আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক মিনিটে ৭২ শব্দ টাইপ!

আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষ আগের তুলনায় আরও বেশি দ্রুত যোগাযোগ করতে পারছে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের ব্যবহার মানুষকে ‘টাচ’ টাইপিস্টে পরিণত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের গবেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, একজন মানুষ গড়ে মিনিট প্রতি ৭২টি শব্দ টাইপ করতে পারে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, স্মার্টফোনের টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তির আবির্ভাবের অর্থ, সাধারণ মুঠোফোন ব্যবহারকারীরাও প্রতি সেকেন্ডে ছয়টি কি ছুঁতে পারেন এবং এই কি স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা নির্ভুল থাকেন।


ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও কোব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ‘অটোম্যাটিজম’ বা ‘স্বয়ংক্রিয় মনের কাজ’ নিয়ে গবেষণাকালে এই ফল পান। গবেষকেদের মতে, অবচেতন মনে বা সক্রিয় চিন্তা ছাড়াই মানুষ যে কাজগুলো করে তা অটোম্যাটিজম।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে ‘অটোম্যাটিজম’ বাড়ছে।
প্রযুক্তি অভ্যস্ততার কারণে অত্যন্ত জটিল কাজ মানুষ এখন অবচেতন মনেই করে ফেলছে। কিবোর্ডে কোন অক্ষরের অবস্থান কোথায় তা ঠিকমতো শনাক্ত করতে না পারলেও অনেকেই দ্রুতগতিতে টাইপ করতে পারেন।


গবেষকেরা ১০০ শিক্ষার্থীকে প্রচলিত কোয়ারটি লেআউটের কোনো অক্ষরবিহীন কিবোর্ড দেখান এবং ৮০ সেকেন্ড সময় দিয়ে একটি চিঠি টাইপ করতে বলেন। এতে দেখা যায় ৯৪ শতাংশ নির্ভুলভাবে কোনো অক্ষর না দেখেই মিনিটে ৭২ শব্দ টাইপ করেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শূন্য ওই কিবোর্ডে কোনো কিতে কোন অক্ষর না শনাক্ত করার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে তাঁরা। এ সময় শূন্য কিবোর্ডে মিনিটে মাত্র ১৫টি অক্ষর শনাক্ত করতে পারেন তাঁরা।

স্নায়ুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টি স্নাইডার জানিয়েছেন, আমরা যখন টাইপ করতে বসি আমাদের আঙুল কীভাবে চলে আমরা জানি না।

এর অর্থ দাঁড়ায় আমরা অত্যন্ত জটিল কাজও অবচেতন মনে করে ফেলতে সক্ষম।   

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।