আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে মালয়েশিয়া স্বীকর করলো ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ লিথুইয়াম ব্যাটারিজ কার্গোতে বহন করছিলো

অবশেষে মালয়েশিয়া স্বীকারোক্তি দিলো ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ লিথুইয়াম ব্যাটারিজ কার্গোতে বহন করছিলো

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-লন্ডন থেকে


দুদিন আগে এই জাওহারিকে সাংবাদিকেরা যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন, বিমানটি কি কোন বিস্ফোরক বা হ্যাজারডাস অথবা কোন দাহ্য রিস্ক আইটেম বহন করছে কিনা, তখন এই জাওহারি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, আমরা বিমানটি লার্জ কোয়ান্টিটির ম্যাঙ্গোস্টিন প্যাক চীনের উদ্দেশ্যে উঠিয়ে দিয়েছি।

অথচ আজকে এসে বলছেন, বিমানটি হাইলি ফ্লেমেবল লিথুইয়াম ব্যাটারি বহন করছিলো-যা সহজেই আগুনে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য যথেষ্ট।




সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্স সিইও মিঃ আহমেদ জাওহারি আজ জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মাত্র দুদিন আগে দেয়া বক্তব্যের বিপরীতে স্বীকার করলেন, বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ কার্গোতে বিস্ফোরক দ্রব্য লিথুইয়াম ব্যাটারি বহন করছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্লাইটটির কার্গো সেকশনে এই দাহ্য লিথুইয়াম ব্যাটারি বিস্ফোরিত অথবা আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে সাগরের বুকে চলে গিয়েছে।

লিথুইয়াম ব্যাটারি মূলত মোবাইল ও আইপড, ল্যাপটপে ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহ্নত হয়।

ফ্লাইটে কিংবা কার্গোতে এই ব্যাটারি বহন করা অবস্থায় আগুন লেগে ইতিপূর্বে বিশ্বে অনেক বিমান ও কার্গো অঘটন ঘটেছে। কারণ এটা সহজেই উচ্চ তাপে বিস্ফোরিত হয়ে থাকে।

আজকে সিইও জাওহারি বলেন, ফ্লাইটটি খুবই বিপদ জনক ব্যাটারি বহন করছিলো। যা থেকে আগুন লেগে গিয়ে এক্সিডেন্টে পতিত হওয়ার থিওরি অনেকটাই গ্রহণীয়। মালয়েশিয়ান প্লেন মিসিং হওয়ার দুসপ্তাহ পর জাওহারি আনুষ্ঠানিকভাবে আজকে স্বীকার করলেন দাহ্য পদার্থ জাতীয় আইটেম বিমানের কার্গোতে ছিলো।

অথচ দুদিন আগেও এমন স্পেকুলেশন তিনি অস্বীকার করেছিলেন।

ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশনের মতে, বিগত ১৯৯১ সাল থেকে এই বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪০ টি কার্গো ও ব্যাগেজ এই লিথুইয়াম ব্যাটারি জনিত এক্সিডেন্টের রিপোর্ট রয়েছে। এটা অত্যন্ত উচ্চ মানের ফ্লেমেবল আইটেম, যা সচরাচর পাবলিক ফ্লাইটে বহন নিষিদ্ধ।

জাওহারি বলছেন, যদিও বিমানের প্রাথমিক চেকিং এ এরকম কোন বিস্ফোরক আইটেম থাকার রেকর্ড ছিলোনা কিন্তু সর্বশেষ চেকিং এ তারা পেয়েছেন এই হাইলি রিস্ক বিস্ফোরক ব্যাটারি সিকিউরিটি প্যাকিং আওতায় বিমানের কার্গোতে ছিলো।

ইউএস এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশনের মতে এয়ারলাইন্সটি ভ্যানিশড হয়ে যায় এই বিস্ফোরক ব্যাটারি থেকে আগুন লেগে।

আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ফ্লাইটটির পাইলট ইনিহেলার মাস্ক নিয়েও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব ছিলোনা।

২০১০ সালে দুবাই থেকে জার্মানি যাওয়ার পথে ইউপিএস এয়ারলাইন্সের এরকম কারণে ৬টি ক্রাশের রেকর্ড রয়েছে।

এক্সপার্টরা বলছেন, এই হাইলি বিস্ফোরক আইটেম বিমানটিতে বহন করার কারণেই আগুনে সেটা বিস্ফোরিত হয়ে গেছে। তাদের মতে বৈধ কিংবা অবৈধভাবেই হউক বিমানটিতে এই ব্যাটারি ছিলো, যা মালয়েশিয়ান অথরিটিও আজকে স্বীকার করছেন।

জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে জনৈক শিক্ষাবিদ টেলিফোনে নিশ্চিত করেছেন, জাওহারির প্রেস কনফারেন্সের পর পরই বিমানটি নিখোঁজের পর আত্মীয় স্বজন তাদের স্বজনদের অবস্থা জানার জন্য যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন, আজকে তারা হোটেল স্থান ত্যাগ করতে শুরু করেছেন।

এখন সকলেই আস্তে আস্তে বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন, বিমানটি ইতিমধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে কালের গহ্বরে টাই করে নিয়েছে, যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসেনা।



Salim932@googlemail.com
22nd March 2014, London.।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।