জামাতা গুরুনাথ মিয়াপ্পনের কারণে পদত্যাগ করতে হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনকে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদভিত্তিক চ্যানেল টাইমস নাউ।
জুয়াড়িদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান নির্বাহী গুরুনাথ মিয়াপ্পনকে তলব করেছে মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়াড়িদের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে এন শ্রীনিবাসকে সরে যেতে বলা হবে। কারণ, এই মুহূর্তে শ্রীনিবাসনের চেয়ে ক্রিকেটের ভাবমূর্তিটাই সবার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
পদত্যাগ করা না-করার ব্যাপারে শ্রীনিবাসনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জামাতার বিরুদ্ধে জুয়াড়িদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগের কারণে এখনই শ্রীনিবাসনের সরে দাঁড়ানো উচিত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইপিএলের চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বলেছেন, ‘তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন আপনারা কাউকে দোষী সাব্যস্ত করছেন? পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে দিন। তখন এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে। ’
এটা ঠিক, গুরুনাথ মিয়াপ্পনের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে ঠুনকো কারণে যে তাঁর মতো একজনকে মুম্বাই পুলিশ তলব করবে না, এ নিয়েও খুব বেশি দ্বিমত থাকার কথা নয়।
পুলিশ এরই মধ্যে তা স্পষ্টও করেছে।
জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে গত মঙ্গলবার বলিউডের অভিনেতা বিন্দু দারা সিংকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাইয়ের পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই নাকি মিয়াপ্পনের নাম বেরিয়ে এসেছে। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হিমাংশু রায়ও তা নিশ্চিত করেছেন। মিয়াপ্পনকে তলব করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিন্দু দারা সিংকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিছু বিষয় উঠে গেছে।
বক্তব্য যাচাই করার জন্য মিয়াপ্পন ও বিন্দুকে মুখোমুখি করার দরকার হতে পারে। বিন্দুর সঙ্গে যদি মিয়াপ্পনের শুধুই সামাজিক সম্পর্ক থাকত, আমরা অবশ্যই তাঁকে তলব করতাম না। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।