বিষন্ন অপরাহ্ণ। সিনিয়র ডিকটেশন দিচ্ছেন। আমি উশখুশ করছি। রম্যলেখক শরীফ শহীদুল্লাহর খানিকক্ষণ আগে মুঠোফোনে বার্তা- সন্ধ্যায় আমাদের সময় অফিসে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আড্ডা
সিনিয়রের পাথুরে দৃষ্টি উপেক্ষা করে বাংলামোটরে চলে আসি। অসমাপ্ত রিট পিটিশনটির ঠো্ঁটে যেনো অভিমান: তোমাকে দিয়ে ওকালতি হবেনা।
লক্ষ্য করলাম, আয়োজকগণ আমন্ত্রণপত্র পরীক্ষা করে আগতদের হলে ঢুকতে দিচ্ছেন। আমার কাছে আমন্ত্রণপত্র নেই। কোনো প্রেসকার্ডও সাথে নেই, ততোদিনে সিকি সাংবাদিক পরিচয় হারিয়ে মানবাধিকার আইনজীবীরূপে আত্মপ্রকাশ করছিলাম। মাথায় নতুন বুদ্ধি এলো। গেইটে দায়িত্বরত স্বেচ্ছসেবিরা কিছু বলার আগেই আমি ভরাট কণ্ঠে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম: সুনীলদা এখনও আসেনি? আবার হাতঘড়ির তাকিয়ে স্বগতোক্তির মতো করলাম: কেন, দাদার তো এতো দেরি হবার কথা না।
বিনা বাধায় অনুষ্ঠানস্হলে প্রবেশ করলাম।
একটু পরেই মঞ্চে আলো করে আসন গ্রহণ করলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তার দুপাশে বসলেন আমাদের প্রধান কবিদ্বয় শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ। বাংলা সাহিত্যের তিন কুশীলবকে একসাথে এক মঞ্চে দেখে আমার বুক আনন্দে ভরে গেলো। শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ যথাক্রমে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিলেন।
তাদের কণ্ঠস্বরে বার্ধক্যের স্পষ্ট ছাপ ছিল। সুনীল বলতে শুরু করলেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে। । বাংলাদেশ, ফরিদপুর, ছেলেবেলা, দেশভাগ নিয়ে নিজস্ব ঢঙয়ে শ্রোতৃমণ্ডলিকে মাতিয়ে রাখলেন অনেকক্ষণ।
একসময় প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হলো।
সুনীল রসিয়ে রসিয়ে জবাব দেন। এক বিষন্ন তরুনের কঠিন প্রশ্নে মাহমুদ হেসে উত্তর দেন। রাহমান কবিতার স্তবক পাঠ করেন সমুদ্র গুপ্তের জলদগম্ভীর জিজ্ঞাসায়। একসময় আমি বললাম- সুনীলের ছাপার অক্ষরের সকল প্রতিনিধিত্বশীল লেখা আমি পড়েছি। কিন্তু তিনি কার দ্বারা সবচেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, তা তার লেখায় স্পষ্ট নয়।
সহজ সওয়াল-লেখালেখিতে সুনীল কার দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েছেন? সুনীল মৃদুহাস্যে তাকালেন এবং বললেন- এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর -এয়াকুব। হলভর্তি দর্শক মুখ চাওয়াচায়ি শুরু করলো। সুনীল বলতে থাকলেন . ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।