দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় এ গ্রিড লাইন আসামের রাঙ্গিয়া রাওতা থেকে বড়পুকুরিয়া হয়ে আবার ভারতে যাবে। এ গ্রিডের বিদ্যুৎ বাংলাদেশও ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিব।
বৃহস্পতিবার রূপসী বাংলা হোটেলে স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তম বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেদেশের বিদ্যুৎ সচিব পি কে সিনহা।
ভারত তার উত্তর-পূর্ব অঞ্চল থেকে দেশের অন্য স্থানে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের করিডোর চেয়ে আসছিল।
ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেয়ার বিষয়ে তিনটি রুট যাচাই-বাছাই করে রাঙ্গিয়া রাওতা-বড়পুকুরিয়া-ভারত লাইনটি প্রস্তাব করেছে এ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি, যে গ্রিড লাইন দিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারবে।
মনোয়ার ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে আজকের সবচেয়ে সফল বিষয় হচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কারিগরি কমিটি একটা প্রতিবেদন দিয়েছে। তাদের সেই প্রতিবেদনটা আমরা নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছি।
“সেই অনুমোদনের প্রেক্ষিতে আরেকটা টেকনিক্যাল টিম করে দিয়েছি, দ্বিতীয় গ্রিড লাইনের বিষয়টা তারা পরীক্ষা করে দেখবে। ”
করিডোরের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এটাকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব পি কে সিনহা।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
তিনটি বিকল্পের মধ্যে তারা একটিকে বেছে নিয়েছে। এ গ্রিড লাইন ৬০০০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সক্ষম হবে।
তবে বাংলাদেশ এ গ্রিড লাইন থেকে কতটা লাভবান হবে, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার ইসলাম বলেন, “আমাদের মনে হয় এখনো হিসেব করার সময় আসেনি। রিজিওনাল কো-অপারেশন ইজ আ উইন উইন সিচুয়েশন।
এখানে উভয় দেশের বেনিফিট অবশ্যই।
“আমরা ওখান থেকে অবশ্যই কিছু বিদ্যুৎ পাব। বিস্তারিত আমরা পরে আপনাদের জানাতে পারব। ”
বাংলাদেশ অবশ্যই এ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাবে বলে জানান ভারতের সচিব পি কে সিনহা।
তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রচুর জল বিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এক অরুণাচল প্রদেশেই ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে।
“এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাবে কিছু বিদ্যুৎ বাংলাদেশেও যেতে পারে। ”
আসাম (লালচিহ্নিত) থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়পুকরিয়া (লালচিহ্নিত) হয়ে ভারতের অন্য প্রান্তে যাবে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।