আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়**

আমাদের দেশের মহিলাদের মধ্যে যতরকম ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার অন্যতম। সাধারণত ৩৫ বছর বয়সে বা ৫০-৫৫ বছর বয়সে এই রোগ বেশি হয়।

কাদের ঝুঁকি বেশি : ১. অল্প বয়সে বিয়ে (১৬ বছরের নিচে), একাধিক বিয়ে। ২. অল্প বয়সে প্রথম গর্ভধারণ/অল্প বয়স থেকে শারীরিক সম্পর্ক শুরু। ৩. ঘন ঘন বাচ্চা হওয়া, অনেক বেশি বাচ্চা হওয়া।

৪. একের অধিক যৌনসঙ্গী। ৫. এমন লোকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হওয়া, যার একের বেশি যৌনসঙ্গী আছে বা যার প্রথম স্ত্রীর এই রোগ ছিল তার পরবর্তী স্ত্রীর এই রোগ হতে পারে। ৬. দরিদ্রতা/অপুষ্টি। ৭. সিগারেট, গুল ইত্যাদি তামাকজাত দ্রব্য সেবন। ৮. জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি একটানা অধিক দিন (১২ বছরের বেশি সময় ধরে) খাওয়া।

৯. ইমিউনিটি কম এমন মহিলাদের।

প্রতিরোধ : ৯৯.৭% ক্ষেত্রে এই রোগটি হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দিয়ে।

প্রতিরোধ_১. প্রাইমারি প্রিভেনশন (প্রাথমিক প্রতিরোধ) : ক) যে যে কারণে রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা সেগুলোকে এড়িয়ে চলা। খ) টিকা (এইচপিভি ভেকসিন) নেওয়া। প্রত্যেকটি মেয়েরই নয় থেকে ১৫ বছরের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা নাওয়া উচিত।

২. সেকেন্ডারি প্রিভেনশন : রোগের খুব প্রাথমিক অবস্থায় চধঢ় ঝসবধৎ নামক পরীক্ষার সাহায্যে রোগটিকে শনাক্ত করে এর চিকিৎসা করানো। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি শুরু হয় ঈওঘ দিয়ে। ঈওঘ হলো ক্যান্সারের প্রাথমিক বা পূর্ববর্তী অবস্থা। এর তিনটি ধাপ ঈওঘ ও, ওও, ওওও; ঈওঘ ও হলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা <১%, ঈওঘ ওও হলে ৫% এবং ঈওঘ ওওও হলে এই আশঙ্কা বাড়ে ২২%। তাই ঈওঘ ওও বা ঈওঘ ওওও অবস্থায় চিকিৎসা করলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ঈওঘ ওও/ওওও থেকে ক্যান্সার হতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। তাই খুব প্রাথমিক অবস্থায় রোগটিকে শনাক্ত করে চিকিৎসা করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত থাকা যায়।

রোগ শনাক্তকরণ : সাধারণত জরায়ুমুখ খালি চোখে দেখে বা যন্ত্রের সাহায্যে দেখে বা ঠওঅ পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ুমুখের সন্দেহজনক স্থান থেকে বায়োপসি করে প্রাথমিক অবস্থায়ও রোগ নির্ণয় করা যায়। যদি জরায়ুমুখে ঘা বা টিউমার থাকে সেখান থেকে বায়োপসি নিয়ে পরীক্ষা করে রোগ শনাক্ত করা যায়।

কখন প্যাপস করতে হবে : যেসব মহিলার বয়স ২১ বছর বা যারা তিন বছর ধরে যৌন সম্পর্কের মধ্যে আছে তাদের প্রতিবছর একবার চধঢ়'ং ঝসবধৎ এবং জরায়ুমুখ পরীক্ষা করাতে হবে।

পর পর তিন বছর নেগেটিভ রিপোর্ট (ভালো) আসলে এবং বয়স ৩০ বছর বা বেশি হলে তিন বছর পর পর পরীক্ষাটি করাতে হবে। বয়স ৭০ হলে এবং আগের ১০ বছরে পর পর তিনটি বা বেশি নেগেটিভ রিপোর্ট (ভালো) আসলে পরীক্ষাটি করাতে হবে না।

লেখক : গাইনি অনকোলজি, জাতীয়

ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে ৫১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।