এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম দাবি করলেও তার এই দাবির সঙ্গে বাংলাদেশের অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করে আসছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলার মধ্যেই শনিবার বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের এক প্রতিবেদনে ‘নেপাল পর্বত’ এর তালিকায় মুসার নাম না থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
ওই তালিকায় এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী-পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এম এ মুহিত ও নিশাত মজুমদারকে।
২০১০ সালে হিমালয় চূড়ায় ওঠার সপক্ষে মুসা যে ছবি ও প্রমাণাদি দেখিয়েছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছেন মুহিত; যিনি তার এক বছর পর ওঠেন এভারেস্টে।
নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জিম্বা জাংবু শেরপা একাত্তরকে বলেন, এভারেস্ট জয় করা নিয়ে মুসা যে ছবিটি দেখিয়েছে, সেটি চূড়ার নয়।
কারণ চূড়ার ছবি এমন হয় না। এটি সাত হাজার ফুট নিচে তোলা ছবি।
এভারেস্টজয়ী আরেকজন থেম্বু শেরপাও এ ছবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
একাত্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, এভারেস্ট জয় নিয়ে মুসা যে স্মরণিকাটি প্রকাশ করেন তাতে তার (মুসা) সঙ্গে আর যাদের কথা বলা হয়েছে, তাদের কারো নামই ‘নেপাল পর্বত’ এ নেই।
মুহিত একাত্তর টেলিভিশনকে বলেন, “দৈনিক প্রথম আলোতে এভারেস্ট জয় করা নিয়ে মুসা ধারাবাহিকভাবে যে গল্পটি বলেছেন, তাতে বেস ক্যাম্প ১ থেকে চূড়া পর্যন্ত অনেক কিছুরই বর্ণনা নেই।
”
মুসার ওয়েবসাইটে এভারেস্ট জয় করা নিয়ে তোলা ছবিটি ‘বিশ্লেষণ’ করে মুহিত দাবি করেছেন, এটি বেস ক্যাম্প -১ এ তোলা।
“মুসার কাছে বেস ক্যাম্প ১ এর পর বেস ক্যাম্প ২,৩ ও স্টেপ ১,২,৩ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের কোনো ছবি নেই। মুসার যে প্রকাশনা তাতেও ছবিটি গ্রাফিক্স করে বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। ”
দেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত বলেন, “নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন হয়ত মুসার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই নাম বাদ দিয়েছে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।