বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হারিয়ে সাঈদীর পুত্রের এ বিজয় দেশের বিভিন্ন মহলে আলোচিত। কিন্তু জিয়ানগর উপজেলার মানুষের কাছে নির্বাচনের ফলাফল ছিল প্রত্যাশিত। নির্বাচনে সাঈদীপুত্র মাসুদ বিন সাঈদী পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খালেক গাজী পেয়েছেন ৬ হাজার ৬১৫ ভোট।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মানবতাবিরোধী অভিযোগে অভিযুক্ত সাঈদীর ছেলের বিপুল জনসমর্থনের পেছনে রয়েছে সাঈদীর ইমেজ। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশের মতো তার এলাকায়ও তৈরি করেছিলেন নিজস্ব ইমেজ। আর এ ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সাঈদী পিরোজপুরে ২ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপজেলা জিয়ানগরে সাঈদীর রয়েছে অসংখ্য সমর্থক। তারা মনে করেন শুধু রাজনৈতিক কারণেই তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সাঈদীর আটকের পরে এলাকার মানুষের মধ্যে তার প্রতি তৈরি হয় সহানুভূতি। সাঈদী আটক থাকা অবস্থায় মারা যায় তার মা ও বড় ছেলে। এতে সাঈদীর পরিবারের প্রতি মানুষের সহানুভূতি আরও বেড়ে যায়। আর এ সহানুভূতিই উপজেলা নির্বাচনে সাঈদীপুত্র বিজয়ের পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া জিয়ানগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা কোন্দলের কারণে বিপর্যস্ত ছিল।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নও ভুল ছিল বলেও দাবি নেতা-কর্মীদের। বিপর্যস্ত সাংগঠনিক অবস্থা এবং নির্বাচনে জিয়ানগরে জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের শক্ত অবস্থান থাকায় কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আরও একটি কারণ হলো জাতীয় সংসদের নির্বাচনী আসন বণ্টনে জিয়ানগর উপজেলাকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে বাদ দিয়ে পিরোজপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। উপজেলা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ে থাকতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।