আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিখোঁজ বিমানের যাত্রীদের ফোন বাজছে!

চীনের কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘মেইল অনলাইন’ ও ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস’ এর খবরে বলা হয়, অনেক চীনা নাগরিক দাবি করেছেন, বিমানে থাকা তাদের কয়েকজন আত্মীয়ের মোবাইল সংযোগ পাওয়া গেছে; তবে তারা কেউই কল রিসিভ করেনি।

‘দ্য মিরর’ এর খবরে বলা হয়, চীনের এক বিমানযাত্রীর বোন তার নিখোঁজ ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করেছিলেন। সে সময় ফোন বেজেছিল। টেলিভিশনে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

শনিবার ভোররাতে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেকের মাথায় মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যায় মালয়শিয়ান এরালাইন্সের এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি।



বিমানটির ভাগ্যে কী ঘটেছে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তা স্পষ্ট করতে পারেনি চীন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সমন্বয়ে গঠিত বহুজাতিক অনুসন্ধানী দল।

সোমবার বিয়ান লিয়াঙ্গুই নামের ওই চীনা নারী বলেন, “আজ সকালে (সাড়ে ১১টায়) আমি আমার ভাইয়ের ফোনে দুইবার কল করেছি। আমি রিংও শুনতে পেয়েছি”।

তিনি টেলিভিশনের অন এয়ারেও বসে ফোন করলেও রিং বাজতে থাকে। পরে ফোন নম্বরগুলো চীনা পুলিশ ও মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, “পুলিশ যদি অবস্থান নির্ণয় করতে পারে তবে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ”

ওদিকে উড্ডয়নের পর উত্তর দিকে চীন সাগরের দিকে গেলেও হারিয়ে যাওয়ার পর উল্টো মালয়েশিয়ার পশ্চিম উপকূলের মালাক্কা প্রণালীতে বিমানটি অবস্থান করছিল বলে মালয়শিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

তবে রয়টার্স, বিবিসিসহ বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিলেও নিখোঁজ যাত্রীদের নম্বরে কল করা সম্ভব হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

চীনের ‘সাংহাই ডেইলি’র খবরে বলা হয়, হারিয়ে যাওয়া বিমানের অপর এক যাত্রীর ভাইও তার নিখোঁজ ভাইয়ের ফোনে তিন বার কল করে রিং হতে শুনেছেন।

ওই ব্যক্তি মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন নম্বরটি হস্তান্তরের আগে সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়েও ফোন করেন; তখনও অপরপ্রোন্তে ফোন বাজতে শোনা যায়।



ইতোপূর্বে বিমানটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের আক্রোশ কিংবা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন উঠলেও এর পক্ষে জোরালো কোনো যুক্তি বা প্রমাণ পায়নি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বহুজাতিক সংস্থাগুলো।

প্রতিদিন নতুন নতুন রহস্যের জন্ম দেয়া বোয়িং ৭৭৭ বিমানের অধিকাংশ যাত্রীই চীনের নাগরিক। চীনের ১৫২ জন যাত্রী ছাড়াও মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন ওই বিমানে। এছাড়া, ১২ জন ক্রুও ছিলেন।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা ফোন করে অনেক ক্রুর নম্বর খোলা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমগুলো খবরে বলা হচ্ছে।

পরে মালয়শিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ ওই ফোন নম্বরগুলো চীনা বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করে। তবে এ বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য এখনো গণমাধ্যমে আসেনি।

‘স্ট্রেইট টাইমস’-এর খবরে বলা হয়, নিখোঁজ বিমানের অনেক যাত্রীর স্বজনরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, হারানো বিমানে থাকা তাদের স্বজনদের মোবাইলে কল হয়েছে কিন্তু তারা রিসিভ করেন নি। ব্যাপারটি তারা মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের বাণিজ্যিক বিভাগের পরিচালককেও জানিয়েছেন।

পরিচালক ডানলিয়েভি তথ্যদাতা ওই স্বজনদের জানান, তারাও হারিয়ে যাওয়া বিমানের ক্রুদের নম্বরে কল দিয়েছেন, রিং হয়েছে।

তবে রিসিভ হয়নি। তারা এসব নম্বর চীনা বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

স্বজনরা জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওইসব ফোনের অবস্থান জানার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওদিকে, বেইজিংয়ে মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তারাও কয়েকটি ফোন নম্বরে কল করেছেন কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি।

“আমি নিজে একটি নম্বরে পাঁচবার কল করেছি, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে অন্যরাও কল করেছে।

তবে কোনো সাড়া পাইনি। ”

নিখোঁজ বিমানের খোঁজে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি জাহাজ এবং ৩৪টি বিমান তৎপর রয়েছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।