৬৪ বছর আগে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ব্রাজিল। সেবার ফাইনাল হয়নি। প্রতিযোগিতার শেষ ম্যাচে ড্র করলেই ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত। কিন্তু প্রথমে গোল করেও বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে প্রায় দুই লাখ মানুষকে কাঁদিয়ে উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় তারা।
এরপর ব্রাজিল পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর মধ্যে পেলেই জিতেছেন তিনবার। কিন্তু ব্রাজিলের ফুটবল-ইতিহাসে আজো সেদিনের পরাজয় ‘মারাকানা ট্র্যাজেডি’ নামে পরিচিত।
এ বছর বিশ্বকাপের স্বাগতিকের মর্যাদা ব্রাজিলের। পেলের প্রত্যাশা, কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারির দল এবার ব্রাজিলের মানুষকে হতাশ করবে না।
বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুর উপলক্ষে এখন প্যারিসে থাকা পেলে বলেন, “১৯৫০ সালে ব্রাজিলের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আমাদের খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
উরুগুয়ের কাছে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। অনেক মানুষ ভয় পাচ্ছে যে হয়তো আবার তেমনই ঘটবে। কিন্তু আমার মনে হয়, এবার ভিন্ন কিছু হবে। ”
ব্রাজিলের ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য পেলে আরো বলেন, “আমাদের জন্য এবার দারুণ সুযোগ। এটা (বিশ্বকাপ জয়) ব্রাজিলের জন্য চমৎকার হবে।
”
এবারের বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখার আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “কনফেডারেশন্স কাপের অভিজ্ঞতার পর আমি মনে করি আমাদের দেশের সরকার বিশ্বকাপ আয়োজনে সুব্যবস্থা করবে। আশা করি, এবারের বিশ্বকাপ আমাদের দারুণ কাটবে। আর এটা আমাদের প্রাপ্যও। ”
প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সময় পেলের মাত্র ১৭ বছর বয়স ছিল। আর ব্রাজিলের বর্তমান দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারের বয়স ২২।
উত্তরসূরীকে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করিয়ে পেলে বলেন, “নেইমারের এটা প্রথম বিশ্বকাপ। তার সামনে এখন অনেক বড় দায়িত্ব। ”
আগামী ১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো ও ক্যামেরুন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।