আইপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির জেরে বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদ থেকে এন শ্রীনিবাসনকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আইপিএলের ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি নিয়ে চলমান তদন্তের নিরপেক্ষতার স্বার্থেই তাঁকে বিচারপতি এ কে পাটনায়েক এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ আদালত প্রস্তাব করেছেন শ্রীনিকে সরিয়ে সুনীল গাভাস্কারকে ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান করা যেতে পারে।
এদিকে গাভাস্কার জানিয়েছেন, আদালতের প্রস্তাব গ্রহণে তাঁর আপত্তি নেই। ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেন, ‘মহামান্য আদালত যদি বলেন, কিছু করতে হবে আপনাকে।
তাহলে অবশ্যই...। তাঁরা যদি আমাকে কিছু করতে বলেন, আমি করব। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের বাইরে কেউ যেতে পারে না। ’
নয়াদিল্লিতে শুনানিতে বিচারপতি এ কে পাটনায়েক বলেন, ‘শ্রীনিবাসনের জায়গায় আমরা সুনীল গাভাস্কারের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেট খেলোয়াড়কে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। ’ চাপের মুখে গত জুনেই সভাপতির পদ থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন শ্রীনিবাসন।
তবে ঠিকই দ্বিতীয় দফা বিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। পরে সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু সাবেক বিচারপতি মুকুল মুডগালের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি সুপ্রিম কোর্টে যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে, তাতে শ্রীনির জামাতা ও আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের টিম প্রিন্সিপাল গুরুনাথ মায়াপ্পনই আইপিএল ফিক্সিং কেলেঙ্কারির হোতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
দুই সদস্যের প্যানেল এও বলেছেন, তদন্ত চলাকালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসকে আইপিএলে নিষিদ্ধ করা উচিত। বিচারপতি পাটনায়েক বলেন, ‘এখনই আমরা কাউকে সরিয়ে দিচ্ছি না।
তবে ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে অংশ নিতে দেওয়া উচিত হবে না। ’
আইপিএলের অন্যতম প্রধান দুই দলের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞায় ভারতীয় ক্রিকেটে এখন তোলপাড়। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার এক মাসও বাকি নেই। ঠিক এ সময়ে আদালতের এ আদেশে আইপিএল কর্তৃপক্ষ বেশ বেকায়দায় পড়েছে। এএফপি।
ক্যাপ: শ্রীনিবাসন কি তবে সরে যাচ্ছেন?
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।