ফ্ল্যাশ মেমরিভিত্তিক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করা ট্রানসেন্ড বর্তমানে কম্পিউটার মেমরি, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, ক্যামেরার মেমরি চিপ এবং পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে বাজারজাত করছে। নিক এই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বাণিজ্য সম্প্রসারণের দায়িত্বে আছেন।
বাংলাদেশ সফররত নিক শুক্রবার এক আলাপচারিতায় তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশে এর অবস্থান নিয়ে বিডিনিউজের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রানসেন্ডের স্থানীয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কম্পিউটার সেন্টারের সিইও সারওয়ার মাহমুদ খান।
নিক বলেন, “আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, নতুন কোনো পণ্য বাজারে এলে বাংলাদেশের মানুষ ওই পণ্যটি দেখতে চায়।
এই দেখা কেবল দোকানের ডিসপ্লেতে দেখা নয়, ব্যবহার করে দেখা। এই কৌতূহলী স্বভাব এ দেশের মানুষের নিজস্ব, এ জন্য তারা খরচও করেন। আশপাশের অনেক দেশেই এটা পাওয়া যাবে না। ”
তাহলে কি বলা সম্ভব যে, বাংলাদেশ নতুন পণ্যের জন্য একটা পরীক্ষাক্ষেত্র?
দ্বিমত পোষণ করলেন নিক।
“বাজার হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিক।
একটা উদাহরণ দেই-- ট্রানসেন্ডের অনেক রকমের পেন ড্রাইভ আছে। এর মধ্যে কিছু মডেল আছে যেগুলোকে আমরা বলি বেসিক মডেল। সাধারণ চেহারার পেন ড্রাইভ। আর কিছু আছে যেগুলো একটু ফ্যাশনেবল, দেখতে ভালো, দামও বেশি। বাংলাদেশে এই ফ্যাশনেবল মডেলগুলো বেসিক মডেলের তুলনায় যত চলে তেমনটা আর কোনো দেশে দেখা যাবে না।
”
নিক বলেন, “এখন বাংলাদেশের উদাহরণ নিয়ে যদি অন্য দেশেও ফ্যাশনেবল পেন ড্রাইভ বিক্রির চেষ্টা করা হয় সেটি কাজ করবে না। ”
বাংলাদেশে প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে ট্রানসেন্ড ১০ বছর পূর্ণ করল সম্প্রতি। এই এক দশকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সারওয়ার বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পণ্যের মূল্য। এখনও একই শ্রেণিভুক্ত পণ্যের মধ্যে ট্রানসেন্ডের দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটু বেশি। ফলে ক্রেতার কাছে ‘দাম বেশি’ অবস্থান থেকে ‘দাম বেশি হলেও নির্ভরযোগ্য’ এই ইমেজ তৈরি করাটা চ্যালেঞ্জ ছিল।
আগামীর বড় চ্যালেঞ্জ হল বাজারে এর অবস্থান ধরে রাখা। ”
বাংলাদেশে বাজার সম্প্রসারণের জন্য কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় থাকে-- এমন প্রশ্নের জবাবে নিক বলেন, “এখন তো ট্রানসেন্ড পরিচিত ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। ফলে এখন তেমন কঠিন নয় বিষয়টি। আমরা কোনো নতুন পণ্য তৈরি করেই ক্রেতাদের কাছে চাপিয়ে দেই না। আমরা প্রথাগত মার্কেট রিসার্চের পাশাপাশি বোঝার চেষ্টা করি জনগোষ্ঠীকেও।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।