পরিবর্তনের ছোঁয়ায় এবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৯টি সাংগঠনিক থানায় আসছে নতুন কমিটি। নতুন কমিটিতে বাদ পড়ছেন বিতর্কিতরা। ক্ষমতার রাজনীতিতে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল ও দুঃসময়ে আত্দগোপনে থাকা নেতাদের এবার বিদায়ের পালা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনাও দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। ৪৯ সাংগঠনিক থানার ৩৮টিতে এরই মধ্যে সম্মেলন শেষ হয়েছে।
আজ মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর ও আদাবর থানার সম্মেলন। মহানগরীর ১০৩টি ওয়ার্ড কমিটির প্রায় ৮০ ভাগের সম্মেলন শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই বাকি ৮টি থানা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ করবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে একযোগে ঢাকা মহানগরের সব কটি থানার নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে। তবে এ ঘোষণার আগে মহানগর শীর্ষ নেতারা বসে নেতৃত্ব নির্বাচনে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন।
বৈঠকে থানা কমিটির খসড়া নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্রমতে, এবার থানা কমিটিতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত গণ্যমান্য ও স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিশিষ্টজনদের রাখার ব্যাপারেও শেখ হাসিনার ইঙ্গিত রয়েছে। সূত্রমতে, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে গতিশীল করতে শেখ হাসিনা দলে আর কোনো কোন্দল দেখতে চান না। এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সতর্ক করেছেন তিনি। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের যৌথ মতামতেই একটি খসড়া কমিটি হচ্ছে।
খসড়া কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসবেন গণভবনে। কমিটি যাচাই-বাছাই করে মাঠের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সূত্রমতে, সৎ, যোগ্য ও ত্যাগীরাই স্থান পাবেন নতুন কমিটিতে। হাইব্রিডরা যাতে কোনোভাবেই দলীয় নেতৃত্বে আসতে না পারেন সে ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি রাখছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠের নেতা হিসেবে খ্যাত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সূত্রমতে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এক উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা মহানগরীর ৪৯ থানা ও ১০৩টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণার চিন্তাভাবনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ৪৯ থানা কমিটির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন। ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করবেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ হিসেবেই থানায় থানায় যোগ্য ও ত্যাগীদের দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সূত্রমতে, নতুন কমিটি ঘোষণা নিয়ে যাতে দলের মধ্যে কোনো ক্ষোভ, দ্বন্দ্ব কিংবা কোন্দলের জন্ম নিতে না পারে সে জন্যই শেখ হাসিনা নিজে থানা কমিটির নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন। নতুন কমিটিতে কারা আসছেন- মন্তব্য চাওয়া হলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন কমিটিতে মাঠের ত্যাগী ও আদর্শবান নেতারাই ঠাঁই পাবেন।
সর্বোপরি পরিচ্ছন্ন নেতাদের দিয়েই নতুন কমিটি করা হবে। যেসব নেতা নানা কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন তাদের বাইরে রেখেই নতুন কমিটি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।