তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না চরম মিথ্যা কথা বরং জেনে রেখো তোমার সাথে আজীবন বাঁচতে রাজি আমি
ঘুরে এলাম লাল পাহাড়ের দেশ- রাঙ্গামাটির দেশ! সারাক্ষণ কোরিয়ান সিনেমার নায়িকাদের ভীড়ে পথ হেটেছি। পাহাড় হাইকিং, যেন এই বুঝি পড়ে মরে যাব; এত উচু পাহাড়ে এর আগে চড়িনি এর আগে! ভীষণ মৃত্যু মৃত্যু আনন্দের হাইকিং এর পর "জুমঘর রেস্তরাঁয়" বাঁশ খেয়েছি পরম আনন্দে। এই হাইকিং এর পিকুলিয়ার ক্যারেক্টার ছিলেন মামুন ভাই। যিনি না থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর হত না পাহাড় চড়ার মজাটা। এঁকে লোক্টা মোটা তার উপর অল্পেই ক্লান্ত হোন।
ওনাকে নিয়ে পথ চলাটা কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছিল যদিনা তাঁর অসিম মনঃবল না থাকতো।
দিপু দা'র বাইকে করে রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখতে যাওয়া ছিল ভয়ানক মজার। Up n Down কখনও নিচে নামছি কখনও উপরে ঊঠছি আর সবটাই পাহাড়ের উপরে- যদি হেলিকপ্টারে করে এরিয়াল সট ভিডিও দেখানো যেত অথবা সেখানে নিয়ে গিয়ে দেখান যেত তবে বুঝাতে পারতাম কি ছিল সেই RIDE! ১০ টাকার নোটে দেখা আজীবনের দেখতে চাওয়া কাপ্তাই ব্রিজ দেখলাম কিন্তু খারাপ লাগছে ছবি তোলা নিষেধ তাই ছবি তুলে আনতে পারলাম না।
৩১২ বছর বয়সি গাছটার সমন্ধে আমরা শুধু জানতাম সে আমাদের চেয়ে বড় কিন্তু তাই বলে এত বেশি! তাই ঐ বুড় বৃক্ষকে কাছে রেখে ছবিও তুলেছিলাম। ডিসি সাহেবের ডাক বাংলো, চাকমা রাজার বাড়ির শেষ চিহ্ন, বনভন্তের মমি, মন্দির, লিটল নায়াগ্রা কিংবা ঝুলন্ত ব্রিজ কিছুই বাদ যায়নি।
প্রাকৃতিক খাবার আর চাকমা ভাইবোনদের আপ্যায়ন ভুলব না। শুধু ওদের বলে এলামঃ- আমরা-তোমরা আলাদা কেউ নই; আমরা সবাই বাংলাদেশি, বাংলাদেশ ভালোবাসি, পাহাড়ি-বাঙ্গালী নয় আমরা সবাই ভাই ভাই!!
এত কিছুর সাথে A BAND এর বন্ধুরা ছিল অস্থির। পায়ে পায়ে গানে গানে আমরা পাহাড় থেকে পাহাড়ে হাইকিং করেছিলামঃ Roll Jordan Roll...
আর বোটের ছাদে পাহাড়ের চূড়ায় হোটেল রুমে আমাদের ছোট ছোট কনসার্ট গুলো ছিল অসাধারণ মনে রাখার মত।
বলতে ভুলে গেছি। পাহাড় হাইক করে পেরার পথে যে ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম সে ঝড়ে এক জোড়া প্রাণ ডুবে গেছে কাপ্তাই হ্রদে।
আমরা ২০ তারিখ সন্ধ্যায় চলে আসার আগ পর্যন্ত দেখেছি ওদের লাশ খোজা হচ্ছে হ্রদে। How Sad! আমাদের জীবন রক্ষা পেল কারণ আমরা পাহাড় হাইকিং এ গিয়ে টাইমিংএ ঝামেলা পাকিয়ে ছিলাম। তাই ঐ সময় আমরা জলে না থেকে পাহাড়ের রেস্তরাঁয় বাশ-মুরগি'র কারি দিয়ে লাঞ্চ করছিলাম। অবশ্য সে ঝড়ে আমার প্রিয় লাল গেঞ্জি হারিয়ে গেছে আর সাব্বিরের ক্রোকডাইল!!! লাল গেঞ্জি নিয়ে বোটের ছাউনিতে আমাদের সেদিনের গানঃ
প্রিয় লাল গেঞ্জি, প্রিয়ও লাল গেঞ্জি,
সেদিন দুপুরে ৬ টি পাহাড়ে তোমায় নিয়ে পাড়ি দিয়েছি!
আর বিকেলে তুমি হারালে ভীষণ ঝড়ে কাপ্তাই হ্রদে!!
প্রিয় লাল গেঞ্জি, প্রিয়ও লাল গেঞ্জি... তোমায় হারিয়ে ফেলেছি!
প্রিয় লাল গেঞ্জি, প্রিয়ও লাল গেঞ্জি... আজো তোমায় মনে মনে খুঁজেছি!!
প্রিয় লাল গেঞ্জি, প্রিয়ও লাল গেঞ্জি...
প্রিয় লাল গেঞ্জি, প্রিয়ও লাল গেঞ্জি... গত দিন তোমায় জলে ভাসিয়েছি। ।
কুটুমবাড়ি,বনরুপা,রাঙ্গামাটিঃ প্রতিদিনের খাবারে দিয়েছিল তৃপ্তির হাসি। শুধু একদিন সেদ্ধ ডিম খেয়ে ধরা খেয়েছিলাম।
প্রিয়তমা শ্যামলী বাস তোমার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বুকে আমাদের নিরাপদে নিয়ে গিয়ে আবার ঢাকায় দিয়ে গিয়ে আমাদের করেছ কৃতজ্ঞ!
একটা আফসোস রয়ে গেল মায়েমরদের আদর মেলাম না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।