রচনা করিতে ,কারণ তথ্য প্রযুক্তি আইন আমার জীবনের মধ্যে এমন ভাবে ভয়ের কারণ হইয়া উঠে গেছে যাহার কারনে নিজের অন্তররের কথা বাহিরে টানিয়া আনিতে পারি না । সেইজন্যেই বলিতেছি ,আমার ভিতরকার গম্ভীর বুদ্ধিজীবিচারীটা দার্শনিক ভাব নিয়া আপনাকে আপনি করুণা করিতে বসিয়াছে। না করিয়া করিবে কী। তাহার যে নির্বাচনে ভোট দেয়ার আশা ক্ষীণ হইয়া গেছে ।
আমি যাহাদের সমর্থন দিয়াছি তাহাদের (দলের) সত্য নামটা দিব না। কারণ , বাংলাদেশের ইতিহাসে তাহাদের নামটি লইয়া রম্য পাঠকদের মধ্যে হাসির কোনো আশঙ্কা নাই। যে নির্বাচন কমিশনে তাহাদের নিবন্ধন খোদাই করা আছে সেটার এক কপি আমার টেবিলের ফাইলে আছে । কোনোকালে সে ফাইল এবং সে নাম হারিয়ে যাইবে , এমন কথা আমি মনে করিতে পারি না । কিন্তু , যে জোটে তাহারা অক্ষয় হইয়া রহিল সেখানে অন্য কোন জোটের শরিক দলের আনাগোনা নাই।
(বি:দ্র) (লেখাটি নিছক কল্পনা মাত্র। সরকার দল বা বিরুধী দল অথবা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাবে এমন কোন দলের সাথে লেখাটির কোন মিল নেই। এর পর ও মিল খুঁজে পেলে দয়া করে চুপ থাকবেন। কেননা তথ্য প্রযুক্তি আইন-বুঝতেই পারছেন ডিম নিশ্চিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।