নবীজী শিশুদের ভালবাসতেন এবং তাদের নিয়ে খেলতেন ,কৌতুক করতেন ।
ভাল খেলা ধুলা ইসলামে নিষেধ নয় । তাই নিষেধ যা সমাজে তা ঘৃণিত যেমন জুয়া বেপর্দা হয়ে নানা কৌশল ও যাদু টুনা করা ।
নবী পাক সা একদিন নামায রত , মদিনার বেশ কিছু শিশু কিশোর
নবীজীর দরবারে উপস্থিত , তারা নামায রত নবীজীকে ঘিরে
রাখল এবং ছোট শিশু ইব্রাহিম নবীজীকে ঘোড়ার পিট ভেবে
চেপে বসল , আবু আয়ুব আনসারই রা রাগান্বিত হলেন । নবীজী
ছাহাবা কেরাম কে বুঝালেন ওরা শিশু যা দেখবে তাই শিখবে ,
ওদের আদর করবে এবং উত্তম চরিত্র গ ট নে গড়ে তুলবে ।
আল হাদিস
অতপর নবী পাক সা ওদের নিয়ে কিছুক্ষন খেললেন ,কৌতুক করলেন । বস্তুত নবীজী খেলা ধুলার মাধ্যমে তাদের দ্বীনই শিক্ষা
দিতেন । একটা পয়সার এপিট অপিট যেমন । সব কিছুই তেমন
এক কথায় উদ্দেশ্য সৎ হলে কর্ম ভাল হয় আর অসৎ হলে বৃথা ও
হারাম । নাতি হাছান রা /হুছাইন রা নবীজীর সাথে এমনি ভাবে
খেলা করতেন ।
টিকা এবাদত বর্জন করে খেলা ধুলা নিষেধ ।
বরং এবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা
সকলের জন্য রহমত ও পুরস্কার প্রাপ্তি ।
নবীজীর একজন উত্তম সাহাবা এবং সতী সাধ্যি রমণীর আদর্শ
নবী পাক সা এর হৃদয় মোবারক কুসুমের মত কোমল আবার
বজ্রের মত অটল ।
মক্কা বিজয়ের পর নবীজী ইসলামের গুড় শত্রু মুনাফেক সরদার
আব্দুল্লা বীণ উবাই কে , পর্যন্ত ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ।
কানায়ে কাবার মূর্তি সরিয়ে হজরত বিলাল রা আনহুম কে আদেশ
দিলেন প্রথম মক্কায় আযান দেওয়ার জন্য ।
হজরত বিলাল রা , হাজির ইয়া রাছুলুল্লাহ সা
কোথায় দাড়িয়ে কোন দিকে মুখ ফিরিয়ে আযান দেব ।
নুর নবী সা বললেন । কাবার ছাদে দাঁড়াও এবং আনা ইন্তি রাছুলুল্লাহ
আমি আল্লাহর রাছুল , আমার দিকে মুখ রেখে আযান দাও ।
সুললিত আযানের ধবনিতে সারা আরব জাহানে রহমতের সেই ক্ষন
অমিয় শান্তির সুধা বহিয়া গেল ।
সেই হজরত বেলাল সুধালেন হে আল্লাহর রাছুল আমার পিতা মাতা
বংশ কুল সহ আমার প্রান আপনার পদমোবারকে কোরবান হোক ।
ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনার রহমতের দরবারে আর কতদিন সেবা
করার সুযোগ পাব ।
নবীজী প্রিয় সাহাবার মুখ পানে তাকিয়ে ইসদ কপাল মোবারক
কুঞ্জিত করলেন ।
সাহাবা গন প্রশ্ন রাখলেন এমন কি বার্তা যার ধরুন আপনি চিন্তিত ।
নবীজী বললেন তার আয়ু খুবি ক্ষিন
অনেকেই বিচলিত হলেন ।
হজরত আলী কা প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনি এবং হযরতে
বিল্লাল যদি অনুমতি দেন তাকে বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে জগতের
শেষ আনন্দ টুকু যেন পায় সে ব্যবস্থা আমরা নিই ।
নবীজী অনুমতি দিলেন , সারা আরবে বিল্লাল রা এর সহধর্মিণীর
খুজ চলল , অনেকেই রাজি হয় কিন্তু কম আয়ুর কথা শুনে
শেষ তক বেঁকে বসে ।
এরি মধ্য আরও কটি দিন চলে গেল ।
মক্কার ব্যবসায়ি ইবনে হাইসামের সতি সাধ্য কন্যা তায়মুনা রা
বাবার মুখে ঘটনা শুনে সায় দিয়ে বস্ লেন বিলাল রা এর সঙ্গিনী
হয়ার । বাবা , ও আত্তিয় স্বজনেরা অনেক বুঝালেন একে বয়সি
লোক আবার অল্প আয়ু সম্পন্ন তাকে বিয়ে করলে কষ্ট হবে ভারি ।
স্তি তায়মুনা শুনলেন না নবীজীর বরাবরে আবেদন করে
শুভদিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলেন ।
বিয়ের প্রথম রাত , সতী হজরত বিলাল রা এর খেদমতে ।
সামান্য যা ছিল যব তাই দিয়ে খাবার পরিবেশন করলেন ।
তারা উভয়ে খানা মুখে নিবে বিসমিল্লাহ উচ্ছারন করতেই দরজায়
কসাধাত ।
বেলাল রা কে
আমি
বেলালরা
কি চাই
ক্ষুধার্ত পথিক , খাবার আর থাকার ট্যাঁই চাই ।
সতি দরজা খুলে তাদের সব খাবার বৃদ্ধিকে খাওয়ালেন
এবং দরজার বরাবর মেঝে থাকার জায়গা দিলেন ।
২য় দিন আবার লোকটি
একই দৃশ্যর অবতারণা
এভাবে ৭ দিন গেল
হজরত বিলাল রা এবং সতি উপোষ ।
৭ম দিন বিলাল রা ঘুমালে সতি দেখলেন
এক সুন্দর বেহেস্তি কাপড় পরিহিত লোক ঘরে দাড়িয়ে
সতি অবাক হয়ে সুধালেন আপনি কে
লোকটি বলল আমি সয়ং হজরত বেলাল রা এর আয়াত
আজ তার শেষ রজনী ছিল মা । তুমি যাকে খাওয়ালে সেই আজরাইল । আজ সে ভাগল আর তার বদলে আমি এলাম ।
তোমার সতিত্তের গুনে ৭ দিনে তার আয়াত বেড়ে ৭০ গুন
হয়ে গেল ।
লোকটি অদৃশ্য হয়ে মিলিয়ে গেল ।
ইবনে মুশ্না ও বায় হকি ।
এতে কি বুঝা যায় একজন সতি সাধ্যি রমনির এত গুন পক্ষান্তরে
চরিত্রহীন , এবং বেলাজদের ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহন যোগ্য নয় । নবীজী এবং তার প্রিয় সাহাবাদের জিন্দেগানি অনুসরন করার
মধ্যই সর্বোত্তম আদর্শ বিদ্যমান ।
মা ফাতেমা রা এবং নবীজীর উপদেশ ।
একদিন জগত জননী মা ফাতেমা রা নবীজীকে বললেন
আব্বাজান আমি কেমন আদর্শ অনুসরণ করব ।
নবীজী বললেন তোমার প্রিয় খেলার সাথি সায়মার নিকট যাও
দেখ সে কি করে ।
মা ফাতেমা তাই ছুটলেন সায়মার বাড়ীতে
গিয়ে দেখে ঘরের দরজা বন্ধ
ডাক দিলেন সায়মা আমি তোমার বাল্য সখি ফাতেমা ঘর থেকে
বেরিয়ে এস ।
উত্তর এল আমার স্বামী গেছেন মিশরে বানিজ্য করতে
তিনি এক মাসের খাবার দাবার সহ আদেশ দিয়ে গেছেন ।
বিদেশ ফেরত না হওয়া পর্যন্ত যেন ঘর হতে না বেরুই ।
ফাতেমা রা প্রয়োজনীয় কথা বার্তা সেরে নবীজীর নিকট এসে
সবিস্তার বললেন ।
নবীজী বললেন এই ধরনের স্বামীর আদেশ পালিতা মহিলা বেহেস্তি ।
ইবনে মাজাহ
নবীজী দিক নির্দেশ যা দিয়ে গেলেন
মানবের মুক্তির কল্যানে
আমরা তা মেনে চলি
উত্তম আদর্শে জাগ্রত মনে ।
আসবে নেমে রহমর যত
তার শাশ্বত কল্যানে
এস তবে তারি আহবানে
খোদার ক্ষুত্রতি পায়ে করি মাথা নত ।
এম জি আর মাসুদ রানা
কবি / সাহিত্যিক এবং ইসলামি গবেষক ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।