১৪ ফুটের একটা প্রানী ট্যক্সির মধ্যে! এ কি করে সম্ভব? সম্ভব যদি তা মানুষ না হয়ে সাপ হয়। যাত্রীদের ভিরমি খাওয়ানোর জন্যই জিমি ফাইল্লার মাথায় এ বুদ্ধিটা এসেছিল। ট্যাক্সির পিছনের আসনে একটা ১৪ ফুট লম্বা বার্মিজ পাইথন রেখে দিয়েছিলেন তিনি।
পেশায় কৌতুকশিল্পী জিমি। অদ্ভুতুড়ে সব কাজকর্ম করে রাস্তায় লোকজনকে চমকে দেন।
আর তাদের সেই ভিরমি খাওয়ার ঘটনা নিজের শো-তে দেখান। সেটাই দর্শকদের হাসির খোরাক।
২০১০ সাল পর্যন্ত ট্যাক্সি চালাতেন জিমি। তাই লাইসেন্সটা ছিল। কাজে লাগালেন সেটাকেই।
নিউ ইয়র্কের রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন একটা ট্যাক্সি নিয়ে। পিছনের আসনে বার্মিজ পাইথন, আর একটা ক্যামেরা। সারা দিনে অন্তত গোটা দশেক যাত্রী ওই ট্যাক্সিতে উঠতে গিয়ে ১৪ ফুটের প্রাণীটিকে দেখে কতটা ভিরমি খেয়েছিলেন তার মিনিট দু’য়েকের একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন তিনি। শোয়ে দেখানোর জন্য তার নাম দিয়েছিলেন ‘স্নেকস ইন আ ক্যাব’।
তবে শো নিয়ে মশগুল জিমি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন আইনের কথা।
নিউ ইয়র্কের ট্যাক্সি অ্যান্ড লিমুজিন কমিশন (টিএলসি)-এর কড়া নিয়ম, চালকেরা কোনো অবস্থাতেই যাত্রীদের অপদস্থ করা বা অসুবিধায় ফেলার মতো কাজ করতে পারেন না। কিন্তু শোয়ের স্বার্থে সেই নিয়মে কোপ বসিয়ে ফেলেছেন জিমি। ফলে ট্যাক্সির লাইসেন্স আর জিমির কাছে থাকবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছেন টিএলসি কর্তারা।
তিনি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ট্যাক্সি চালানোর মতো বাজে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন চার বছর আগেই। লাইসেন্স কেড়ে নিলেও কিছু যায় আসে না তার।
জিমির এই কাজে আপত্তি জানিয়েছে পেটা-ও। তাদের পরামর্শ, পরের বার এ রকম প্রয়োজন হলে জ্যান্ত নয় রবারের নকল পাইথন ব্যবহার করতে পারেন জিমি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।