আফগান বিশেষ বাহিনীর পাল্টা আঘাতে হামলাকারী চার অস্ত্রধারীও নিহত হন।
বৃহস্পতিবার কাবুলের সেরেনা হোটেলে নৈশভোজ চলাকালীন হামলাটি চালানো হয় বলে দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব সালাঙ্গির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত চারজন। হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে তালেবান।
বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় পাঁচ তারকা সেরেনা হোটেলে হামলায় অংশগ্রহণকারী বন্দুকধারীরা সবাই কিশোর ছিলেন বলে জানা গেছে।
তারা তাদের মোজার ভিতর লুকানো পিস্তল নিয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় হোটেলটিতে প্রবেশ করেন।
হোটেলটিতে এ সময় বসন্ত ও আফগান নতুন বছর নওরোজ উপলক্ষে উৎসব পালন করা হচ্ছিল। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ বুফে নৈশভোজে যোগ দেয়ার ভান করে হামলাকারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
তারা হোটেলের একটি ওয়াশরুমে তিন ঘন্টা লুকিয়ে থাকার পর বেরিয়ে এসে গুলিবর্ষণ শুরু করে।
গুলিতে নিহত আটজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।
নিহত বিদেশি পুরুষ দুজনের জাতীয়তা জানা যায়নি।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেদিক সাদিক সাদিকি বলেছেন, “হোটেলে নিযুক্ত প্রহরীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে আমরা জেনেছি, হামলাকারীদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে। নৈশভোজে অংশগ্রহণের ভান করে তারা হোটেলটিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। মোজার ভেতরে পিস্তল লুকিয়ে এনেছিল তারা। ”
গুলিবর্ষণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অভিজাত বাহিনী ‘আফগান ক্রাইসিস রেসপন্স ইউনিট’ এর সদস্যরা হোটলটিকে ঘিরে ফেলে, পরে তাদের গুলিতে বন্দুকধারীরা নিহত হয়।
আক্রান্ত সেরেনা হোটেলটি দেশটির প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি মন্ত্রণালয়গুলো থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে।
আসছে এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আগত জাতিসংঘের কর্মীরা এই হোটেলটিতেই উঠেছেন।
এর আগেও কাবুলের এই অভিজাত হোটেলটি বেশ কয়েকবার তালেবান হামলার শিকার হয়েছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।